চাচা ইনজামামের মান রাখলেন ভাতিজা ইমাম
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
শ্রীলংকা ৪৮.২ ওভারে ২০৮ (থারাঙ্গা ৬১, হাসান ৫/ ৩৪)
পাকিস্তান ৪২.৩ ওভারে ২০৯/৩ (ইমাম ১০০, পেরের ১/২২)
ফলাফল- পাকিস্তান ৭ উইকেটে জয়ী
ম্যান অফ দা ম্যাচ- ইমাম-উল-হক
সিরিজের আগে তাঁর দলে ঢোকা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছিলেন। চাচা ইনজামাম-উল-হকের ‘কল্যাণেই’ নাকি দলে সুযোগ পেয়েছেন ইমাম-উল-হক, এ নিয়ে কানাঘুষা কম হয়নি। কিন্তু অভিষেকেই ব্যাট হাতে সব সমালোচনার জবাব দিলেন ইমাম। তাঁর দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরিতেই তৃতীয় ওয়ানডেতে শ্রীলংকাকে ৭ উইকেটে হারিয়ে সিরিজ জিতে নিয়েছে পাকিস্তান।
প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে খুব একটা আহামরি কিছু করেননি। শ্রীলংকার বিপক্ষে সিরিজে ইমামের স্কোয়াডে অন্তর্ভুক্তি নিয়ে তাই খানিকটা অবাক হয়েছিলেন সবাই। প্রথম দুই ম্যাচে সুযোগ না পেলেও আজহার আলী ও আহমেদ শেহজাদের অনুপস্থিতিতে তৃতীয় ওয়ানডেতে অভিষেক হয় তাঁর। এই বাহাতি ব্যাটসম্যানের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ২০৯ রানের লক্ষ্যটা কখনোই মাথাব্যথার কারণ হয়নি পাকিস্তানের।
অভিষেকের ‘নার্ভাসনেস’ শুরুর দিকে ছিল। এরপর ইমামের ব্যাটিং দেখে মনেই হয়নি প্রথম ওয়ানডে খেলছেন। লংকান বোলারদের অনায়াসেই সামলেছেন তিনি। ২৯ রানের মাথায় একবার জীবন পান দনঞ্জয়ার বলে। ব্যাটের কোনায় লেগে বল উইকেটকিপার ডিকভেলার কাছে গেলেও সেটা ধরতে পারেননি। ৬৭ বলে ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি তুলে নেন ইমাম। সেঞ্চুরি থেকে ১১ রান দূরে থাকতে আবারো তাঁর ক্যাচ ফেলেছেন ডিকভেলা। ১২৪ বলে ইমাম পূর্ণ করেন নিজের প্রথম সেঞ্চুরি। সেঞ্চুরি পাওয়ার পরের বলেই অবশ্য থিসারা পেরেরার বলে ফেরেন ইমাম। এর পরের ওভারেই জয়সূচক রান তুলে নেন মোহাম্মদ হাফিজ।
অভিষেকে সেঞ্চুরি করে বেশ কয়েকটি রেকর্ডও করেছেন ২১ বছর বয়সী ইমাম। ওয়ানডে অভিষেকে তৃতীয় কনিষ্ঠতম সেঞ্চুরিয়ান এখন তিনিই। পাকিস্তানের হয়ে দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে ওয়ানডে অভিষেকে সেঞ্চুরি পেলেন ইমাম। ১৯৯৫ সালে ১৮ বছর বয়সে এই শ্রীলংকার বিপক্ষেই পাকিস্তানের হয়ে অভিষেকে সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছিলেন সেলিম এলাহি, তিনিই ওয়ানডে অভিষেকে সেঞ্চুরি পাওয়া কনিষ্ঠতম ক্রিকেটার। ইমামের আগে ১২ জন ক্রিকেটার নিজেদের ওয়ানডে অভিষেকে সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন।
দিনের শুরুতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালোই করেছিল শ্রীলংকা। গত ম্যাচে সেঞ্চুরিয়ান উপুল থারাঙ্গা ৬১ করলেও অন্যরা তাঁকে সঙ্গ দিতে পারেননি। ১০২ রানের মাথায় দ্বিতীয় উইকেট পড়ার পর নেমে আসে ব্যাটিং বিপর্যয়। হাসান আলির বোলিং তোপে পরের ৬১ রানেই ৬ উইকেট হারায় শ্রীলংকা। হাসান তুলে নেন ক্যারিয়ারের তৃতীয় পাঁচ উইকেট শিকার। শেষের দিকে পেরেরার ৩৮ রানের ঝড়ো ইনিংসের কল্যাণে ২০০ পেরোয় শ্রীলংকা।