ব্যাটিংয়ে আরেকটু 'স্মার্ট' হতে চান তামিম
লেংথ বলে ডাউন দ্য গ্রাউন্ডে এসে লং-অন দিয়ে ছয়। তামিম ইকবাল তখন উড়ছেন। পরের বলটা স্পিন করে বেরিয়ে গেল, তামিম এগিয়ে এসেই যেন বুঝলেন, ভুল হয়ে গেছে। স্পিনে ভর করেই খেলতে গেলেন, নাগাল পেলেন না। তামিম ইকবাল নেমে এলেন মাটিতে। শট নির্বাচনটা ভুল, ব্যাটিংয়ের ধরনটাও ভুল। বোলার সুনীল নারাইন, আর ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল হলে ভুলের মাত্রাটা আরও বেশি। ভুলটা আদতে পরিকল্পনা থেকে সরে আসায়। ঢাকা ডায়নামাইটসের সঙ্গে ম্যাচের পর তামিম নিজেই বলছেন সেটা।
‘আমি বরং নিজের কথাটাই বলি। ব্যাটিং নিয়ে সমস্যা নেই, সমস্যা আছে পরিকল্পনা নিয়ে। আমাদের পরিকল্পনায় আমরা অটল থাকতে পারছি না। অন্য কিছু করছি। সেটা কাজে আসছে না। গত তিন ম্যাচেই আমি রান পাইনি।’
তামিম এমন সমস্যায় এই প্রথম পড়লেন, ব্যাপারতা তেমন নয়। আগে এমন পরিস্থিতি থেকে যেভাবে বেরিয়ে এসেছেন, সেভাবেই কাজ করতে চাচ্ছেন এবারও, ‘শেষ দুই ম্যাচে আমি ভাল ব্যাটিং করেছি। আমি যে এটা কাজে লাগাতে পারিনি, সেটা একই সঙ্গে ভুল এবং অপরাধ।’
সেই ভুলের গোড়ায় অবশ্য আছে এক ধরনের মানসিকতার প্রভাব, ‘যখনই ১২০-১৩০ এর খেলা হয় আমি নার্ভাস থাকি। কারণ ব্যাটিং করতে নামলে অতি সাবধানী হতে গিয়ে চাপটা বেড়ে যায়। আমি সেটাই করতে চাচ্ছিলাম। দ্রুত ২০-৩০ রান করে এগিয়ে রাখতে চাইছিলাম কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আমরা আবারও তেমন কঠিন পরিস্থিতিতে পড়ে গিয়েছিলাম। যাই হোক, শোয়েব মালিকরা যেভাবে সামলিয়েছে, তরুণদের শেখার বিষয় আছে। আসলে টি-টোয়েন্টি যে শুধু চার-ছয় মেরেই ম্যাচ জিততে হবে তা না। ব্যাটিং ইউনিট হিসেবে আমাদের আরকটু স্মার্ট হতে হবে, কারণ আমাদের ১৭০ বা ১৮০-ও তাড়া করতে হতে পারে। ’
মালিকদের কাছ থেকে পাওয়া শিক্ষাটা যাতে লিটন দাসদের কাছেও পৌঁছায়, তামিমের আশা তেমনই, ‘ওকে নিজের খেলা নিয়ে চিন্তা করতে হবে। আমরা সবাই জানি লিটন তুখোড় খেলোয়াড়। ওর অনেক কিছু করার সামর্থ্য আছে। তবে শুরুতে যদি ওভাবে আউট হয় তবে চাপ বেড়ে যায়। দলের জন্যও সমস্যা এটা। আমি আশা করব পরে সুযোগ পেলে সে ভুলগুলো শুধরে নেবে। এই ধরনের ফরম্যাটে শুরুটা পাওয়াটা কঠিন। কিন্তু সেটা পেলে ৪০-৫০-৬০ করা উচিত। আশা করি সে ব্যাপারটা ঠিকঠাক করে নেবে।’