শিশুদের সবুজের ডাক দিলেন মুস্তাফিজরা
হুট করেই যেন একটা উৎসবের জোয়ার বয়ে গেল সেন্ট জোসেফ স্কুলে। মুস্তাফিজুর রহমান ও কেসরিক উইলিয়ামসকে দেখেই চারদিক থেকে ছেঁকে ধরল খুদে শিক্ষার্থীরা। শেষ পর্যন্ত অনেক কসরত করেই স্কুলশিশুদের ভিড় এড়িয়ে বেরুতে পেরেছেন মুস্তাফিজরা। কিন্তু রাজশাহী কিংসের এই দুজন খেলোয়াড় সেন্ট জোসেফ স্কুলে কেন গিয়েছিলেন?
পেছনের কারণটা বাহবা দেওয়ার মতোই। রাজশাহী কিংস এবারের বিপিএলে নতুন একটা উদ্যোগ শুরু হবে। ‘এ সিক্স এ ট্রি’ নামের এই উদ্যোগে মূলকথা - বিপিএলে রাজশাহী কিংসের খেলোয়াড়েরা যতটি ছয় মারবেন, ততটি গাছ লাগানো হবে। বাংলাদেশের পরিবেশ দূষণ কমানোর ক্ষেত্রে রাজশাহী বড় শহরগুলোর মধ্যে সবার চেয়ে এগিয়ে। এই উদ্যোগ রাজশাহীর এই সবুজ বিপ্লবকে তুলে ধরারই একটি প্রয়াস।
বিপিএলের শুরু থেকেই ক্রিকেট আর সবুজের এই মিতালি শুরু হয়ে গিয়েছিল। রাজশাহী কিংসের ফেসবুক-টুইটারেও উদ্যোগটি কথা প্রচার হয়ে আসছিল। সেটি আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলো মুস্তাফিজ-কেসরিকদের হাত ধরে। শিশুদের সঙ্গে নিয়ে আজ সেন্ট জোসেফ স্কুলের বাস্কেটবল মাঠের সামনে রোপণ করা হয়েছে সাতটি চারাগাছ। পরিবেশ বিষয়ক সংগঠন গ্রিন সেভারস অ্যাসোসিয়েশিনের উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সেন্ট জোসেফ স্কুলের অধ্যক্ষ ব্রাদার রবি পিউরিফিকেশন, সহ অধ্যক্ষ ব্রাদার সুব্রত রোজারিও সহ অন্যান্য শিক্ষকেরাও। উপস্থিত ছিলেন অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে থাকা গ্রিন সেভারস অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আহসান রনি ও সংগঠনের অন্যান্য সদস্য। শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন রাজশাহী কিংস কর্মকর্তা অনিন্দ্য চৌধুরী, এরপর অধ্যক্ষ তাঁর বক্তব্যে শিক্ষার্থীদের খেলাধূলার পাশাপাশি বৃক্ষরোপণের ব্যাপারেও উৎসাহিত করেন।
এর মধ্যেই অবশ্য সুযোগ পেলেই খুদে সেলফিশিকারীরা ছবি তুলে নিচ্ছিলেন মুস্তাফিজ-কেসরিকের সাথে। মুস্তাফিজের পরিসংখ্যান তো বটেই, কয়েকজন তো কেসরিকের গত বছরের বিপিএলের পারফরম্যান্সও মুখস্থ। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ফাস্ট বোলার কেসরিকও পরে বলে গেলেন, শিশুদের জন্য এই ধরনের উদ্যোগে সুযোগ পেলেই পাশে থাকতে চান। বিশেষ করে বৈশ্বিক উষ্ণায়নের এই যুগে এ ধরনের উদ্যোগ আরও বেশি দরকার বলেও মনে করেন। সবুজের এই আহবান তো অন্তত এই বাংলাদেশের জন্য খুব করেই দরকার!