• দক্ষিণ আফ্রিকা-ইংল্যান্ড
  • " />

     

    'রাবাদাকে রাবাদার মতো থাকতে দাও'

    'রাবাদাকে রাবাদার মতো থাকতে দাও'    

    কাগিসো রাবাদার নিষেধাজ্ঞা নিয়ে হতাশাটা গোপন করেননি গ্রায়েম স্মিথ। আর তার উত্তরসূরি ফ্যাফ ডু প্লেসি বদলাতে নিষেধ করছেন রাবাদাকে। ট্রেন্টব্রিজ টেস্টে দলের অন্যতম সেরা বোলিং অস্ত্রকে না পাওয়ার হতাশাটা লুকাননি, তবে ডু প্লেসি বোধহয় দেখতে চান বিশাল কলেবরেই। 

     

    ‘আমি কেজিকে(কাগিসো রাবাদা) কখনোই বদলাতে বলবো না। সে যেভাবে খেলে, সেভাবে খেলাটাই গুরুত্বপূর্ণ। ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট সবারই তার প্রকৃতিগত প্রবৃত্তি আর ব্যাক্তিত্ব দরকার, কারণ এটাই সেরাটা বের করে আনে।’ 

     

    স্টোকসকে ব্যক্তিগতভাবে হেয় করাটা রাবাদার উদ্দেশ্য ছিল না বলেও মত প্রোটিয়া অধিনায়কের, ‘আমার মনে হয়, বেনের (স্টোকস) সঙ্গে কিছু নেই এতে। কেজির জন্য এটা একটা হতাশার কারণ ছিল শুধু। যে ছন্দে থাকতে চায়, সেটা ছিল না বলেই হতাশা বেরিয়ে এসেছে। আমি তাকে ব্যক্তিগতভাবে চিনি। সে খুবই শান্ত, ধীরপ্রকৃতির। সে ব্যাটসম্যানদের তেমন কিছু বলে না। এটা ছিল নিতান্তই হতাশার।’ 
     

     

    আর রাবাদার মতো স্টোকসও এমন ‘মেজাজে’ থাকেন বলে ডু প্লেসির ধারণা, ‘আমি বেনের সঙ্গে খেলেছি। সেও এমনই অগ্নিগর্ভ। এটাই তাকে এমন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ, এমন প্রখর বানায়। আমি তো আইপিলে তাকে ‘ড্রাগন’ বলতাম। রেগে গেলে যেন তার মুখ থেকে আগুন বের হতো! এটা দরকার। এমন চরিত্রে এটা দরকার। এক সেকেন্ডের জন্যও এটা হারানো উচিৎ নয়।’

     

    না হারালেও এমন কান্ডের পর টিম-ম্যানেজমেন্টের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন রাবাদা, জানিয়েছিলেন ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক ডিন এলগার। ডু প্লেসি কিছুটা বিস্মিতই হয়েছেন, ‘দলের জন্য সে ক্ষমা চাইবে, আমি এটা কখনোই ভাবিনি। আমার কাছে মনে হয়, আপনি কিসে তৈরী, এটা তাই প্রমাণ করে। সে যে দেশের হয়ে ভাল করার জন্য মুখিয়ে থাকে, সে এটাই দেখাচ্ছে।’ 

     

    অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ‘ললিগেট’ কেলেঙ্কারির পর থেকে নিজেও তিন ডিমেরিট পয়েন্ট নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন ডু প্লেসি। আবেগের ব্যাপারে তিনি বলছেন, ‘টেস্ট খেলা মানে হলো দেশের জন্য লড়াই করা। ম্যাচ জেতার জন্য আপনি সবকিছুই করবেন তখন। তবে নিয়ন্ত্রিত আবেগ গুরুত্বপূর্ণ। আমার কাছে তো এটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, যতক্ষণ না এটা আপনাকে আপনার দক্ষতা থেকে হটিয়ে না দেয়।’