আবুধাবিতে আসলে কার দিন?
দ্বিতীয় দিনশেষে
শ্রীলঙ্কা ৪১৯ অল-আউট, ১৫৪.৫ ওভার (চান্ডিমাল ১৫৫*, করুনারত্নে ৯৩, ডিকভেলা ৮৩, আব্বাস ৩/৭৫, ইয়াসির ৩/১২০)
পাকিস্তান ৬৪/০, ২৩ ওভার (মাসুদ ৩০*, আসলাম ৩১*)
আসলে কার দিন? ৬ উইকেট নিয়ে ১৯২ রান করা শ্রীলঙ্কার? ৩২ রানে ৪ উইকেট নেওয়া ও দিনশেষে বিনা উইকেটে ৬৪ করা পাকিস্তানের? নাকি সব ছাপিয়ে ১৫৫ রানে অপরাজিত থাকা দীনেশ চান্ডিমালের? নাকি ১১ ডেলিভারির মধ্যে তিন উইকেট নিয়ে শ্রীলঙ্কার লেজ ছেঁটে ফেলা মোহাম্মদ আব্বাসের?
বিতর্ক তোলা থাকুক আপাতত। আবুধাবির দ্বিতীয় দিনটা আসলে টেস্ট ক্রিকেটের জন্যই দারুণ।
আগেরদিন যেখান থেকে শেষ করেছিলেন চান্ডিমাল ও নিরোশান ডিকভেলা, এদিন শুরু করেছেন সেখান থেকেই। প্রথম দিনশেষে দুজনের জুটি ছিল ৬৬ রানের, সেটাকে টেনে নিয়ে গেছেন ১৩৪ রানে। দুজনের ১০০ রানের জুটিতে ডিকভেলার অবদানই ছিল ৬৬ রানের। লাঞ্চের আগেই শ্রীলঙ্কা তুলেছে ৯৫ রান, তার আগেই অবশ্য পাকিস্তানকে ব্রেকথ্রু এনে দিয়েছেন হাসান আলি। আড়াআড়ি ব্যাটে গ্লান্স করতে গিয়ে স্টাম্পে ডেকে এনেছেন বল ডিকভেলা, ৮৩ রান করে।
চান্ডিমাল অবশ্য সঙ্গ পেয়েছেন এরপরও। ১১৭ বলে ৩৩ রান করে চান্ডিমালের ক্যারিয়ারের নবম সেঞ্চুরি দেখেছেন দিলরুয়ান পেরেরা, ড্যাডি-হান্ড্রেডটাই শুধু দেখে যেতে পারেননি। ব্যাটিংয়ে নেমেই রিভিউ নিয়ে বেঁচে গিয়েছিলেন, হারিস সোহেলের বলে এলবিডাব্লিউ হয়ে বাঁচেননি আর।
রঙ্গনা হেরাথও রিভিউ নিয়েছিলেন। তবে তৃতীয় আম্পায়ারও ইয়াসির শাহকে স্বস্তিই দিয়েছেন, ৪৫ ওভার পর যে এটাই ছিল পাকিস্তানী লেগস্পিনারের প্রথম উইকেট! এরপরই ত্রাস হয়ে এলেন আব্বাস। প্রথমে এলবিডাব্লিউ সুরঙ্গা লাকমাল, পরের ওভারের চতুর্থ বলে এলবিডাব্লিউ লাকশান সান্দাকানও। দুজনই মোটামুটি ‘ডেড’ ছিলেন স্টাম্পের সামনে।
নবম উইকেটের সময় নন-স্ট্রাইকে ছিলেন চান্ডিমাল, থাকতে হলো সেখানেই, ক্যারিয়ার সর্বোচ্চ ইনিংস থেকে ৭ রান দূরে। পরের বলে নুয়ান প্রদীপের প্যাডও আটকাতে পারলো না আব্বাসের বল, হলেন বোল্ড। পরের ইনিংসে তাই হ্যাটট্রিকের সামনে দাঁড়িয়ে তিনি।
শ্রীলঙ্কার লেজ মুড়ে দেওয়ার পর দিনটা নিরাপদেই কাটিয়ে দিয়েছেন শান মাসুদ ও সামি আসলাম। যে দিনটা আসলে কার, সেটা নিয়ে হতে পারে বিতর্ক। তবে এটা নিশ্চিত করেই বলা যায়, দিনটা ইয়ান গৌল্ডের ছিল না। প্রথম দিনের মতো এদিনও অসুস্থ ছিলেন তিনি, তার জায়গায় নামতে হয়েছে রিচার্ড কেটেলব্রোকে।