• জাতীয় লিগ ২০১৭
  • " />

     

    খুলনা-রংপুরকে হতাশ করল বরিশাল-ঢাকা

    খুলনা-রংপুরকে হতাশ করল বরিশাল-ঢাকা    

    খুলনা ১৪০.৪ ওভারে ৫১১/৮ ডিক্লে (জিয়াউর ১৫২, রবি ১১৪)

    বরিশাল ৯২ ওভারে ২৯৬/১০ (সোহাগ গাজী ৬৫) এবং ২৯৬/৫ (ফলো অন) (রাব্বি ১০৭, রাফসান ৮৫)

    ফলঃ ম্যাচ ড্র  


    রংপুর ১৪৭.২ ওভারে ৫৬০/৮ ডিক্লে.  (নাঈম ২১৬, সোহরাওয়ার্দি ১৪৫, আরিফুল ১০০*)

    ঢাকা ৩২১ এবং ৮৫/১, ৪৯ ওভারে (ফলো অন)

    ফলঃ ম্যাচ ড্র


    প্রায় একই সমতলে দাঁড়িয়ে ছিল ম্যাচ দুইটি।  প্রথম ইনিংসে রানের পাহাড় গড়েছিল খুলনা-রংপুর। তবে তা করতে গিয়েই ম্যাচের প্রায় দুই দিন পার হয়ে যায়। বরিশাল-ঢাকা সেই পাহাড়ের কাছাকাছি যেতে না পারলেও ধস নামেনি। দুই দল ফলো অনে পড়েও শেষ দিনে দাঁতে দাঁত কামড়ে ম্যাচ ড্র করে দিতে পেরেছে। তবে এই ড্রয়ের পরও খুলনার চ্যাম্পিয়নশিপ প্রায় নিশ্চিত। এক রাউন্ড বাকি থাকতে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে তারাই সবার ওপরে। ১০ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আছে ঢাকা।

     

    রংপুরের সঙ্গে ঢাকা বিভাগের ম্যাচে তৃতীয় দিনেই ড্র প্রায় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। ঢাকার তখনো প্রথম ইনিংস শেষ হয়নি।  চতুর্থ দিন সকালেই ৩২১ রানে অলআউট হওয়ার পর ফলো অনে পড়ে ঢাকা। কিন্তু দিনের তখনও বাকি ছিল ৬৬ ওভারের মতো। বড় ধস নামলে অলআউট হতে পারত তাতেই। কিন্তু ১৯ রানে রনি তালুকদারকে হারানোর পর আর কোনো বিপদ হতে দেননি আবদুল মজিদ ও মিনহাজ খান। খুলনায় ৪৫ ওভার খেলার পরেই ম্যাচের ভাগ্যে নিশ্চিত হয়ে গেছে ড্র।

    বরং খুলনা ও বরিশালের ম্যাচেই যা একটু রোমাঞ্চ ছিল। তৃতীয় দিন শেষে ২৯৬ রানে অলআউট হয়ে ফলো অনে পড়েছিল বরিশাল। পরে ৮০ রান তুলতে হারিয়েছিল ১ উইকেট। শেষ দিনে বাকি নয় উইকেট না হারিয়েই পুরো দিন পার করতে হতো। দ্বিতীয় উইকেটে ফজলে রাব্বি ও রাফসানের ১৭৭ রানের জুটিতে সেই শঙ্কা এড়িয়েছে বরিশাল। রাফসান আউটের পর ছোট্ট একটা ধস নামে, ২০ রানের ভেতর হারিয়ে ফেলে ৩ উইকেট। তবে সোহাগ গাজীর পাল্টা আক্রমণে আর কোনো বিপদ হয়নি। ৬৩ বলে ৬৮ রান করে অপরাজিত ছিলেন গাজী, নিশ্চিত করেছেন ড্রও।