• পাকিস্তান-শ্রীলংকা সিরিজ
  • " />

     

    বাবর-শাদাবের কাছে ম্লান থারাঙ্গা

    বাবর-শাদাবের কাছে ম্লান থারাঙ্গা    

     

    সংক্ষিপ্ত স্কোর

    পাকিস্তান ২১৯/৯ (বাবর আজম ১০১, শাদাব খান ৫২*, লাহিরু ৪/ ৫৭)

    শ্রীলংকা ৪৮ ওভারে ১৮৭ (থারাঙ্গা ১১২*, শাদাব ৩/৪৭)

    ফলাফল- পাকিস্তান ৩২ রানে জয়ী

     

    সতীর্থদের আসা যাওয়ার মিছিলে তিনিই ছিলেন ব্যতিক্রম। টিমটিম করে জ্বলতে থাকা জয়ের প্রদীপকে আগলে রেখে ব্যাটিং করেছেন পুরো ইনিংসজুড়েই। শেষ পর্যন্ত উপুল থারাঙ্গার লড়াইটা বৃথাই গেছে। থারাঙ্গার দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরির পড়েও দ্বিতীয় ওয়ানডেতে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩২ রানে হেরেছে শ্রীলংকা।

     

    লক্ষটা খুব বেশি ছিল না। তবে শাদাব খান-জুনাইদ খানদের বোলিং নৈপুণ্যে ২২০ রানের লক্ষ্যকেই মনে হচ্ছিল পর্বতসমান। নিজের দ্বিতীয় ওভারেই নিরোশান ডিকভেলাকে ফেরান জুনাইদ। বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি কুশল মেন্ডিসও। লাহিরু থিরিমানেকে নিয়ে প্রাথমিক বিপর্যয়টা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন থারাঙ্গা।

     

    ৪০ রানের জুটি ভাঙ্গেন শোয়েব মালিক। থিরিমানেকে ফেরানোর পর আবারো শুরু লংকানদের ব্যাটিং ধস। ২৩ রানের মাঝেই তারা হারিয়ে ফেলে আরও ৪ উইকেট। শাদাবের স্পিন জাদুতে একে একে ফেরেন দিনেশ চান্দিমাল, মিলিন্দা সিরিবর্ধনে ও আকিলা দনঞ্জয়া। ৯৩ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ততক্ষণে পরাজয় অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে গেছে শ্রীলংকার।

     

    ৭ উইকেট পড়লেও হার মানতে রাজি ছিলেন না থারাঙ্গা। জেফরি ভেন্ডারসিকে নিয়ে একটু একটু করে দলকে সামনের দিকে নিয়ে যেতে থাকেন। দুবার জীবন পাওয়া থারাঙ্গা তুলে নেন ক্যারিয়ারের ১৫ তম সেঞ্চুরি। ভেন্ডারসিও দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন তাঁকে। ৭৬ রানের জুটি দলকে আবারো জয়ের আশা দেখাচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত রুম্মান রাইসের বলে ভেন্ডারসি ফিরলে সেই আশাও শেষ হয়ে যায়। লঙ্কানদের লেজের বাকি অংশ গুটিয়ে ফেলতে পাকিস্তানের বেশি সময় লাগেনি। সেঞ্চুরি করে অপরাজিত থেকেও পরাজিত দলেই থাকতে হয়েছে থারাঙ্গাকে। এই নিয়ে টানা ৯ ওয়ানডেতে হারল শ্রীলংকা। প্রথম লঙ্কান হিসেবে ক্যারি দ্য ব্যাট করেও পরাজয়ের স্বাদ পেতে হলো থারাঙ্গাকে। 

     

     

    পাকিস্তানের শুরুটাও অবশ্য খুব একটা স্বস্তিদায়ক ছিল না। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ভালই চাপে পড়েছিল সরফরাজের দল। ১০১ রানে ৬ উইকেট হারানো পাকিস্তানকে পথ দেখান বাবর আজম। শাদাব খানকে নিয়ে ১০৯ রানের জুটি গড়ে দলকে লড়াই করার মতো সংগ্রহ এনে দেন। কাল বাবর তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের ৭ম সেঞ্চুরি। শাদাব হাফ সেঞ্চুরি করে অপরাজিত ছিলেন। ব্যাটিং-বোলিং নৈপুণ্যের জন্য ম্যাচসেরাও হয়েছেন শাদাবই।

     

    এই জয়ে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ২-০ তে এগিয়ে গেলো পাকিস্তান। আগামীকাল তৃতীয় ম্যাচে আবুধাবিতে মুখোমুখি হবে দুই দল।