জিয়ার সেঞ্চুরির পরও চাপে খুলনা

জাতীয় লিগ, তৃতীয় রাউন্ড, তৃতীয় দিনশেষে
খুলনা-ঢাকা (চট্টগ্রাম)
খুলনা ১ম ইনিংস ৫১৯/৯, ১৪৭ ওভার (নাদিফ ১৬৬, মোশাররফ ১২৫, তাইয়াবুর ৭৯, শুভাগত ৬৬, মেহেদী ৩/১০৩, আলামিন ২/৪৪)
খুলনা ১ম ইনিংস ২৪৭ অল-আউট, ৭১ ওভার (জিয়াউর ১০৪, নুরুল ৩১, অপু ৪/৭৯, হোম ৩/৫৫) ও ২য় ইনিংস (ফলোয়িং অন) ৭/০, ৭ ওভার
ঢাকা মেট্রো-রাজশাহী (খুলনা)
রাজশাহী ১ম ইনিংস ২২০ অল-আউট, ৭৭.১ ওভার (জুনাইদ ৮৫, মিজানুর ৫৬, ডলার ৩/৩৫, শরীফ উল্লাহ ৩/৫৭)
মেট্রো ১ম ইনিংস ১০৬/৩, ৫১.৪ ওভার (মার্শাল ৫৪*, সাদমান ৩২, শরিফুল ১/৪, ফরহাদ ১/৫)
বরিশাল-রংপুর (রাজশাহী)
রংপুর ৬১ রান, ১৬.২ ওভার (সোহরাওয়ার্দি ৩৪*, জাভিদ ২৪*, কামরুল ১/২০)
চট্টগ্রাম-সিলেট (বগুড়া)
খেলা হয়নি এখনও
১ম দিন খেলা হয়েছিল মাত্র ৩৯ ওভার, পরের দুইদিন অবশ্য সেটা পুষিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে, খেলা হয়েছে ১৯৬ ওভার। এ দুইদিনের খেলাতেই চাপে পড়ে গেছে খুলনা, পড়ে গেছে ফলো-অনে। চট্টগ্রামে প্রথম ইনিংসে বোলিংয়ের পুনরাবৃত্তি করলে দারুণ এক জয়ও পেয়ে যেতে পারে ঢাকা।
আগের দিন ৯৮ রানে অপরাজিত থাকা মোশাররফ হোসেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরিটা পেয়ে গেছেন, ১২৫ রানে অপরাজিত ছিলেন মোহাম্মদ শরিফ ইনিংস ঘোষণা করার সময়। ব্যাটিংয়ে নেমে চাপে পড়েছে খুলনা, ৮৪ রানেই হারিয়েছে ৫ উইকেট। নুরুল হাসান সোহানের সঙ্গে জিয়াউর রহমান এরপর গড়েছেন ৬৯ রানের জুটি। নুরুল ৩১ রানে আউট হলেও ছিলেন জিয়া। ক্যারিয়ারের ৬ষ্ঠ সেঞ্চুরিটাও পেয়ে গেছেন। ১১৬ বলে করেছেন ১০৪ রান, ১২ চার ও ৫ ছয়ে। তবে সে সেঞ্চুরির পরও ফলো-অন আটকাতে পারেনি খুলনা, জিয়ার উইকেটসহ আরও তিনটি উইকেট নিয়েছেন বাঁহাতি স্পিনার নাজমুল অপু, শুভাগত হোম নিয়েছেন ৩টি। ২য় ইনিংসে ৭ ওভার অবশ্য নিরাপদেই কাটিয়ে দিয়েছেন খুলনার দুই ওপেনার।
খুলনায় খেলা হয়েছে ৪৭.২ ওভার, মার্শাল আইয়ুব পেয়েছেন প্রথম শ্রেণির ৩২তম ফিফটি। সরিয়ে দিয়েছেন আগের দিনে ১০ রানেই ২ উইকেট হারানোর চাপটা। শুরুতে সাদমানকে নিয়ে ৪৫ রানের জুটি গড়েছেন মার্শাল, মেহরাব জুনিয়রের সঙ্গে ৪১ রানের। তবে মার্শাল ইনিংসটা বড় করার সুযোগ পাননি আর আজ, বৃষ্টি এসে বাধিয়েছে বাগড়া।
রাজশাহীতে খেলা শুরু হয়েছে বিকেল ৪টার সময়, ২৩ ওভার খেলার কথা থাকলেও হতে পেরেছে ১৬.২ ওভার। সায়মন আহমেদের উইকেট হারিয়ে রংপুর করেছে ৬১ রান। একমাত্র উইকেটটি নিয়েছেন পেসার কামরুল ইসলাম রাব্বি।
চট্টগ্রামে যখন পুরো খেলা হচ্ছে, বগুড়ায় তখন হাপিত্যেশ করছে চট্টগ্রাম! তৃতীয় দিনে এসেও শুরু হতে পারেনি সিলেটের সঙ্গে তাদের ম্যাচ।