• বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া
  • " />

     

    মিরপুরের 'বাজে' আউটফিল্ডের দায় আবহাওয়াকে দিচ্ছে বিসিবি

    মিরপুরের 'বাজে' আউটফিল্ডের দায় আবহাওয়াকে দিচ্ছে বিসিবি    

    ‘হোম অফ ক্রিকেট’, মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়াম বোধহয় বাংলাদেশের ক্রিকেটে এর চেয়েও বেশি কিছু। সংস্কারের মধ্য দিয়ে যাওয়াটা এবারই প্রথম নয়, মিরপুরের ঘাস বদলানো প্রায় নিয়মিতই ঘটনা। তবে এ সংস্কার নিয়ে একটু বিপাকেই পড়ে গেছে বিসিবি, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে প্রথম টেস্টের আউটফিল্ডকে ‘বাজে’ আখ্যা দেয়া হয়েছে আইসিসির প্রতিবেদনে। 

    বিসিবি এখন খন্ডানোর চেষ্টা করছে সেটাই। আইসিসিকে একটা প্রতিবেদনও পাঠানো হয়েছে এরই মাঝে। আর প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দীন চৌধুরি মিরপুরের মাঠের ‘বাজে’ অবস্থার জন্য দায় দেখছেন আবহাওয়ারও, ‘আপনারা জানেন যে, গত চার-পাঁচ মাসে বাংলাদেশে যে বন্যা পরিস্থিতি ও বৃষ্টি, তাতে সময় মতো মাঠটা প্রস্তুত করা একটা চ্যালেঞ্জিং কাজ ছিলো। তারপরও আমরা চেষ্টা করেছি। আমরা মনে করি, আমাদের গ্রাউন্ডস কমিটি খুব কষ্ট করে কাজ করেছে। বৈরি আবহাওয়াটা না থাকলে, এই অবস্থা হতো না।’

    শের-ই-বাংলার অতীত ‘রেকর্ড’ও ভাল বলেই মনে করিয়ে দিচ্ছেন তিনি, ‘২০০৫ সালে আইসিসির অনুমোদন পাওয়ার পর শের-ই-বাংলা নিয়ে কোনো অভিযোগ পাইনি। এই মাঠে আইসিসির কয়েকটি বড় আয়োজন এখানে হয়েছে। ২০১৪ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল এখানে হয়েছে। পরপর তিনটি এশিয়া কাপ আমরা এখানেই আয়োজন করেছি। মাঠের যে প্রস্তুতিতে কোনও ঘাটতি ছিলো, তা মনে করি না। বৈরি আবহাওয়ার কারণে এটা হয়েছে। ওরা কিন্তু শুধু মাত্র ঘাসের কারণে অভিযোগ করেছে। অন্যান্য দিক ঠিক আছে। এখন সময়ের সাথে সাথে এটা ভালো হয়ে যাবে।’

    আইসিসির এমন প্রতিবেদন নিয়মিত ঘটনা বলেও জানাচ্ছেন তিনি, ‘এটা নিয়মিত একটা ব্যাপার। কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ শেষ হলে ম্যাচ রেফারি কর্তৃক আইসিসিতে একটা প্রতিবেদন দেয়ার বিধান আছে। সেখানে আউটফিল্ড বা পিচের প্রতিবেদনে যদি ‘পুওর’ আসে, তাহলে আয়োজক দেশের একটা ব্যাখ্যা দেয়ার ব্যাপার থাকে। আমরা আইসিসির রিপোর্ট পেয়েছি। তারা শের-ই-বাংলার আউটফিল্ডকে ‘পুওর’ বলে আখ্যায়িত করেছে। আমরা ইতোমধ্যেই এ বিষয়ে আইসিসিকে একটা প্রতিবেদন দিয়ে দিয়েছি।’