পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কার মাঝে ব্যবধান আজহার
তৃতীয় দিনশেষে
শ্রীলঙ্কা ১ম ইনিংস ৪১৯ অল-আউট, ১৫৪.৫ ওভার (চান্ডিমাল ১৫৫*, করুনারত্নে ৯৩, ডিকভেলা ৮৩, আব্বাস ৩/৭৫, ইয়াসির ৩/১২০)
পাকিস্তান ১ম ইনিংস ২৬৬/৪, ১১২.৪ ওভার (আজহার ৭৪*, মাসুদ ৫৯, আসলাম ৫১, হেরাথ ২/৪৭, প্রদীপ ১/৪৪)
পাকিস্তান ১ম ইনিংসে ১৫৩ রানে পিছিয়ে
প্রথম সেশনে দুই উইকেট। লাঞ্চের পর কোনো উইকেট নেই, চা-বিরতির পর আবার দুই উইকেট। একটি আবার দিনের শেষ ওভারে। তবুও জোর গলায় বলার উপায় নেই, আবুধাবিতে তৃতীয় দিনটা শ্রীলঙ্কার। তবে পাকিস্তানের শেষের দিকের দুই উইকেট নিয়ে চতুর্থ দিনটা নিশ্চিতভাবেই একটু এগিয়ে থেকেই শুরু করবে শ্রীলঙ্কা।
পাকিস্তানের দুই ওপেনার তৃতীয় দিনের শুরুর ঘন্টাটাও কাটিয়েছিলেন নিরাপদে থেকেই, ঠিকঠিক ১০০ রানে। শান মাসুদ তৃতীয় ফিফটিটা পেয়েছেন তার আগেই। খানিক বাদে সামি আসলাম পেয়েছেন তার ৭ম ফিফটি। প্রথম ব্রেকথ্রুটা শ্রীলঙ্কা পেয়েছে রিভিউ নিয়ে, আসলাম পেছনের পায়ে খেলতে গিয়ে ফাঁদে পড়েছেন দিলরুয়ান পেরেরার বলে। ‘সাথী হারা সারথি’র মতো করে তাকে অনুসরণ করেছেন মাসুদ, রঙ্গনা হেরাথের বলে বোল্ড হয়ে। আগে থেকেই ঠিক করে রাখা সুইপ শট খেলতে গিয়েছিলেন, কিন্তু যেভাবে খেললেন, আর যাই হোক, ইউনুস খান দেখে থাকলে কোনোভাবেই খুশী হবেন না!
২ উইকেটে ১২১ রান নিয়ে লাঞ্চে গিয়েছিল পাকিস্তান, দুইজন নতুন ব্যাটসম্যান নিয়ে। আজহার আলি ও আসাদ শফিকের হাতে তখন হঠাৎ দুই উইকেট হারানোর বিপর্যয় সামলে ওঠার দায়িত্ব। চতুর্থ উইকেটে দুজনের জুটি যখন ৫০ হলো, দুজনের রানই তখন ২৪। চা-বিরতিতে পাকিস্তান গেল ১৯৪ রান নিয়ে, ওই ২ উইকেটেই।
শফিক এরপর সহজ ক্যাচ দিলেন থিরিমান্নের হাতে, হেরাথের বলে। ৩৯ রান করে থিতু হওয়ার পর শফিকের সে শটটার জন্য তোলা থাকে একটাই বিশেষণ, ‘বাজে’। তবে বাবর আজমের শটটা অবশ্য ছাড়িয়ে যাবে শফিকেরটাও, যেটাকে বলতে হবে ‘অতি বাজে’। নুয়ান প্রদীপের লেগস্টাম্প দিয়ে বেড়িয়ে যাওয়া বলে ব্যাট লাগিয়েছেন, দিনের শেষ ওভারে। আজহারের সঙ্গে ৫০ রানের জুটি বা নিজের ২৮ রান ও ৮১ বলে খেলে থিতু হওয়া, কিছুই বিরত রাখতে পারেনি তাকে। আজমের আউটের পরই শেষ হয়ে গেছে দিনের খেলা।
পাকিস্তানের ভরসা হয়ে টিকে আছেন ক্যারিয়ারের ২৬তম ফিফটি ও ৮ম পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান হিসেবে ৫০০০ রান পূর্ণ করা আজহার, পাকিস্তানকে নিরাপদে নিয়ে যেতে তাকে খেলতে হবে চান্দিমালের মতো কোনো ইনিংস। আর শেষের দিকে উইকেট নেওয়া শ্রীলঙ্কা চাইবে চতুর্থ দিন দ্রুতই তাকে ফেরাতে, সঙ্গে চাপে ফেলতে পাকিস্তানকে।
সব মিলিয়ে তৃতীয় দিনশেষে মরুর বুকে আরেকটি রোমাঞ্চের আভাসই দিচ্ছে আবুধাবি টেস্ট।