• পাকিস্তান-শ্রীলংকা সিরিজ
  • " />

     

    শ্রীলঙ্কার দিনেও করুনারত্নের আক্ষেপ

    শ্রীলঙ্কার দিনেও করুনারত্নের আক্ষেপ    

    দুবাই টেস্ট, দ্বিতীয় দিনশেষে 
    শ্রীলঙ্কা ১ম ইনিংস ৪৮২ অল-আউট, ১৫৯.২ ওভার (করুনারত্নে ১৯৬, চান্ডিমাল ৬২, পেরেরা ৫৮, ডিকভেলা ৫২, ইয়াসির ৬/১৮৪, আব্বাস ২/১০০)
    পাকিস্তান ১ম ইনিংস ৫১/০, ১৮ ওভার (আসলাম ৩০, মাসুদ ১৫)


    আহা, ক্লান্তি! দিমুথ করুনারত্নের শটটা দেখলে সবার আগে এটাই মনে হওয়া স্বাভাবিক! ওয়াহাব রিয়াজের ‘নাকল’ বলটা বাউন্স করলো প্রত্যাশার চেয়ে একটু বেশি, করুনারত্নে শুধু বাড়িয়ে দিতে হয় বলেই যেন ব্যাটটা বাড়ালেন। বিপত্তি হয়ে গেল তাতেই, বেরসিক বলটা নেমে এলো স্টাম্পের ওপর! করুনারত্নে যেন নিজেই বিশ্বাস করতে পারছিলেন না, যাওয়ার আগে নাইজেল লং তাকে থামালেন নো বল দেখার জন্য, তার সঙ্গে কথা বলার সময়ও চোখমুখে একটা অবিশ্বাস মাখানো হতাশার ছাপ! ক্যারিয়ারের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি থেকে চার রান দূরে আউট হয়ে গেলে হতাশা ছাড়া আর কিইবা সম্বল হবে তখন! 

    তবে করুনারত্নের আক্ষেপ ছাপিয়ে দুবাই টেস্টের দ্বিতীয় দিনশেষেও নিয়ন্ত্রণে হাতটা ওপরের দিকেই আছে শ্রীলঙ্কার। প্রথম স্পিনার হিসেবে ইয়াসির শাহর টানা পাঁচ টেস্টে পাঁচ উইকেটের রেকর্ডের পরও শ্রীলঙ্কা প্রথম ইনিংসে করেছে ৪৮২, দিনশেষে পাকিস্তান পিছিয়ে আছে ৪৩১ রানে, আছে অবশ্য সব উইকেটই। 

    আগের দিন ৪৯ রানে অপরাজিত থাকা চান্ডিমাল দিনে ইয়াসিরের প্রথম শিকার, পাকিস্তানের প্রথম ব্রেকথ্রুও সেটাই। এই চান্ডিমালের জন্যই সরফরাজ আহমেদ দুইটি রিভিউই খরচ করে ফেলেছিলেন, অথচ তিনিই আউট হয়ে রিভিউ না নিয়েই হাঁটা দিলেন। তার আক্ষেপটা বাড়িয়ে দিতে হক-আই দেখালো, ইয়াসিরের বলটা মিস করে যেতো স্টাম্প। নিরোশান ডিকভেলা আরেকবার দেখালেন, শ্রীলঙ্কান ব্যাটিং লাইন-আপের চেহারাটা তিনি খানিকটা হলেও উজ্জ্বল করতে পারেন। ছয় নম্বরে নেমে ৫৩ বলে করলেন ৫২, মোহাম্মদ আব্বাসের বলে ক্যাচ দিলেন সরফরাজকে। করুনারত্নের সঙ্গে ৮৮ রানের জুটিতে তার অবদানই তো বেশি। 

    এরপর দিলরুয়ান পেরেরার সঙ্গে জুটি করুনারত্নের, ৫৯ রানের মাঝে করুনারত্নের অবদান ১৬। ক্লান্তি এসে ভর করা শুরু করেছিল, এরপর তো পিষ্টই হলেন। আগের টেস্টে ৯৩ রানে আউট হয়েছিলেন, এবার হলেন ১৯৬-তে। তাতে অবশ্য ইনিংসটার মাহাত্ম্য কমছে না, শ্রীলঙ্কাকে চালকের আসনে বসিয়েছে তো তার ৪০৫ বলের অসাধারণ ইনিংসটিই। 

    হেরাথ-পেরেরা মিলে শ্রীলঙ্কাকে ৪৫০-এর সীমা অতিক্রম করিয়েছেন, পাকিস্তানকে তাদের ‘ধার করা ঘরে’ প্রথমবার সিরিজ হারের স্বাদ দেওয়ার আশঙ্কা জাগানোর মতো স্কোরটাও হয়ে গেছে। আর ইয়াসিরের রেকর্ড গড়া ছয় উইকেট এসেছে প্রায় ৫৬ ওভার বোলিংয়ের পর।

    তবে এই টেস্টে পাকিস্তানের ইয়াসির নির্ভরতা বেড়ে গেছে আরও, মোহাম্মদ আমির ছিটকে গেছেন দুবাই টেস্ট থেকে। আগেরদিন হাঁটুর নিচ অংশে চোট নিয়ে উঠে গিয়েছিলেন, এদিন নেমে বোলিং করতে পেরেছেন মাত্র তিন ওভার। এরপর আবার উঠে যাওয়ার পরে স্ক্যান রিপোর্টে জানা গেছে, শুধু এই টেস্ট নয়, আমির খেলতে পারবেন না ওয়ানডে সিরিজেও।