• আইসিসি বিশ্বকাপ ২০১৫
  • " />

     

    পেসারদের ফাইনালে সেরা ফকনার

    পেসারদের ফাইনালে সেরা ফকনার    

    ফাইনালের আগ পর্যন্ত এই বিশ্বকাপে ম্যাচ হয়েছে মোট ৪৭টি (বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচটি বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয়)। এতগুলো খেলার ক’টিতে ম্যাচসেরা বোলাররা জানেন? মাত্র ১২টিতে! হ্যাঁ, বিশ্বকাপজুড়ে ব্যাটসম্যানদের দাপট কতোটা ছিল তার একটা নমুনা এখান থেকে পাওয়া যায়। সেই বিশ্বকাপের ফাইনাল দেখলো অজি বোলারদের দাপট, আরেকটু সুনির্দিষ্ট করে বললে পেসারদের দাপট। গুরুত্বপূর্ণ তিন তিনটি উইকেট দখলে নিয়ে সে দাপটে সামনে থেকেই নেতৃত্ব দিলেন পেসার অলরাউন্ডার জেমস ফকনার। অস্ট্রেলিয়ার পঞ্চম শিরোপা জয়ের দিনে ম্যাচসেরাও ২৪ বছর বয়সী এই তাসমানিয়ান।

     

    এলিয়টকে ফিরিয়ে ফকনারের উদযাপন
     

    বিশ্বকাপ শুরুর আগে আগে চোট পেয়ে ছিটকে পড়েছিলেন মাঠ থেকে। অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল বিশ্বকাপ খেলাই। খেলতে পারেন নি প্রথম দুটো ম্যাচও। সেই ফকনার শ্রীলংকার বিপক্ষে জুলিতে নেন ৩ উইকেট। অস্ট্রেলিয়ার ছুঁড়ে দেয়া ৩৭৬ রানের লক্ষ্যমাত্রাটা যখন দিলশান-সাঙ্গাকারা জুটি ক্রমেই সহজসাধ্য করে আনছিলেন, তখনই ফকনারের আঘাত। ফেরান দিলশান-সাঙ্গাকারা দু’জনকেই। সেমিফাইনালেও ভারতের বিপক্ষে ১২ বলে ২১ রান করার পর বল হাতে ৩ উইকেট। বুঝতে অসুবিধে হয় না ফকনারের ইনজুরি নিয়ে অজিরা কেন এতোটা দুশ্চিন্তায় ছিল।


     

     

    আজকের ম্যাচে প্রাথমিক বিপর্যয় কাটিয়ে টেলর-এলিয়ট জুটি নিউজিল্যান্ডের ইনিংসটা বড় সংগ্রহের পথেই নিয়ে যাচ্ছিলেন। ৩৫ ওভার শেষে নিউজিল্যান্ডের স্কোরবোর্ডে তখন ১৫০ রান, ৩ উইকেটে। ফকনারকে দ্বিতীয় স্পেলে আক্রমণে নিয়ে এলেন ক্লার্ক। প্রথম বলটাই দিলেন স্লো ইয়র্কার ধরণের, টেলরের ব্যাটের কানা ছুঁয়ে সেটা উইকেটরক্ষক হাডিনের গ্লাভসে। টিভি আম্পায়ারের সাহায্য নিয়ে টেলরকে সাজঘরের পথ দেখান ধর্মসেনা।

     

    টেলরের উইকেটের জন্য আবেদন


     

    পরের বলটা ফুল লেন্থের পেস ডেলিভারি দিলেন। কোরি অ্যান্ডারসন ঠেকালেন রক্ষণাত্মক কায়দায়। তারপরই ফুল লেন্থ কুইকার। অ্যান্ডারসনের ব্যাট ফাঁকি দিয়ে সেটা আঘাত হানলো অফ স্ট্যাম্পে।

     

    অ্যান্ডারসনকে বোল্ড করে ফকনারের উল্লাস

     

    বিপর্যয় কাটিয়ে বড় সংগ্রহের পথে হাঁটা নিউজিল্যান্ড পাওয়ার প্লে’র শুরুতেই হারিয়ে ফেললো মূল্যবান আরও দুটি উইকেট! ম্যাচ তো ওখানেই কার্যত শেষ করে দিলেন ফকনার!


     

     

    এক ওভার বাদে লেন্থ আউটসাইড অফ ডেলিভারিতে প্রায় পরাস্ত করে ফেলেছিলেন এলিয়টকে। সে যাত্রায় বেঁচে গেলেও এলিয়টের পতনটা যে ম্যাচসেরার হাতেই ছিল। পরের ওভারেই কিউইদের দিনের সবচেয়ে সফল ব্যাটসম্যানটির ইনিংসের যবনিকা টানলেন ফকনার। আরও একটি স্লোয়ার ডেলিভারি এলিয়টের ব্যাটের বাইরের কানা ছুঁয়ে হাডিনের গ্লাভসে। ১৭১ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে নিউজিল্যান্ডের ইনিংস তখন পাততাড়ি গোটানোর অপেক্ষায়।