• বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    মাশরাফির ওভারের কথা বললেন গেইলও

    মাশরাফির ওভারের কথা বললেন গেইলও    

    ৩৯ বলে ৫০ রানের ইনিংসটাই রংপুর রাইডার্সকে পথ দেখিয়েছে। সেজন্য ম্যাচসেরার পুরস্কারও পেয়েছেন ক্রিস গেইল। তবে ম্যাচশেষে গেইলও বললেন, মাশরাফির ওই ওভারটা ছিল ম্যাচের পরিপ্রেক্ষিতে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ।

    সিলেটের জয়ের জন্য তখন প্রয়োজন ২৪ বলে ৩৫ রান। ক্রিজে দুই থিতু ব্যাটসম্যান সাব্বির আহমেদ-নাসির হোসেন, জয়ের পাল্লা ভারি তাদের দিকেই। কিন্তু ১৭তম ওভারে এসে মাত্র দুই রান দিলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। সেই যে চাপে পড়ল সিলেট, তা থেকে আর বেরুতেই পারল না। গেইলও তাই ওভারের জন্য আলাদা করে কৃতিত্ব দিচ্ছেন অধিনায়ককে।

    ওই ওভারটিই ছিল গুরুত্বপূর্ণ। বলতেই হবে নাসির ও সাব্বির দারুণ ব্যাট করেছে। দলকে জয়ের অবস্থায় নিয়ে গিয়েছিল। ওদেকে কৃতিত্ব দিতেই হবে। দ্রুত ৩ উইকেট হারানোর পর ওরা ভালোভাবে দলকে টেনেছে। তবে আমাদের বোলাররা শেষ দিকে দারুণ ভাবে ম্যাচে ফিরেছে। অধিনায়কের এক ওভারে মাত্র ২ রান দেওয়া ছিল ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। এরপর রুবেল ও থিসারা দারুণ ভাবে শেষ করেছে।

     

     

    আগের ম্যাচে ব্যর্থতার পর গেইল আজ নিজেও বেশ সতর্ক ছিলেন। প্রথম ১১ বলে এক রানও নিতে পারেননি, নাসির হোসেনকে একটি মেডেনও দিয়েছেন। অন্য অনেক ব্যাটসম্যান হলে এই চাপেই হয়তো আউট হয়ে যেতেন। তবে গেইল ধৈর্য হারাননি, শেষ পর্যন্ত ৩৯ বলেই করেছেন ৫০। সেই নাসিরকেই পরে মেরেছেন চার-ছয়। নিজের পরিকল্পনার কথাও পরে ব্যাখ্যা করলেন।

    ‘এই ধরনের উইকেটে দ্রুত থিতু হওয়া খুব জরুরী। উইকেটের গতিটা একটাবার ধরতে পারলে শট ভালো খেলা যায়। উইকেটে সময় কাটাতে চেয়েছি, কারণ জানি সেটা আবার পুষিয়ে দিতে পারব। শুরুটা মন্থর হলেও তাই অস্থির হইনি, স্নায়ুকে শান্ত রেখেছি। চেষ্টা করেছি পরিকল্পনা ঠিকঠাক মত বাস্তবায়ন করতে।’

    ম্যাককালামও আজ ফর্মে ফেরার আভাস দিয়েছেন, গেইল নিজেও রান পেয়েছেন। তবে গেইল দুজনের রানের চেয়ে দলের জয় পাওয়াকেই দেখছেন বড় করে, ‘আমরা দুজনই আক্রমণাত্মক ক্রিকেটার। থিতু হলে আমরা রান করবই। আজকের মাচটি আমাদের জন্য ভীষণ চাপের ম্যাচ ছিল। সব ম্যাচই চাপের, তবে আজকের জয়ের পথে ফিরতে এই ২ পয়েন্ট খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কালকে খুব কঠিন আরেকটি ম্যাচ অপেক্ষায়। তবে ছেলেদের আত্মবিশ্বাস ফিরে পেতে আজকের জয় গুরুত্বপূর্ণ ছিল।’