• বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    ১৭ ওভারে ২ রানে অল-আউট!

    ১৭ ওভারে ২ রানে অল-আউট!    

    ওয়ানডে ম্যাচ। এক দল খেলতে পেরেছে ১৭ ওভার, হয়েছে অল-আউট। সব মিলিয়ে স্কোরে রান জমা পড়েছে ২টি। এর মধ্যে আবার একটি ওয়াইড। অদ্ভুত এই ম্যাচ হয়েছে ভারতে। বিসিসিআইয়ের অনূর্ধ্ব-১৯ মেয়েদের ওয়ানডে লিগ ও নক-আউট টুর্নামেন্টে নাগাল্যান্ড ব্যাটিংয়ে ঘটিয়েছে এ কান্ড। প্রতিপক্ষ কেরালা জিতে গেছে একটি ‘বৈধ’ বল খেলেই।

    নাগাল্যান্ডের এই ধ্বসটাও বিচিত্র। এক ওপেনার মেনকার ব্যাট থেকে এসেছে একটি রান, আরেকটি ওয়াইড থেকে। এ ২ রানই হয়েছে ৬ষ্ঠ ওভার শুরু হওয়ার আগেই। তার মানে ২ রানে ০ উইকেট থেকে ১১.৪ ওভারের মধ্যে নাগাল্যান্ড অল-আউট হয়ে গেছে ওই ২ রানেই! 

    কেরালার পাঁচজন বোলারের মধ্যে চারজন কোনও রান দেননি। একমাত্র ‘অভাগা’ আলিনা সুরেন্দ্রান। মিন্নু মানি নিয়েছেন ৪ উইকেট, তার বোলিং ফিগার এমন- ৪-৪-০-৪! 

     

     

    তবে নাগাল্যান্ডের এই ধ্বসের পেছনে বৈরি আবহাওয়া ও সুযোগ সুবিধার অভাবকে দায়ি করছেন কোচ হোকাইতো ঝিমোমি। আসামের হয়ে রঞ্জি খেলা এই সাবেক ক্রিকেটার ইএসপিএনক্রিকইনফোকে বলেছেন, এ দলটা অনুশীলন শুরু করেছে সেপ্টেম্বরে। এর মাঝেই আবার প্রচন্ড বৃষ্টিপাতে সেটা বন্ধ থেকেছে বেশিরভাগ দিন। ইনডোর সুবিধা নেই বলে নেওয়া যায়নি বিকল্প ব্যবস্থাও। ঝিমোমি নিজেও নাগাল্যান্ড ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের কোচ হিসেবে যোগ দিয়েছেন সেপ্টেম্বরে। সব মিলিয়ে ‘চার থেকে পাঁচটি সেশন’ অনুশীলন করানোর সুযোগ পেয়েছেন তিনি। 

    আরও পাঁচটি প্রদেশের সঙ্গে নাগাল্যান্ডও এবারই প্রথম বিসিসিআইয়ের এ টুর্নামেন্টে খেলার সুযোগ পেয়েছে। এ দল গঠন করতেই ঝিমোমিকে হিমশিম খেতে হয়েছে, পত্রিকায় ক্রিকেটার চেয়ে বিজ্ঞাপনও দেওয়া হয়েছিল। প্রথমদিন অনুশীলনে এসে অনেক মেয়েই জানতো না, তারা আসলে ব্যাটিং না বোলিং কোনটা পারে! 

    তবে কেরালার সঙ্গে এই ম্যাচটা তাদের জন্য শিক্ষা হয়ে থাকবে বলেই মনে করছেন ঝিমোমি, ‘এখন মেয়েরা বুঝতে পেরেছে, তাদের অবস্থানটা আসলে কোথায়। আর কোথায়ই বা তাদের উন্নতি করতে হবে।’ 

    উন্নতি করার মতো জায়গার যে অভাব নেই, সেটা তো এ স্কোরকার্ডই বলছে!