• বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া
  • " />

     

    নিচু হয়ে আসা উইকেটেই স্মিথদের 'বাংলাদেশ-পরীক্ষা'

    নিচু হয়ে আসা উইকেটেই স্মিথদের 'বাংলাদেশ-পরীক্ষা'    

    তিনদিনের ম্যাচ হলেও নির্দিষ্ট করে দেয়া আছে ওভার। প্রথম ইনিংসে ৮০ ওভার, দ্বিতীয় ইনিংসে ৮৫ ওভার। টসে জিতে ব্যাটিং করতে নামা ওয়ার্নার একাদশ ৬ উইকেটে ৩৬০ রান করেই ঘোষণা করে দিয়েছে ইনিংস, ১১ ওভার বাকি থাকতেই। হ্যান্ডসকম্বের সেঞ্চুরির সঙ্গে ঝলক দেখিয়েছেন স্কোয়াডের বাইরে থাকা ডারউইন ব্যাটসম্যান জেক ওয়েদারাল্ড, করেছেন ৫২ বলে ৯৬। জায়গা পাওয়ার দাবি অবশ্য জোরালো করেছেন হিলটন কার্টরাইট, করেছেন ১২০ বলে ৮১ রান।  দিনশেষে স্মিথ একাদশ দুই ওপেনারকে হারিয়ে তুলেছে ৩২ রান। 

    ডারউইনের মারারা ওভালে অস্ট্রেলিয়ার নিজেদের মধ্যকার প্রস্তুতি ম্যাচেরই উল্লেখযোগ্য অংশ...

     

    ‘কিপিং করতেও রাজি’ 

    ভারত সফরে একটা ফিফটি, সম্ভাবনা জাগিয়েও গড়া হয়নি বড় ইনিংস। এবার বাংলাদেশ চ্যালেঞ্জটা নিতে যে প্রস্তুত পিটার হ্যান্ডসকম্ব, সেটা জানিয়ে দিলেন তাদের প্রস্তুতি ম্যাচের প্রথম দিনেই। ১৩০ বলে করেছেন ১০৫, স্পিনের বিপক্ষে পায়ের ব্যবহারও ছিল দারুণ। ধীরগতির আর নীচু উইকেটে যা ছিল কার্যকরী। তবে ওয়ার্নার একাদশের হয়ে উইকেটকিপিং করা এ ওপেনার বলছেন, প্রয়োজনে বাংলাদেশেও উইকেটকিপিং করতে রাজি তিনি। দলের কম্বিনেশনের কারণে হাতে গ্লাভসের কাজ করতে পারলে ‘খুশী’ই হবেন।  


    এ কেমন উইকেট! 

    বোলিংয়ে ওপেনিংয়ে এসেছেন নাথান লায়ন। তারও আগে জশ হ্যাজলউডের নীচু হয়ে যাওয়া বলে বোল্ড হয়েছেন ডেভিড ওয়ার্নার। এলবিডাব্লিউর ফাঁদে পড়েছেন ট্রাভিস হেড। আরেক দলের ওপেনার উসমান খাওয়াজা স্লিপে ক্যাচ দিয়েছেন নীচু হয়ে থাকা বলেই, হয়তো আশা করেছিলেন আরেকটু উঠবে বল! হাত ঘুরিয়েছেন স্টিভেন স্মিথ, উইকেটও নিয়েছেন দুইটি। শুধু মাঝে মাঝেই বয়ে যাওয়া বাতাসটা বাদ দিলে মারারা ওভাল যেন উপমহাদেশ বা বাংলাদেশী কন্ডিশনেরই কোনও ভেন্যু! ডারউইনে এ প্রস্তুতি ম্যাচের উদ্দেশ্যই অবশ্য সেটা, যতোটুকু সম্ভব ‘বাংলাদেশী’ উইকেট বানিয়ে নেয়া প্রস্তুতি। আগামীকাল আরও শুকিয়ে যাওয়ার কথা উইকেট, ধরার কথা স্পিনও। 


    সুয়েপসন-খাওয়াজা ‘হতাশা’ 

    একজন অভিষেকের অপেক্ষায়। আরেকজন ভারত সিরিজের পর দলে ফেরার অপেক্ষায়। তবে প্রস্তুতি ম্যাচের প্রথম দিনটা কেটেছে দুজনেরই হতাশায়! স্মিথ একাদশের সুয়েপসন দিয়েছেন ১৩ ওভারে ৯৪ রান। অবশ্য ‘বাজে’ বলে উইকেট পেয়ে গেছেন স্মিথ, কপাল খোলেনি সুয়েপসনেরই। লেগস্পিনারের চিরায়ত হতাশাটাই আরেকবার টের পেলেন তিনি! খাওয়াজার আউটের ধরন অবশ্য নির্বাচকদের চোখে লাগতে পারে, এমন উইকেটেও বলের গতিপথ বুঝতে না পেরে দিয়েছেন স্লিপে ক্যাচ, করেছেন ৬ রান। 


    ‘ব্যাটসম্যান’ অ্যাগার নেই 

    স্মিথ বলেছিলেন, স্পিনার থেকে অলরাউন্ডার বা ব্যাটসম্যান হয়ে যাওয়ার রুপান্তরের সামর্থ্য আছে অ্যাগারের। তবে নিজের ব্যাটিং সামর্থ্য নিয়ে জোরালো দাবি জানাতে পারেননি অ্যাগার, দ্রুত রান তুলতে গিয়ে আউট হয়ে গেছেন ১৪ রানেই। পরে লায়ন-রিচার্ডসনের পর এসেছেন বোলিংয়ে, উইকেট না পেলেও সংক্ষিপ্ত স্পেলটা ছিল অজিদের জন্য আশা-জাগানিয়া। দ্বিতীয় দিনে উইকেট থেকে সাহায্য পাওয়ার আশাতেই চেয়ে থাকবেন তিনি, যেমন চেয়ে আছেন বাংলাদেশের দিকেও।