• পাকিস্তান-শ্রীলংকা সিরিজ
  • " />

     

    ওয়ানডেতে 'চেনা' শ্রীলঙ্কার সামনে 'অন্য' পাকিস্তান

    ওয়ানডেতে 'চেনা' শ্রীলঙ্কার সামনে 'অন্য' পাকিস্তান    

    পাকিস্তান ৫০ ওভারে ২৯২/৬ (বাবর ১০৩, মালিক ৮১, ফখর ৪৩; লাকমল ২/৪৭)

    শ্রীলঙ্কা ৫০ ওভারে ২০৯/৮ ( থিরিমান্নে ৫৩, দনঞ্জয়া ৫০; হাসান ৩/৩৬, রুম্মান ৩/৪৯)

    ফলঃ পাকিস্তান ৮৩ রানে জয়ী


    পোশাকটা সাদা থেকে রঙিন হলো, মঞ্চটা হলো টেস্ট থেকে ওয়ানডে। আর তাতেই বদলে গেল পাকিস্তান, যেখান থেকে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি শেষ করল সেখান থেকেই শুরু করল দুবাইয়ে। প্রথম ওয়ানডেতে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছে ৮৩ রানের বড় ব্যবধানেই। এ নিয়ে টানা আট ওয়ানডেতে হারল শ্রীলঙ্কা।

    পাকিস্তানের জয়ের ভিতটা আসলে গড়ে দিয়েছেন ব্যাটসম্যানরাই। কোনো রান না করেই আহমেদ শেহজাদ ফিরে যাওয়ার পর বাবর আজম ও ফখর জামান মিলে গড়েন ৬৪ রানের জুটি। এর মধ্যে ৪৩ রানই করেছিলেন ফখর। এরপর মোহাম্মদ হাফিজকে নিয়ে ৪৯ রানের আরও একটি জুটি গড়েছেন, বাবর তখনও অবশ্য ছিলেন অ্যাঙ্করম্যানের ভূমিকায়।

    পাকিস্তানের সেরা সময়টা আসে এর পরেই। শোয়েব মালিক শুরু থেকেই দারুণ সচল রাখেন রানের চাকা। বাবরের সঙ্গে তাঁর ১৩৯ রানের জুটি হয়েছে মাত্র ১৯ ওভারে। ৬১ বলে ৮১ রান করে মালিকই আশা জাগাচ্ছিলেন ৩০০ ছোঁয়ার। শেষ পর্যন্ত তা করতে পারেনি পাকিস্তান।

    বাবর অবশ্য এর খানিক পরেই পেয়ে গেছেন নিজের ষষ্ঠ ওয়ানডে সেঞ্চুরি, তাও মাত্র ৩২ ম্যাচেই। ওয়ানডে ক্যারিয়ারেই ছয়টি সেঞ্চুরির জন্য তাঁর চেয়ে কম ম্যাচ খেলতে হয়েছে শুধু উপুল থারাঙ্গা। শেষ দিকে দ্রুত উইকেট হারানোয় পাকিস্তানের রান ৩০০ ছুঁতে পারেনি আর।

    তবে জেতার জন্য ওই রানই প্রয়োজনের চেয়েও বেশি যথেষ্ট হয়ে গেছে। শ্রীলঙ্কার দুই ওপেনার ৩.৩ ওভারেই করে ফেলেছিলেন ৩০ রান। কিন্তু ডিকভেলার বিদায়ের পরেই উইকেট হারাতে থাকে নিয়মিত, একটা সময় ৬৭ রানের মধ্যেই হারিয়ে ফেলে ৫ উইকেট। এরপর থিরিমান্নে ও থিসারা পেরেরা মিলে একটু মেরামতের চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু ১০৮ রানে পেরেরার আউটের পর প্রায় নিশ্চিতই হয়ে যায় পাকিস্তানের জয়। আকিলা দনঞ্জইয়া ও মাইকেল ভ্যান্ডারসে চেষ্টা করে এরপর পরাজয়ের ব্যবধানই শুধু কমাতে পেরেছেন।