'অস্ট্রেলিয়া সফর আমাদের পাওনা'
ওদিকে চলছে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট বোর্ড ও ক্রিকেটারদের দরকষাকষি, আর এদিকে বিসিবির অপেক্ষা। আগস্টে দুই টেস্টের সিরিজ খেলতে বাংলাদেশ আসার কথা স্টিভেন স্মিথদের। কিন্তু লভ্যাংশ ভাগাভাগির ঝামেলায় যেন আটকে আছে সবকিছু। ঠিক আটকে নেই অবশ্য, সফর শুরুর আগে অস্ট্রেলিয়ার নিরাপত্তা ও সার্বিক ব্যবস্থা পর্যবেক্ষক দল ঘুরে গেছে বাংলাদেশ। সেখানে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে প্রতিনিধি ছিলেন অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন, এসিএর প্রতিনিধিও। তারা সন্তুষ্ট হয়েই ফিরে গেছেন বলে জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান।
অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটে চলমান সমস্যায় তাদের কোনও হাত নেই, সেটা আরেকবার বলেছেন তিনি, ‘আমাদের দায়িত্ব তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। প্রতিনিধি দলকে সেটা করা হয়েছে। তারা ইতিবাচক মতই দিয়ে গেছেন। বিসিবির তো আর কিছু করার নেই। আর তারা সফরে আসবে না, এটাও বলে নাই।’
অস্ট্রেলিয়ার মূলত বাংলাদেশে আসার কথা ছিল ২০১৫ সালেই। বিসিবির অনেক নিশ্চয়তার পরও নিরাপত্তার অজুহাত দেখিয়ে শেষ মুহুর্তে সফর বাতিল করেছিল তারা। নাজমুল বলছেন, অস্ট্রেলিয়া এখন নিরাপত্তার ব্যাপারটি ‘বুঝতে পেরেছে’, ‘তাদের যে দুই বছর আগেই আসা উচিৎ ছিল,সেটা তারা বুঝেছে। এ সফরটা আমাদের পাওনা আছে।’
এদিকে শুধু স্মিথরা নন, অস্ট্রেলিয়ার সফরের দিকে তাকিয়ে আছেন সাকিব আল হাসানরাও। ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ খেলতে যাওয়ার আগে সাকিব বলে গেছেন এমনই, ‘আগে অস্ট্রেলিয়া আসুক। বড় একটা বিরতি((আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে) গেল আমাদের। তাদের আসার মাধ্যমেই মৌসুম শুরু হবে। তারা যদি না আসে, তাহলে সরাসরি দক্ষিণ আফ্রিকা গিয়ে আমাদের জন্য খেলাটা কঠিন হবে। আশা করি অস্ট্রেলিয়া আসবে এবং ভালো একটা সিরিজ হবে।’
চ্যাম্পিয়নস ট্রফির পর থেকে আর খেলেনি বাংলাদেশ। এখন চলছে কন্ডিশনিং ক্যাম্প। ঢাকা পর্ব শেষ হয়ে ৪ আগস্ট থেকে দেশে থাকা ক্রিকেটাররা যাবেন চট্টগ্রামে। বিসিবি নতুন ব্যাটিং উপদেষ্টা এনেছে, বোলিং কোচ আসছেন, মোটামুটি নিশ্চিত হয়েছে স্পিন কোচ হিসেবে অস্ট্রেলিয়ান স্টুয়ার্ট ম্যাকগিলের আসাও। শুধু অস্ট্রেলিয়া দলের ব্যাপারেই নিশ্চিত হতে পারছে না বিসিবি। তবে আশা ছাড়েননি কেউ, না বোর্ড, না ক্রিকেটাররা।