তুষারের আরেকটি সেঞ্চুরি, সঙ্গে মেহেদিরও

খুলনা-বরিশাল (খুলনা)
খুলনা ১ম ইনিংস ৩৪৮/৩, ৯০ ওভার (মাহাদি ১৬৫*, তুষার ১৩২, আনামুল ১৩৪, তানভির ২/৫৪, রাব্বি ১/৪৫)
ঢাকা-রংপুর (বগুড়া)
বৃষ্টির কারণে প্রথম দিনের খেলা হয়নি
ঢাকা মেট্রো-সিলেট (কক্সবাজার)
বৃষ্টির কারণে প্রথম দিনের খেলা হয়নি
রাজশাহী-চট্টগ্রাম (রাজশাহী)
চট্টগ্রাম ৬৭/২, ৪৩ ওভার (মাহবুবুল ২২, ইমরুল করিম ১৮, সানজামুল ১/৪, সাকলাইন ১/৭)
ক্যালেন্ডার বলবে, বর্ষা পেরিয়ে শরৎ এসেছে। তবে বৃষ্টির কমতি নেই দেশে, জাতীয় লিগও প্রথম রাউন্ডের মতো পড়ছে বৃষ্টির কবলে। প্রথম রাউন্ডে সবচেয়ে বেশি ভুগেছিল কক্সবাজারের ম্যাচ, দ্বিতীয় রাউন্ডের প্রথম দিনও ভেসে গেছে সেখানে। ঢাকা মেট্রো ও সিলেটকে তাই বসেই কাটাতে হয়েছে দিন।
একই অবস্থা বগুড়াতেও, ঢাকা-রংপুরের খেলা হয়নি একটি বলও। রাজশাহীতে খেলা হয়েছে ৪৩ ওভার, রাজশাহীর বোলারদের খেলতে সেখানে গলদঘর্ম হতে হয়েছে চট্টগ্রাম ব্যাটসম্যানদের। ১.৫৬ হারে রান উঠেছে, একটি করে উইকেট নিয়েছেন সানজামুল ইসলাম ও সাকলাইন সজীব। ১০ ওভার বোলিং করে ৪ রান দিয়েছেন সানজামুল, মেইডেন নিয়েছেন ৬টি।
ভিন্ন চিত্র অবশ্য খুলনায়। সেখানে পুরো ৯০ ওভারই খেলা হয়েছে, আরেকবার নিজের ব্যাটিং কারিশমা দেখিয়েছেন তুষার ইমরান। ২৪তম প্রথম শ্রেণির সেঞ্চুরি পেয়েছেন অভিজ্ঞ এ ব্যাটসম্যান, তানভিরের বলে ক্যাচ দেয়ার আগে ২৫৪ বলে ১৬ চার ও ১ ছয়ে করেছেন ১৩২ রান।
অভিজ্ঞতার সঙ্গে খুলনার ব্যাটিংয়ের মিশেছে তারুণ্য। মেহেদী হাসান করেছেন ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি, ২৬১ বলে ১৬৫ রান করে আছেন অপরাজিত, ১৫টি চারের সঙ্গে তিনি মেরেছেন ২টি ছয়। তার ক্যারিয়ারসেরা ব্যাটিং এটিই, ছুটছেন এখন প্রথম ডাবল সেঞ্চুরির দিকে।
শুরুতে অবশ্য ধাক্কায় খেয়েছিল খুলনা। টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪৬ রানেই নেই দুই ওপেনার, আগের ম্যাচের দুই সেঞ্চুরিয়ান রবিউল ইসলাম ও এনামুল হক বিজয়। এরপরই তুষার-মেহেদীর ২৭২ রানের জুটি। যা গড়ে দিয়েছে খুলনার বড় স্কোরের ভিত, দ্বিতীয় দিনে বৃষ্টি এসে বাগড়া না বাধালেই হয় এখন!