সিনিয়ররা না থাকাতেই সুবিধা হয়েছে নাসিরের!
বিপিএলে এর আগে অধিনায়কত্ব করেছিলেন মাত্র দুইটি ম্যাচে। সিলেট সিক্সারসের অধিনায়ক হিসেবে নতুন এক নাসির হোসেনকেই যেন এবার দেখতে পাচ্ছে বিপিএল। পর পর দুই ম্যাচ জিতে উড়তে থাকা সিলেটের অধিনায়ক নাসিরও বলে গেলেন, বেশ উপভোগ করছেন অধিনায়কত্ব। সিনিয়র ক্রিকেটাররা কোনো সমস্যা না করায় যে সবার সমর্থন পাচ্ছেন, তাও বললেন আলাদা করে।
পর পর দুই ম্যাচেই নাসিরের পক্ষে গেছে ভাগ্য, টস জিতে আগে বল করেছেন। নিজেই নতুন হাতে নিয়েছেন দুবারই, প্রথম ব্রেকথ্রুটা পর পর দুই ম্যাচে দিয়েছেন নাসিরই। ব্যাট হাতে খুব বড় অবদান রাখতে পারেননি, তবে বল হাতে নিজের কাজটা করেছেন ভালোমতো। নাসির নিজেও বোলিংয়ের কথাই বললেন, ‘আমি সব সময় বোলিং করতে পছন্দ করি। আমার কাছে মাঠের ভেতর যেটা ভালো মনে হচ্ছে সেটাই করার চেষ্টা করছি।’
তবে অধিনায়ক নাসির যেন দলকে অনুপ্রাণিত করছেন আরও বেশি। নাসির মনে করিয়ে দিচ্ছেন, সিনিয়রদের কেউ হস্তক্ষেপ না থাকায় তাঁর কাজের সুবিধা হয়েছে, ‘সব চেয়ে বড় কথা এখানে আমি যে সিদ্ধান্ত নেই সেটা সবাই বিশ্বাস করে, সবাই পজিটিভ থাকে। অনেক দলে সিনিয়র প্লেয়ারদের কারণে সমস্যা হয়, একেক জন একেক রকম সমস্যা হয়। আমার দলে সেটা হয়নি, আমি যে সিদ্ধান্ত নিই সবাই সেটা বিলিভ করে, সে অনুযায়ী কাজ করার চেষ্টা করে।’
আলাদা করে বললেন সতীর্থ থারাঙ্গার কথাও, ‘এসব পর্যায়ে নতুন করে শেখানোর কিছু নেই। সবাই পরিণত, জাতীয় দলের খেলোয়াড়। শুধু কিছু সিদ্ধান্ত আছে, যেটা সঠিক সময়ে নিতে পারলে ভালো। আমার দলে উপুল থারাঙ্গা আছে, আমি কোনো কিছুর দরকার হলে ওর সঙ্গে কথা বলি।’
দল হিসেবে সিলেট সবাইকে এভাবে চমকে দিল কীভাবে? নাসিরের বিশ্লেষণ, ‘পার্থক্য তৈরি করছে বোলাররা, উইকেট তো ফ্ল্যাট ছিল। ঢাকা-কুমিল্লার ব্যাটিং লাইন আপ ভালো। আমাদের প্ল্যান ছিল বাউন্ডারি কম দেওয়ার। দুইটা ম্যাচে ওদের বেশি রান করতে দেয়নি, এটা একটা ভালো দিক। সাথে আমরা ফিল্ডিং ভালো করছি, বোলিংও প্ল্যান অনুযায়ী করা। আর টি-টোয়েন্টিতে ছোট বড় কোনো দল নাই। এখানে এক দুইজন খেলে বা উইনিং রোল প্লে করে। আমাদের দলে হয়তো কোনো বড় নাম নাই। কিন্তু দলের সবাই খুব হেল্পফুল, দলের জন্য সবাই অবদান রাখছে। এখানে এক দুজন ভালো করলে ম্যাচ জেতা সম্ভব।‘
তবে আজ সিলেটের জিয়টা প্রথম ম্যাচের মতো অনায়াস হয়নি, একটা সময় তো পাঁচ বলে ১০ রান দরকার ছিল। নুরুল হাসানের ছয়টাই ঘুরিয়ে দিয়েছে ম্যাচ। নাসির শুধু চাইছিলেন, ওই সময় যেন একটা বাউন্ডারি হয়, ‘আমার পুরোপুরি বিশ্বাস ছিল ম্যাচটা জিতব। শেষ ওভারে শুধু দোয়া করছিলাম একটা বাউন্ডারি হয়। কারণ শেষ তিন চার ওভারে ওভাবে কোনো বাউন্ডারি হয়নি। আমি সেটাই করার চেষ্টা করেছি।’