• বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    অথচ এই রিভার্স স্কুপ আগে খেলেনইনি জহুরুল!

    অথচ এই রিভার্স স্কুপ আগে খেলেনইনি জহুরুল!    

     

    বিপিএলে প্রথম ম্যাচে ৩ রান করেই আউট হয়ে গিয়েছিলেন। পরের যে ম্যাচে একাদশে ছিলেন, ব্যাট করারই সুযোগ পাননি আর। ঢাকা ডায়নামাইটসের চতুর্থ ম্যাচে এসে যখন ব্যাট করতে নামলেন, জহুরুল ইসলামের সামনে তখন পাহাড় টপকানোর চ্যালেঞ্জ। পোলার্ড সেই কাজ অনেকটাই সহজ করে দিলেন বটে, কিন্তু শেষ ওভারে জহুরুলের ওপরই সব চাপ ছিল। শেষ পর্যন্ত ব্রাথওয়েটের পঞ্চম বলে রিভার্স স্কুপ মেরেই দুর্দান্ত এক জয় এনে দিলেন ঢাকাকে। অথচ জহুরুল বলছেন, ম্যাচে এই শট আগে কখনো খেলেইনি!

     

     

    শেষ ওভারে যখন ঢাকার দরকার ৬ রান, প্রথম দুই বলে রানই নিতে পারেননি জহুরুল। চাপটা যে বেড়ে গিয়েছিল, সেটাও জানিয়েছেন তখন, ‘প্রথম দুটি বল আমি স্কয়ার লেগ দিয়ে চার মারতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সে (ব্রাথওয়েট) নরম্যালি একটু দ্রুতগতির এবং ইয়র্কারগুলো প্রায় নিখুঁত। চার মারার চিন্তা আমার ভুল ছিল। যদি এক রানের চিন্তা করতাম, তাহলে ব্যাটে লাগত। ম্যাচটায় আমি দলকে বিপদে ফেলে দিয়েছিলাম।’

    পরের দুই বলে এর পর দুই রান হলো, শেষ দুই বলে দরকার চার রান। এবার থার্ডম্যানকে ওপরে নিয়ে এলেন মাহমুদউল্লাহ, ব্রাথওয়েট আবার করতে গেলেন ইয়র্কার। কিন্তু এবার ঠিকঠাক হলো না, জহুরুলের রিভার্স স্কুপ খুঁজে নিল সীমানা। সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, ‘পরে চিন্তা করেছি, যেহেতু দুটি বলে ইয়র্কার করে সফল হয়েছে, আবারও ইয়র্কার করবে। আমি তাই একটু জুয়া খেলার মতো চিন্তা করলাম যে থার্ড ম্যান যেহেতু ওপরে, সেদিক দিয়ে উল্টো স্কুপ করব। আগে এটা কোনোদিন খেলিনি ম্যাচে। অনুশীলনে চেষ্টা করি। ম্যাচে এটিই প্রথম। ব্রাথওয়েট যে ইয়র্কারগুলো মারছিল, আমি যদি মিড অফ, মিড অনে খেলার চেষ্টা করতাম, আমার জন্য খুবই কঠিন এখান থেকে চার বের করা। তো আলাদা কিছু করতেই হতো আমাকে। এটা চেষ্টা করা ছাড়া আমার মাথায় অন্য কিছু আসেনি। সফল হয়েছি দেখে ভালো লাগছে।

    মূলত টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান হলেও কম্বিনেশনের কারণে আজ খেলতে হয়েছে ছয়ে। জহুরুল স্বীকার করলেন, সেখানেও সুযোগ পাওয়াটা কঠিন, 'আমাদের যে ব্যাটিং লাইন আপ, এখানে সুযোগ পাওয়া খুবই কঠিন। স্থানীয়রা খুব একটা সুযোগই পাইনি আগে। কারণ বিদেশীদের শক্তির জায়গা বেশি, টি-টোয়েন্টিতে ওরা খুবই ভালো ব্যাটসম্যান।’

    বিদেশীরা কেন টপ অর্ডারে বেশি সুযোগ পাচ্ছেন, সেটাও নিজের মতো করে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করলেন, ‘বিদেশী আর স্থানীয় বলে কিছু নেই। এটি একটি দল। দলের কম্বিনেশনের জন্য যাকে আগে প্রয়োজন হয়, তাকেই নামায়। এখন যেহেতু দল হয়ে গেছি, এভাবে ভাগ করা যাবে যে বিদেশী বা স্থানীয়। এমনও হতে পারে কোনোদিন আমাকে ওপেনিংয়ে নামাতে পারে,কোনো দিন তিনে। এটা টিমের পরিকল্পনা। ওদের শক্তি অনুয়ায়ী ওদেরকে নামানো হচ্ছে। শেষ ম্যাচে যেমন রান রেট বাড়ানোর পরিকল্পনা ছিল, এজন্য ওদেরকে শুরুতে নামানো হয়েছে। কারণ টুর্নামেন্টে পরে গিয়ে রান রেট দরকার হতে পারে। যারা এসেছে আমাদের দলে, তারা টি-টোয়েন্টিতে অনেক বড় ক্রিকেটার, রেকর্ডও অনেক ভালো আমাদের থেকে। তারা অনেক বেশি ম্যাচও খেলে থাকে। এজন্যই তারা ওপরে খেলে।'