সহজ জয়ে 'ভিক্টোরিতে' ফিরল ভিক্টোরিয়ানসরা
চিটাগং ভাইকিংস ২০ ওভারে ১৪৩/৭ (রঙ্কি ৪০, সৌম্য ৩৮; সাইফউদ্দিন ৩/২৪ )
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস ১৭.২ ওভারে ১৪৪/২ ( বাটলার ৪৮, স্যামুয়েলস ৩৫, কায়েস ৩৩; শুভাশীষ ২/২৪)
ফলঃ কুমিল্লা ৮ উইকেটে জয়ী
১৬ বল বাকি থাকতে ৮ উইকেটের জয়, স্কোরকার্ডই বলে দিচ্ছে চট্টগ্রামের সঙ্গে কুমিল্লার জয় কতটা একতরফা ছিল। প্রথম ম্যাচে হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচে দারুণভাবেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস, আর বাকিদের চেয়ে ধারেভারে পিছিয়ে থাকা চিটাগাং ভাইকিংসের শুরুটা হয়েছে হার দিয়ে।
অথচ ম্যাচের প্রথম এক ঘন্টায় কিন্তু চিত্রটা ছিল একেবারেই অন্যরকম। এবারের বিপিএলে টসে জিতে বল করাটাই হয়ে গেছে অলিখিত রীতি। সেটি মেনে মোহাম্মদ নবীর বোলিং নেওয়ার সিদ্ধান্ত শুরুতে ভুলই প্রমাণ করছিল চট্টগ্রাম। লুক রঙ্কি ও সৌম্য সরকার যেভাবে শুরু করেছিলেন, তাতে ২০০ মনে হচ্ছিল খুবই সম্ভব। প্রথম ৫ ওভারেই ৬০ পেরিয়ে গেল চট্টগ্রাম, এর মধ্যে চট্টগ্রামেরও অবশ্য অবদান আছে। দ্বিতীয় ওভারেই আল আমিনের বলে রঙ্কির ক্যাচ ছেড়েছেন অলক কাপালি। আরাফাত সানির পরের ওভারে সৌম্য-রঙ্কি মারলেন দুই ছয়। এরপর ব্রাভোর পর পর দুই বলে আরও দুই ছয় মারলেন রঙ্কি, দেখতে দেখতেই ৫০ পেরিয়ে গেল চট্টগ্রাম। শেষ পর্যন্ত রঙ্কি যখন নবীর বলে আউট হয়েছেন, ২১ বলে করে ফেলেছেন ৪১ রান।
এরপর দিলশান মুনাবীরার সঙ্গে সৌম্যর জুটি একটু স্লথ হয়ে গেলেও দুজন রানের চাকাটা সচলই রাখছিলেন। কিন্তু ২২ বলে ২১ রান করে মুনাবীরার বিদায়ের পরেই যেন খেই হারিয়ে বসে চট্টগ্রাম। একটা সময় চট্টগ্রামের রান ছিল ১৯ বলে ২৮, শেষ পর্যন্ত ৩৩ বলে ৩৮ রান করে আউট হলেন।
পরের ব্যাটসম্যানদের কেউ তো রান করতেই পারেননি, বরং ডট বল দিয়ে চাপটা বাড়িয়েই নিয়েছেন। এনামুল হক বিজয় ৬ বলে ৩ রান করে আউট হয়েছেন। ধুঁকতে থাকা অধিনায়ক মিসবাহ উল হকের ইনিংস শেষ হয়েছে ১১ বলে ৬ রান করে । শেষ ওভারে সিকান্দার রাজা দুই চার না মারলে ১৪০ও করতে পারত না চট্টগ্রাম। প্রথম ১০ ওভারে রান ছিল ১ উইকেটে ৯১, সেখান থেকে শেষ ১০ ওভারে রান হলো মাত্র ৫০! সেটাতে সাইফ উদ্দিনের কৃতিত্বটাই বড়, ২৪ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন। সবচেয়ে বড় কথা সৌম্যকে আউট করে চট্টগ্রামকে করতে দেননি বড় স্কোর।
১৪৪ রানের লক্ষ্যটা টপকে যাওয়ার সময় কখনোই মনে হয়নি চট্টগ্রাম হারবে। লিটন দাস বলেছিলেন উইকেটের সঙ্গে মানিয়ে নিতে একটু সমস্যা হচ্ছে, তবে আজ শুরুতে তার লক্ষণ ছিল না খুব একটা। জস বাটলার উঠে এলেন ওপেনিংয়ে, খুব সম্ভবত ডানহাতি বাঁহাতি কম্বিনেশন রাখার জন্য। দুজনের জুটিতে রান এলো ৪৩, সেটিও মাত্র ৪.২ ওভারে। দারুণ খেলতে থাকা লিটন আউট হয়ে গেলেন ১৪ বলে ২৩ রান।
এরপর ম্যাচ নিয়ে কোনো অনিশ্চয়তা থাকলে সেটি দূর করে দিয়েছেন বাটলার ও ইমরুল। দ্বিতীয় উইকেটে দুজনের ৫৭ জুটিটা যখন ভেঙেছে, তখন স্কোরকার্ডে ঠিক ১০০ রান। জয়ের জন্য তখন ৩৮ বলে করতে হবে মাত্র ৪৪ রান। মারলন স্যামুয়েলসের ১৮ বলে ৩৫ রানে সেই রান ১৬ বল হাতে রেখেই টপকে গেল কুমিল্লা।