নাফীসের দৃষ্টিতে আইপিলের পর বিপিএলই সেরা
ক্রিস গেইল, কাইরন পোলার্ড, ডোয়াইন ব্রাভো, সুনীল নারাইন, শহীদ আফ্রিদি, ব্রেন্ডন ম্যাককালাম ...টি-টোয়েন্টির প্রতীক বললে এই কজনের নাম আসবে শুরুর দিকেই। আগে পরে এঁদের অনেকেই বিপিএল খেললেও এই প্রথম তাঁরা একসঙ্গে খেলছেন। বিপিএলের বিদেশীদের মানের প্রশ্নে শাহরিয়ার নাফীস তাই কুন্ঠাহীন চিত্তেই বলে দিলেন, তাঁর দৃষ্টিতে আইপিএলের পর বিপিএল সেরা।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি রান যে তিনজনের, সবাই আছেন বিপিএলে। গেইল আছেন রংপুরে, দুইয়ে থাকা ম্যাককালামও তাঁর সতীর্থ। তিনে থাকা পোলার্ড আছেন ঢাকায়। গেইলের পর সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরি ম্যাককালাম আর লুক রাইটের। রাইটও আছেন এবার রাজশাহীতে। সবচেয়ে বেশি উইকেট ডোয়াইন ব্রাভোর, তিনি খেলছেন কুমিল্লায়। দুইয়ে থাকা লাসিথ মালিঙ্গা রংপুরে, তিনের সুনীল নারাইনও ঢাকায়। আর কুমার সাঙ্গাকারাদের মতো কিংবদন্তিরা তো আছেনই। একটা সময় বিপিএলে বিদেশীদের বিশেষ করে পাকিস্তানিদের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও এই বছর সে সুযোগ কম বলেই মনে করছেন নাফীস।
‘আমার দৃষ্টিতে আইপিএলের পর বিপিএলের মান সেরা। সাঙ্গাকারার বয়স ৪০— তার মান নিয়ে কি কোনো প্রশ্ন আছে? জেমস ফ্রাঙ্কলিন বা মিসবাহর মান নিয়ে প্রশ্ন আছে? ফ্র্যাঞ্চাইজিরা কোটি টাকা দিয়ে পারফর্মারই আনে। নাম কা ওয়াস্তে তরুণ ক্রিকেটার কেউ আনেনি। ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, এবারের বিদেশিদের মান আইপিএলের কাছাকাছি। সারা পৃথিবীতে বিপিএল নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। চারদিকে উত্তেজনা হচ্ছে। বিপিএল খুব ভালো হচ্ছে। শুধু একটা ব্যাপার আছে তা হলো— আমরা খেলোয়াড়রা মনে করি পাঁচজন বিদেশি একটু বেশি হয়ে গেছে।’
নাফীস মনে করছেন, পাঁচজন বিদেশী হওয়ায় স্থানীয় খেলোয়াড়দের সুযোগ একটু কমে গেছে, ‘আমরা টুর্নামেন্টের আগে আশাবাদী হয়ে বলেছিলাম যে, কোনো সমস্যা হবে না। কিন্তু স্লোলি এবং স্থির হয়ে যদি দেখেন, স্থানীয়দের পারফর্ম করার সুযোগ কিন্তু কম। ঢাকার দলটার কথাই বলি, মোসাদ্দেক যা বলেছে, ঠিক কথাই বলেছে (পাঁচজন বিদেশী খেলায় স্থানীয়দের সুযোগ কমে গেছে) তা একদম ঠিক আছে। সাকিব চারটা ওভার হয়তো করছে, কিন্তু ব্যাটিংয়ের সুযোগ পাচ্ছে না।ব্যাটিংয়ে টপ তিন জায়গায় খেলছে বিদেশি। প্রতিটি দলে ১০ থেকে ১২ ওভার বিদেশিরা করছে। আশা করছি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ব্যাপারটা নিয়ে ভাবছে। আমাদের দলে অবশ্য সুযোগ পাচ্ছি। আমাদের দলের মতো সবাই যদি চিন্তা করে, আশা করি চেঞ্জ আসবে।’
বিপিএলে এর আগেও একবার পাঁচজন বিদেশী একই সঙ্গে খেলতে পারত, পরে সংখ্যাটা নেমে এসেছিল চারে।