সেই কার্ডিফেই ইংল্যান্ডের সিরিজ-জয়ের হাসি
ইংল্যান্ড ১৮১/৮, ২০ ওভারে (মালান ৭৮, হেলস ৩৬; প্যাটারসন ৪/৩২)
দক্ষিণ আফ্রিকা ১৬২/৭, ২০ ওভারে (মোশেলে ৩৬, ডি ভিলিয়ার্স ৩৫; জর্ডান ৩/৩১)
ফলঃ ইংল্যান্ড ১৯ রানে জয়ী
সিরিজে ২-১ ব্যবধানে জয়ী ইংল্যান্ড
এই কার্ডিফেই চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে হেরে বিদায় নিতে হয়েছিল। তবে এবার আর কার্ডিফ ইংল্যান্ডের জন্য দুঃস্বপ্ন হয়ে এলো না । দক্ষিণ আফ্রিকাকে শেষ টি-টোয়েন্টিতে ১৯ রানে হারিয়ে সিরিজটা নিজেদের করে নিল স্বাগতিকেরা। বিপিএলে আলো ছড়ানো অভিষিক্ত ডেভিড মালানই হয়েছেন ম্যাচসেরা।
গত বার বরিশাল বুলসের হয়ে আলো ছড়িয়েছিলেন। তবে ইংল্যান্ড দলে আর সুযোগ হয়নি। সেটা অবশেষে এলো, দু হাত ভরেই সেটি কাজে লাগালেন মালান। ১৩ রানে জেসন রয় আউট হওয়ার পর নেমেছিলেন। এরপর অ্যালেক্স হেলসের সঙ্গে জুটি গড়েছিলেন ১১৮ রানের। সেটাই নিয়ন্ত্রণটা এনে দিয়েছে ইংল্যান্ডকে। হেলস ২৮ বলে ৩৬ রান করে আউট হয়ে গেলেও মালান পাচ্ছিলেন সেঞ্চুরির সুবাস। শেষ পর্যন্ত ৪৪ বলে ৭৮ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলে আউট হয়ে গেছেন। ১২টি চারের সঙ্গে ছিল দুইটি ছক্কাও।
ইংল্যান্ডের রানটা অবশ্য আরও বেশি হতে পারত। তবে শেষ ১৬ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলায় শেষ পর্যন্ত থেমে যেতে হয় ১৮১ রানে। ৩২ রানে ৪ উইকেট নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে সফলতম বোলার ছিলেন ডেন প্যাটারসন।
দক্ষিণ আফ্রিকা অবশ্য এই রান তাড়া করতে গিয়ে হোঁচট খেয়েছে শুরু থেকেই। ২২ রানের মধ্যেই হারিয়ে ফেলেছে ২ উইকেট। ডি ভিলিয়ার্স আগের ম্যাচের মতোই ঝড় তুলতে শুরু করেছিলেন, ১৯ বলে ৩৫ রানও করে ফেলেছিলেন। কিন্তু স্মুটস ও ডি ভিলিয়ার্স আউটের পর পথ হারিয়ে ফেলে দক্ষিণ আফ্রিকা। পাল্লা দিয়ে বেড়ে গেছে রান রেটও। মোশেলো ও ফেকলোকোয়াও শেষ দিকে চেষ্টা করেও পরাজয়ের ব্যবধানটাই শুধু কমাতে পেরেছেন।