দিনটা ইংল্যান্ডের করে নিলেন অধিনায়ক রুট
ইংল্যান্ড ১ম দিন শেষে
৮৭ ওভারে ৩৫৭/৫ (রুট ১৮৪*; মঈন ৬১*; ফিল্যান্ডার ৩/৪৬)
যখন ক্রিজে নেমেছিলেন, তখনই চারদিক থেকে চেপে বসতে শুরু করেছে স্নায়ুচাপ। ১৭ রানে ২ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে ইংল্যান্ড, লর্ডসে টসে জিতে ব্যাটিং নেওয়ার সিদ্ধান্তটা যেন উপহাস করতে শুরু করেছিল তাঁর দিকে তাকিয়েই। অধিনায়কত্বে অভিষেকে বিশেষ কিছু একটা দরকার ছিল। তা জো রুট সেরকম কিছুই করলেন। দিন শেষে ডাবল সেঞ্চুরির গন্ধ পাচ্ছেন ইংল্যান্ডে অধিনায়ক, রং হারাতে বসা ইংল্যান্ডের দিনটা শেষ পর্যন্ত রঙিন রাখার কৃতিত্বটাও তাঁর।
সকালে লর্ডসে নিজেই একটা ১ পাউন্ডের কয়েন নিয়ে এসেছিলেন। ভাগ্যটা পয়মন্তই ছিল, টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্তই নিয়েছিলেন। কিন্তু শুরুতেই দুই উইকেট হারিয়ে বসল ইংল্যান্ড। উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিলেন অ্যালেস্টার কুক, এলবিডব্লু হলেন জেনিংস। যদিও রিভিউ নিলে জেনিংস বেঁচে যেতে পারতেন। রুটের সঙ্গী ব্যালান্সও টিকলেন না বেশিক্ষণ, বেশিক্ষণ থাকলেন না বেয়ারস্টোও। ৭৬ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ইংল্যান্ডের সকাল তখন অনেকটাই ফ্যাকাশে।
সেখান থেকে ইংল্যান্ডকে টেনে তোলার কাজটা করলেন রুট-স্টোকস। পঞ্চম উইকেটে দুজন মিলে যোগ করলেন ১১৪ রান, ইংল্যান্ড রক্ষা পেল বিপর্যয় থেকে। তবে সেটা তো কেবল শুরু, মঈন আলীকে নিয়ে প্রথম দিনের নিয়ন্ত্রণটা নিজেদের হাতে নিলেন রুট। দুজন মিলে অবিচ্ছিন্ন ষষ্ঠ উইকেটে যোগ করলেন ১৬৭ রান, রুটের সেঞ্চুরি হয়ে গেছে তার অনেক আগেই। দিন শেষে ২২৭ বলে ১৮৪ রান করে অপরাজিত আছেন। স্ট্রাইক রেট প্রায় ৮১! অধিনায়ক হিসেবে প্রথম দিনে তাঁর চেয়ে বেশি রান করার কীর্তি আছেন একজনেরই। ১৯১০ সালে অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক ক্লেমন হিল প্রথম দিনেই করে ফেলেছিলেন ১৯১ রান। তবে আরেকটা জায়গায় রুট ছাড়িয়ে যাচ্ছেন এই সময়ের তিন প্রতিদ্বন্দ্বীকে। অধিনায়কত্বের অভিষেক ইনিংসে সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ ও ভারতের বিরাট কোহলি, পেতে পেতেও পাওয়া হয়নি নিউজিল্যান্ডের কেন উইলিয়ামসনের, আউট হয়ে গেছেন ৯১ রানেই। তবে রুট ছাড়িয়ে গেছেন এঁদের সবাইকে, পাচ্ছেন ডাবল সেঞ্চুরির ছোঁয়া। দুবার ক্যাচ দিয়ে বেঁচে গেছেন, একবার স্টাম্পিং হয়েও নো বল হওয়ায় পার পেয়ে গেছেন। দিনটা তো ছিল রুটেরই। এখন শুধু অপেক্ষা ডাবল সেঞ্চুরির। কে জানে, আজই হয়তো সেটি পেয়ে যাবেন!