দিনটা শুধুই ভারতের হতে দিলেন না লঙ্কান স্পিনাররা
পাল্লেকেলে টেস্ট, প্রথম দিনশেষে সংক্ষিপ্ত স্কোর
ভারত প্রথম ইনিংস ৩২৯/৬, ৯০ ওভার(ধাওয়ান ১১৯, রাহুল ৮৫, কোহলি ৪২, পুস্পকুমারা ৩/৪০, সান্দাকান ২/৮৪, ফার্নান্ডো ১/৬৮)
আরেকটা বড় ওপেনিং জুটি, আরেকবার রানের পাহাড়ে চড়ার পথে এগিয়ে যাওয়া ভারতের। দিনের শেষ অর্ধেক বাদ দিলে পাল্লেকেলে টেস্টের প্রথম দিনের চিত্রটা ছিল এমনই। সেই চিত্রপট বদলে দিলেন শ্রীলঙ্কার তিন বামহাতি বোলার। বামহাতি পেসার বিশ্ব ফার্নান্ডো, চায়নাম্যান লাকশান সান্দাকান, আর সবচেয়ে বেশী করে বামহাতি অর্থোডক্স মালিন্দা পুস্পকুমারা, দিনটা শুধুই ভারতের করে নিতে দেননি তো তারাই।
টসে জিতে ব্যাটিং নিয়েছিলেন বিরাট কোহলি। ১৮৮ রানের ওপেনিং জুটি ধাওয়ান-রাহুলের। প্রথমে ফিরলেন রাহুলই, তার আগে টানা ফিফটির বিশ্বরেকর্ডটাও ছুঁলেন। সেঞ্চুরিও হাতছাড়া করলেন, পুস্পকুমারার ফ্লাইটের প্রলোভনে এগিয়ে এসে মিড-অন ছাড়িয়ে মারতে গিয়ে ধরা খেলেন মিড-উইকেটে। চেতেশ্বর পুজারার সঙ্গে জুটিটা বেশিক্ষণ স্থায়ী হলো না ধাওয়ানের। এক ম্যাচ বাদ দিয়ে আবার সেঞ্চুরি করা ধাওয়ান সুইপ করতে গিয়েছিলেন সান্দাকানকে, অধিনায়ক দীনেশ চান্ডিমাল বাঁদিকে ঝুঁকে নিলেন অসাধারণ ক্যাচ।
হঠাৎ ধ্বস নামা আটকাতে ভারতের যেমন দুই স্তম্ভের দরকার ছিল, ক্রিজে তখন তারাই। চেতেশ্বর পুজারার সঙ্গে বিরাট কোহলি। তবে পুজারা টিকলেন না, নিজের পাহাড়সম ধৈর্য্যের চ্যূতি ঘটে গেল বেসক্যাম্পেই। সান্দাকানকে কাট করতে গিয়েছিলেন, উইকেটকিপার গ্লাভসে লেগে ক্যাচ গেল স্লিপে, ম্যাথিউসের কাছে। ৮ রান করেই আউট পুজারা, ব্যাটনটা দিলেন রাহানের হাতে।
পুস্পকুমারার বলে যেন স্নায়ুর পরীক্ষায় পড়ে গেলেন রাহানে। টার্নের কথা ভেবে খেলেছিলেন, বল ঘুরলো না, সোজা বলেই স্টাম্প ছত্রখান তার! এর আগে কোহলির সঙ্গে ছোট-খাট এক জুটি। ধৈর্য্যের পরীক্ষা দিয়ে কোহলি ছিলেন, ৪২ রানের ইনিংসে মেরেছিলেন ৩টি চার ‘মাত্র’। সান্দাকানকে অনেকখানি পা বাড়িয়ে ড্রাইভ করতে গিয়েছিলেন ‘উইথ দ্য টার্ন’-এ। বল ঘুরলো উল্টোদিকে, কোহলির ব্যাট চুমে শুধু স্লিপে ক্যাচটাই গেল। এতোদূর পা বাড়িয়েছিলেন কোহলি, দুই পা একত্র করার আগে তাই ভর দিতে হলো ব্যাটের ওপর!
জাদেজা নেই, ‘অলরাউন্ডার’ আশ্বিনেই ভর করতে চেয়েছিল ভারত। তিনি বনে গেলেন দিনে পেসের একমাত্র শিকার। ফার্নান্ডোকে খোঁচা মেরে দিলেন ক্যাচ, ডানদিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে অসাধারণভাবে নিলেন ডিকভেলা। নতুন বল নেয়ার তখন ওভার তিনেক হয়েছে, খেলার বাকিও ওভার তিনেক। দিনশেষে ঋদ্ধিমান সাহার সঙ্গে অপরাজিত হারদিক পান্ডিয়া।
১৮৮ রানে বিনা উইকেট থেকে পরবর্তী ৫০.৪ ওভারে ১৪০ রানে ৬ উইকেট, দিনের চিত্রটা বোঝাতে বোধহয় বেশ কাজে আসবে এই ছোট্ট পরিসংখ্যান!