• আইসিসি মহিলা বিশ্বকাপ
  • " />

     

    'মিথালিদের জয় হবে ২০১১ বিশ্বকাপের চেয়েও বড়'

    'মিথালিদের জয় হবে ২০১১ বিশ্বকাপের চেয়েও বড়'    

    মঞ্চ প্রস্তুত। লর্ডসে রবিবার ফাইনালে মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ড ও ভারত। মেয়েদের বিশ্বকাপের সবচেয়ে বড় ম্যাচ, বোধহয় ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ম্যাচ ভারতীয় মেয়েদের। সাবেক ভারতীয় ওপেনার গৌতম গম্ভীর বলছেন, মিথালি রাজ ট্রফিটা উঁচিয়ে ধরতে পারলে সেটা হবে ২০১১ সালের বিশ্বকাপ জেতার চেয়েও বড় কোনো ঘটনা! 

    ‘আমার মনে হয় এটা ২০১১ বিশ্বকাপ জেতার চেয়েও বড় কিছু হবে। আমরা দেশের মাটিতে খেলেছিলাম, কন্ডিশন চেনা ছিল। তারা কঠিন কন্ডিশনে খেলছে, অনেক মেয়েই তাদের দেখে অনুপ্রাণিত হয়েছে, যেমনটা হয়েছিল চাক দে ইন্ডিয়ার পর। অনেক মেয়েই এখন ক্রিকেট খেলতে চাইছে। তারা যদি বিশ্বকাপটা জিততে পারে, সেটা শুধু ২০১১ বিশ্বকাপ নয়, আমার তো মনে হয় ১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপ জেতার চেয়েও বড় কিছু হবে! তাদের জন্য অনেক শুভকামনা, প্রার্থনা।’ 

    তবে বিশ্বকাপ না জিতলেও ভারতীয়দের মাঝে অনেক বড় একটা প্রভাব ফেলেছেন মিথালিরা, বিশ্বকাপজয়ী ওপেনারের মত এমনই। বিসিসিআইকে তাই তিনি মেয়েদের ভাল বেতন, আর্থিক নিরাপত্তার ব্যাপারটা আরও ভালভাবে দেখতে বলেছেন। এমনকি মেয়েদের আইপিএলও চালু করার ব্যাপারে তারা ভাববেন বলেই ধারণা গম্ভীরের, ‘হারমানপ্রিত কৌরের এমন ভয়ডরহীন ইনিংসটা দেখেন, পারিপার্শ্বিক দিয়ে প্রভাবিত হয়নি ও। তার তো বিগব্যাশ খেলার অভিজ্ঞতা আছে।’ শুধু বিগব্যাশ লিগ নয়, ইংল্যান্ডেও মেয়েদের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট আছে। 

    ইংল্যান্ড এর আগে তিনবার জিতেছে বিশ্বকাপ, ভারতীয়দের সেখানে এটি দ্বিতীয় ফাইনাল। ফাইনালে 'ফেবারিট' তাই ইংল্যান্ডই। তবে ভারত সেমিফাইনালে রীতিমতো উড়িয়ে দিয়েছে বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ও র‍্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর দল অস্ট্রেলিয়াকে। বর্তমানে র‍্যাঙ্কিংয়ের চারে থাকা ভারত এ বিশ্বকাপে হারিয়েছে তাদের ওপরের সব দলকেই। এর আগে ২০০৫ সালে ফাইনাল খেলেছিলেন তারা, সেই ফাইনাল খেলা মাত্র দুজন আছেন এই দলেঃ অধিনায়ক রাজ ও ঝুলন গোস্বামী। তাদের দুজনেরই এটি হবে শেষ বিশ্বকাপ। 

    শেষ বিশ্বকাপে দলের মেয়েদের নিয়ে গর্বিত রাজ বলেছেন, ‘সবাই বলেন আমাদের আইসিসি টুর্নামেন্ট জিততে হবে। আমাদের মেয়েরা দেখিয়েছে, কিভাবে পেছনে পড়েও ফিরে আসতে হয়। এটা আমি গর্ব করে বলবো। আর এই টুর্নামেন্টটা ভারতে রীতিমত বিপ্লব ঘটিয়েছে বলেই মনে হয় আমার।’ 

    তা ঘটিয়েছে বটে। এ বিশ্বকাপে ভারতের সব ম্যাচই টেলিভিশন বা ইন্টারনেটে প্রচার করা হয়েছে সরাসরি। গত বিশ্বকাপ থেকে দর্শক বেড়েছে প্রায় ৪৭ শতাংশ। শুধু দর্শক-শ্রোতা নয়, মিথালিরা বিশ্বকাপ জিততে পারলে সেটা হবে আসলেই এসবের চেয়েও বেশি কিছু!