'ঘরে ফেরাটা' স্মরণীয় করে রাখল পাকিস্তান
সংক্ষিপ্ত স্কোর
পাকিস্তান ১৮০/৩ (মালিক ৫১, মুনাওয়েরা ১/ ২৬)
শ্রীলংকা ১৪৪/৯ ( শনকা ৫৪, আমির ৪/ ১৩)
ফলাফল- পাকিস্তান ৩৬ রানে জয়ী
ম্যাচ আয়োজন হওয়া নিয়ে ছিল শঙ্কা, লংকান ক্রিকেটারদের অংশগ্রহণ করা নিয়েও সৃষ্টি হয়েছিল জটিলতার। শেষ পর্যন্ত সব জল্পনা কল্পনার পর ৮ বছর আগের সেই ‘দুঃস্বপ্নকে’ পেছনে ফেলে পাকিস্তানে খেলতে এসেছিল শ্রীলংকা দল। ওয়ানডের পর টি-টোয়েন্টি সিরিজেও ধবলধোলাইয়ের হাত থেকে বাঁচবার জন্য জয়ের বিকল্প ছিল না। শোয়েব মালিক ও মোহাম্মদ আমিরের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স সেটা আর হতে দেয়নি। লাহোরে সিরিজের শেষ ম্যাচে লংকানদের ৩৬ রানে হারিয়ে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতল সরফরাজের দল, স্মরণীয় করে রাখল ‘ঘরে ফেরাটাও’।
১৮১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শ্রীলংকা কখনোই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারেনি। মোহাম্মদ হাফিজ, ফাহিম আশরাফ, মোহাম্মদ আমিরদের বোলিং নৈপুণ্যে শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে থিসারা পেরেরার দল। ৪ ওভারের মাঝে ২১ রানেই টপ অর্ডারের ৩ ব্যাটসম্যানকে হারায় শ্রীলংকা। স্রোতের বিপরীতে দাঁড়িয়ে একাই লড়ে গেছেন দাসুন শনকা। চতুরঙ্গা ডি সিলভাকে নিয়ে তাঁর ৩৯ রানের জুটি প্রাথমিক বিপর্যয় কাটিয়েছে।
তবে আমির সেটাকে বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে দেননি। অভিষেকের ৩০৬৬ দিন পর এই প্রথমবার ঘরের মাটিতে ওয়ানডে খেলতে নেমে মাত্র ১৩ রান দিয়ে তুলে নিয়েছেন ৪ উইকেট। ২ ওভারের মাঝে শনকা ও ডি সিলভা ফিরলে জয়ের শেষ আশাটুকুও নিভে যায়। শেষের দিকে সাচিথ পাথিরানা ও সেকুগা প্রসন্নর ইনিংস শুধু হারের ব্যবধানই কমাতে পেরেছে। এই পরাজয়ে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে টানা ১৬ ম্যাচে হারল শ্রীলংকা।
দিনের শুরুতে ব্যাট করে নেমে পাকিস্তানের শুরুটা একটু ধীর গতিরই ছিল। মালিকের ক্রিজে আসার পর বদলে যায় দৃশ্যপট। ২ ছক্কা ও ৫ চারে ২৪ বলে মালিক করেন ৫১ রান। তাঁর ঝড়ো ইনিংসের কল্যাণেই বড় স্কোর দাড় করায় পাকিস্তান। দারুণ এই ইনিংসের জন্য ম্যাচসেরা হয়েছেন মালিক, সিরিজে ১০২ রান করে হয়েছেন সিরিজ সেরাও।