• পাকিস্তান-শ্রীলংকা সিরিজ
  • " />

     

    করুনারত্নের সেঞ্চুরিতে শুরু শ্রীলঙ্কার 'গোলাপি-যাত্রা'

    করুনারত্নের সেঞ্চুরিতে শুরু শ্রীলঙ্কার 'গোলাপি-যাত্রা'    

    দুবাই টেস্ট, প্রথম দিনশেষে 
    শ্রীলঙ্কা ২৫৪/৩, ৯০ ওভার (করুনারত্নে ১৩৩*, চান্ডিমাল ৪৯*, ইয়াসির ২/৯০)


    আগের ম্যাচে সাত রানের জন্য সেঞ্চুরি না পাওয়ার দুঃখে পুড়েছিলেন। দিমুথ করুনারত্নে সেই দুঃখ ভুলতে চাইলেন পরের ম্যাচেই। তার ক্যারিয়ারের ৭ম সেঞ্চুরিতেই দুবাই টেস্টের প্রথম দিন শেষে নিজেদেরকে বেশ সুবিধাজনক স্থানে নিয়ে গেছে শ্রীলঙ্কা। সঙ্গী দীনেশ চান্ডিমাল অপরাজিত আছেন হাফ সেঞ্চুরি থেকে এক রান দূরে। 

    এ ম্যাচ দিয়েই দিবা-রাত্রির টেস্টের অভিজ্ঞতা প্রথমবার নিল শ্রীলঙ্কা। টসে জিতে চান্ডিমাল ব্যাটিং নিতে ভুল করেননি, পাকিস্তানকে তাই আবুধাবির মতোই শেষ ইনিংসে মোকাবেলা করতে হবে হেরাথ চ্যালেঞ্জ। কিন্তু আজই অবশ্য হেরাথ এলেন না, পাকিস্তানের হয়ে যা আসবার ইয়াসির শাহই এলেন। তার ধীরগতির টার্নেই জোরের ওপর খেলতে গিয়ে সরফরাজকে ক্যাচ দিয়েছেন কৌশল সিলভা, তার আগেই ফিফটি ছাড়িয়েছে ওপেনিং জুটি। 

    অভিষেকে তিন নম্বরে নেমেছিলেন সাদিরা সামারাবিক্রমা, ক্যামিও খেলেছেন সেখানেই। ৫ চার ও ১ ছয়ে ৩৫ বলে ৩৮ রান করে আমিরের বলে তাকেই দিয়েছেন ক্যাচ। পরের আঘাতটাও দ্রুতই করেছিল পাকিস্তান, চার রান পরই কুশাল মেন্ডিস ক্যাচ দিয়েছেন ইয়াসিরের বলে। ১৩৫ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচে ফেরার ইঙ্গিত দিচ্ছিল পাকিস্তান। তবে ম্যাচের বাকিটা সময় তাদের হতাশই করে গেছেন করুনারত্নে ও চান্ডিমাল। চতুর্থ উইকেটে এ দুজনের সিরিজে দ্বিতীয় শতরানের জুটি এটি, অথচ ভারতের সঙ্গে ছয় ইনিংসে তারা যোগ করতে পেরেছিলেন মাত্র ৭৭ রান। 

    সেঞ্চুরির পরও থামেননি ১৫টি চার ও ১টি ছয় মারা করুনারত্নে। বরং দিনশেষে অপরাজিত আছেন এ বছরে নিজের রানের ট্যালিটা ৮৭০ পর্যন্ত নিয়ে গিয়ে। এ তালিকায় তার চেয়ে এগিয়ে আছেন শুধু ডিন এলগার ও হাশিম আমলা। এতসব পরিসংখ্যানের ভীড়ে আছে আরেকটা তথ্যও, চান্ডিমালকে আউট করতে চেয়ে পাকিস্তানের দুইটি রিভিউই নষ্ট করে ফেলেছেন সরফরাজ। তাদের আশঙ্কা আছে আরও একটি, খেলার শেষদিকে হ্যামস্ট্রিংয়ে টান নিয়ে উঠে গেছেন মোহাম্মদ আমির।