চাপে রেখেও চট্টগ্রামকে হারাতে পারল না ঢাকা মেট্রো

জাতীয় লিগ ২০১৭-১৮, চতুর্থ রাউন্ড
রংপুর-খুলনা (প্রথম স্তর, রাজশাহী)
খুলনা ১ম ইনিংস ২১৮ অল-আউট, ৫৮.৪ ওভার (বিজয় ৬১, নাহিদুল ৫১, মিঠুন ২৭, আরিফুল ৪/৪৯, সোহরাওয়ার্দি ৪/৫৭, তানভির ২/২১) ও ২য় ইনিংস ১৪১/১, ৪৩ ওভার (মাহাদি ৮৮*, রবি ২৯, তানভীর ১/১১)
রংপুর ১ম ইনিংস ৩১৭/৯ ডিক্লে., ৮০.৪ ওভার (জাভেদ ১১৫, ধীমান ৬৯, জিয়াউর ৩/২৯, মাহাদি ২/৫২, রাজ্জাক ২/১৩৬)
ফল : ম্যাচ ড্র
ঢাকা-বরিশাল (প্রথম স্তর, খুলনা)
ঢাকা ১ম ইনিংস ২৫০ অল-আউট (রনি ৬৮, শরিফ ৫৮, তাইয়াবুর ৪৬, সালমান ৪/৩৮, মনির ৩/৫৩, তানভির ২/২৬) ও ২য় ইনিংস ১১০/৩, ৩৮ ওভার (রকিবুল ৩৯*, জাহিদুজ্জামান ৩৭,সোহাগ ১/১১)
বরিশাল ২৯৯ অল-আউট, ১০২ ওভার (সোহাগ গাজি ৭৩, শামসুল ৫৬, নুরুজ্জামান ৫১, শাহিন ৩০, শুভাগত ৪/৬২, শরিফ ২/৬৫, মোশাররফ ২/৬৬)
ফল : ম্যাচ ড্র
চট্টগ্রাম-ঢাকা মেট্রো (দ্বিতীয় স্তর, চট্টগ্রাম)
ঢাকা মেট্রো ১ম ইনিংস ৩৬৯/৯ ডিক্লে., ১৩১.১ ওভার (মেহরাব ৯৪*, আশরাফুল ৬৬, আসিফ ৬৪*, ইফতেখার রনি ৫/৯১) ও ১৬৫/৩, ডিক্লে., ২১ ওভার (শামসুর ১০২, আসিফ ২০, ইফতেখার ১/৩২)
চট্টগ্রাম ১ম ইনিংস ২৬১ অল-আউট, ৯০.৫ ওভার (সাজ্জাদুল ৫৯, ওয়াহিদুল ৫৮, মাহবুবুল ৪০, আশরাফুল ৩/৬৫, শহিদ ২/৬৯, নিহাদ ২/৫৬) ও ২য় ইনিংস ৯৭/৬, ৪৯ ওভার (সাদিকুর ৩৩, ইরফান ২১, নিহাদ ২/১১, সৈকত ২/২৫)
ফল : ম্যাচ ড্র
রাজশাহী-সিলেট (দ্বিতীয় স্তর, বগুড়া)
সিলেট ১ম ইনিংস ২২১ অল-আউট, ৭২.৩ ওভার (আবুল ৬০, সায়েম ৪৭, দেলোয়ার ৪/৭২, ফরহাদ ৩/৬২) ও ২য় ইনিংস ১৫১/২, ৬৩ ওভার (ইমতিয়াজ ১০৮, সাকলাইন ১/৪৪)
রাজশাহী ১ম ইনিংস ৩৭০/৭ ডিক্লে., ৭৭ ওভার (মিজানুর ১৪৩, জুনায়েদ ৮৯, জায়েদ ৪/৮০, ইমরান ৩/১০১)
ফল : ম্যাচ ড্র
যা রোমাঞ্চ ছিল জাতীয় লিগের চতুর্থ রাউন্ডে, তার সব এসে ঠেকেছিল চট্টগ্রামেই। ঢাকা মেট্রোকে জিততে হলে প্রয়োজন ছিল একদিনে ১২ উইকেট, তারা নিতে পেরেছে ৮টি। ৪৯ ওভারে ২৭৪ রানের লক্ষ্যে ২য় ইনিংসে চট্টগ্রাম অধিনায়ক ইরফান শুক্কুর ১১১ বলে ২১ রানের ইনিংস খেলেছেন, সঙ্গে ছিলেন ৪৯ বলে ৭ রান করা ইফতেখার সাজ্জাদ ও ২১ বলে ১ রান করা কাজি কামরুল। চট্টগ্রামকে নিরাপদে নিয়ে গেছেন তারাই।
দিনে প্রথম ঝড়টা তুলেছিলেন চট্টগ্রামেরই ওয়াহিদুল আলম। দশ নম্বরে নেমে তিনি খেলেছেন ৩৮ বলে ৫৮ রানের ইনিংস, ৪টি চারের সঙ্গে মেরেছেন ৫টি ছয়। মেহেদি হাসানের সঙ্গে ৯ম উইকেটে তার জুটি ৬৭ রানের।
১০৮ রানের লিড পেয়েছিল ঢাকা মেট্রো, যা নিরাপদ নয়, আবার জয়ের জন্য দ্বিতীয় ইনিংসে বোলারদের জন্যও রাখা দরকার প্রয়োজনীয় সময়। সব সমীকরণ ইঙ্গিত দেয় একটিই, দ্বিতীয় ইনিংসে মেট্রোকে তুলতে হবে দ্রুতগতিতে রান। মেট্রোর ব্যাটসম্যানরা করলেন সেটাই, ২১ ওভারেই তুলে ফেললেন ১৬৫ রান।
দ্রুতগতির মেট্রো ইনিংসে সবচেয়ে দ্রুত ছিলেন শামসুর রহমান। বাংলাদেশের হয়ে টেস্ট খেলা এ ওপেনার ১০২ রান করেছেন ৬৭ বলে। ৮টি চারের সঙ্গে ছয় ছিল ৫টি।
ব্যাটিংয়ে নেমে চাপে পড়েছিল চট্টগ্রাম। ২১ ওভারের মাঝেই নেই ৫ম উইকেট। তখনও বাকি ৩০ ওভারের মতো, ইরফান দাঁড়িয়ে গেলেন একপ্রান্তে। মেট্রোর দ্বিতীয় ইনিংসের পুরো বিপরীত এক ইনিংস খেললেন তারা, নিশ্চিত ঠেকিয়ে দিলেন দলের পরাজয়ও। অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের জন্য ম্যাচসেরা হয়েছেন মোহাম্মদ আশরাফুল।
খুলনায় ঢাকা-বরিশালের চতুর্থ দিনে খেলা হতে পারেনি প্রচন্ড বৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাসের কারণে। রাজশাহীতে খেলা হয়েছে ৩৩ ওভার, আগেরদিন ১৪ রানে অপরাজিত থাকা খুলনার ওপেনার মাহাদি হাসান করেছেন ৮৮ রান। সেখানে ম্যাচসেরা হয়েছেন রংপুরের ওপেনার জাভেদ।
বগুড়ায় অবশ্য খেলা হয়েছে পুরো দিনই। আগেরদিন ২৭৯ রান করা রাজশাহী স্কোর বাড়িয়ে নিয়েছে ৩৭০ পর্যন্ত, প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেছে এরপরই। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ের সুযোগটা সিলেটের ব্যাটসম্যানরা নিয়েছেন ভালভাবেই, অধিনায়ক ইমতিয়াজ হোসেন করেছেন ক্যারিয়ারের ৮ম সেঞ্চুরি। ১৬০ বলে ১৪ চার ও ৪ ছয়ে করেছেন ১০৮ রান।