গেইল-ম্যাককালাম দুজনই 'টার্গেট' ছিল মেহেদীর
সংবাদ সম্মেলনে ঢুকেই কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের মিডিয়া ম্যানেজার রসিকতা করে বললেন, যেন কঠিন প্রশ্ন না হয়। মেহেদী হাসান অবশ্য মাঠে যেমন সপ্রতিভ, শুরুতেই বললেন মাঠের কাজের চেয়ে কঠিন আর কিছুই নয়। সেই কঠিন কাজটা আজকের দিনে এত ভালোভাবে করবেন, সেটা অভাবিতই ছিল। ম্যাককালাম আর নাফীসের উইকেট পেয়েছেন, পেতে পারতেন গেইলের উইকেটও। পরে বলেছেন, দুজনের উইকেটই ‘টার্গেট’ করেছিলেন।
২২ বছর বয়সী এই অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার আজই প্রথম সুযোগ পেয়েছেন কুমিল্লার হয়ে। রংপুরের সঙ্গে জয়ে ২ উইকেট নিয়ে হয়েছেন ম্যাচসেরা। জানিয়েছেন, আগের দুই দিন থেকেই শুনছিলেন, দলে সুযোগ পেতে পারেন। ম্যাচের আগের দিন টেনশনও একটু বেড়ে গিয়েছিল। বিপিএলে আগেও খেলেছেন বটে, তবে মাত্র দুই ম্যাচ। নতুন দলের হয়ে প্রথমবারের মতো নামবেন, তার চেয়েও বড় কথা প্রতিপক্ষ দলে গেইল-ম্যাককালামের মতো দুজন। মেহেদীর নিজের ভাষাতেই শুনুন, ‘শেষ দুই দিন ধরে শুনছিলাম, এই ম্যাচ খেলব খেলব। শেষ দিন আমার ঘুম আসছিল না, অনেক দিন পর গেইল-ম্যাককালাম সামনে। আমি ম্যাককালাম-গেইলকে ইউটিউবে ভিডিও দেখছিলাম। তখন দেখি ওদের কোনো উইক পয়েন্ট নেই, শুধু ছয় চার মারে। তো পরের দিন আমি সালাউদ্দিন স্যারকে বলছিলাম, ওরা তো শুধু ছয়-চারই মারে। কোনো উইক পয়েন্ট নেই। তখনো তিনি বললেন, তোর খেলা লাগবে না। আমি বললাম, ইনশাল্লাহ পারব।’
মিরপুরে আজ স্টেডিয়াম ভর্তি দর্শক অপেক্ষায় ছিল গেইল-ম্যাককালাম ঝড়ের জন্য। তবে মেহেদী প্রথম ওভারেই পেতে পারতেন গেইলের উইকেট, কিন্তু আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত পক্ষে যায়নি তাঁর। সেই হতাশা ঝেড়ে ফেলেছেন কয়েক ওভার পরেই, একই ওভারে ফিরিয়েছেন ম্যাককালাম-নাফীসকে। শুরুতে যে একটু নার্ভাস ছিলেন, তাও স্বীকার করেছেন। তবে নিজের ভাবনাটাও জানিয়েছেন, ‘চিন্তাটা ছিল আমি ভালো বল জায়গায় করব আর ওদের উইক জোনে বল করলে আউট হয়ে যাবে। সেটাই হচ্ছিল। আসলে টি-টোয়েন্টি নিয়ে আমি আশা করছিলাম না, আমি ৪ ওভারে ২০ দিলেই খুশি। সাথে দুইটি উইকেটও পেয়েছি।’
কিন্তু গেইল বা ম্যাককালাম - কার উইকেটটা বেশি প্রার্থিত ছিল? মেহেদীর সপ্রতিভ উত্তর, ‘আমার টার্গেট ছিল, আমিই দুইটি নেব।’ কথাটা বলতেই সংবাদ সম্মেলনে হাসির হুল্লোড়। মেহেদী বেরিয়ে গেলেন হাসিমুখেই, যে হাসি ধরে রাখতে চাইবেন সামনের ম্যাচেও।