রাজ্জাকের ৫ উইকেটে জিতল খুলনা

খুলনা-বরিশাল (খুলনা)
খুলনা ১ম ইনিংস ৪৪৪ অল-আউট, ১২৪.৩ ওভার (মেহেদি ১৭৭, তুষার ১৩২, এনামুল ৩৬, মনির ৭/৮৫, তানভির ২/৬৫) ও ২য় ইনিংস ২১৬/৭ ডিক্লে., ৪৯ ওভার (তুষার ৫৭*, নুরুল ৫৭, সোহাগ ৩/৭৮)
বরিশাল ১ম ইনিংস ২৫৮ অল-আউট, ৮০ ওভার (নুরুজ্জামান ১০১, রাফসান ৫৮, আল-আমিন ৪/৭২, রাজ্জাক ৪/৯০, মাশরাফি ১/২৬) ও ২য় ইনিংস ১৬৩ অল-আউট, ৬১ ওভার (ফজলে ৮৮, রাফসান ২৭, রাজ্জাক ৫/৩২, মইনুল ৩/১৯)
ফল : খুলনা ২৩৯ রানে জয়ী
ঢাকা-রংপুর (বগুড়া)
রংপুর ১ম ইনিংস ২৩৭/২ ডিক্লে., ৫২.৩ ওভার (সায়মন ৬৩ (অবসর), জাহিদ ৫৩ (অবসর), সোহরাওয়ার্দি ৫৬*, সবুজ ১/৪৬)
ঢাকা ১ম ইনিংস ১৫০/৩, ৪৪ ওভার (রনি ৬০, জয়রাজ ৪৫, সোহরাওয়ার্দি ২/২৮)
ফল : ম্যাচ ড্র
ঢাকা মেট্রো-সিলেট (কক্সবাজার)
ম্যাচ পরিত্যক্ত
রাজশাহী-চট্টগ্রাম (রাজশাহী)
চট্টগ্রাম ৪৩২ অল-আউট, ১৪২.৫ ওভার (ইয়াসির ৯৪, সাজ্জাদুল ৬৮, ইরফান ৬৫, কামরুল ৪৪, ইফতেখার ৪৩, শরিফুল ৩/৭০, নাজমুল ২/৪৪, সাকলাইন ২/৭৬) ও দ্বিতীয় ইনিংস ১/০, ১ ওভার
রাজশাহী ৪১৫ অল-আউট, ১১৮.১ ওভার (জহুরুল ৭৯, জুনাইদ ৭৭, ফরহাদ ৬০, সাইফউদ্দিন ৩/৭১, মেহেদি ২/৭০, ইফতেখার ২/৮০)
ফল : ম্যাচ ড্র
৪০৩ রানের লক্ষ্য, বরিশালের সামনে ছিল দীর্ঘ পথ। তৃতীয় দিনের ১২ ওভার নিরাপদেই কাটিয়েছিল বরিশাল, ওপেনিং জুটিও পরদিন পেরিয়েছে ফিফটি। ফজলে রাব্বি একদিক আগলে ছিলেন, তবে আব্দুর রাজ্জাকের তোপে শেষরক্ষা হয়নি তাদের। ক্যারিয়ারের ২৯তম বার ইনিংসে ৫ উইকেট পেলেন এ বাঁহাতি স্পিনার, সঙ্গে মইনুলের ৩ উইকেটে ৬১ ওভার ব্যাটিং করতে পেরেছে বরিশাল। প্রথম স্তরে খুলনা পেয়েছে প্রথম জয়, দ্বিতীয় রাউন্ডের একমাত্র জয়ও তাদেরই তাই। বাকি ম্যাচগুলোকে মেনে নিতে হয়েছে ড্র-ভাগ্য।
রাজশাহীতে তৃতীয় দিনশেষে জহুরুল ইসলাম অপরাজিত ছিলেন ৭৫ রানে। আর ৪ রান যোগ করেই আউট হয়েছেন শেষদিনে, তবে রাজশাহীকে টেনেছে জুনাইদ সিদ্দিক ও ফরহাদ হোসেনের দুই ফিফটি। লেট মিডল অর্ডার ও লোয়ার অর্ডাররাও খেলেছেন বেশ কিছুক্ষণ, রাজশাহীর ইনিংস শেষে চট্টগ্রাম দ্বিতীয় ইনিংসে খেলতে পেরেছে মোটে ১ ওভার। রাজশাহীতে জাতীয় লিগের দ্বিতীয় স্তরের ম্যাচ শেষ হয়ে গেছে এরপরই, ড্র ছাড়া যে ম্যাচের ভাগ্যে ছিল না আর কোনও ফল।
বগুড়ায় তৃতীয় দিন খেলা হয়েছিল ১৭ ওভার। চতুর্থ দিনের খেলাটা হয়ে পড়েছিল নিয়মরক্ষার, ঢাকা-রংপুর দুই দলই তাই করেছে নিতান্ত ব্যাটিং অনুশীলন। রংপুরের দুই ব্যাটসম্যান অবসর নিয়েছেন সতীর্থদের সুযোগ করে দিতে, রংপুর সুযোগ দিয়েছে ঢাকাকেও। ৪৪ ওভার ব্যাটিং করতে পেরেছে ঢাকা, তাদের প্রাপ্তি রনি তালুকদারের ১২তম প্রথম শ্রেণির ফিফটি।
তবে ব্যাটিং বা বোলিং অনুশীলনের সুযোগটাও পায়নি ঢাকা মেট্রো ও সিলেট। কক্সবাজারে আগের তিনদিনের মতোই অনপুযুক্ত ছিল মাঠ, চতুর্থ দিন লাঞ্চের সময়ই তাই পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে ম্যাচ।