'মনে হয় না উল্টোপালটা ব্যাটিং করেছি'
তিনি শুধু টেস্টের জন্যই, এরকম একটা তকমা এঁটে দেওয়া হয়েছিল তাঁর গায়ে। বাংলাদেশ দলের হয়ে সর্বশেষ দুই বছরে তাই রঙিন পোশাকও গায়ে চড়ানো হয়নি তাঁর। গত বিপিএলেও শীর্ষ দশ ব্যাটসম্যানদের মধ্যে ছিলেন। এবারের বিপিএলেও আছেন প্রথম দশে। মুমিনুল হক আজ রাজশাহী কিংসের হয়ে অনুশীলন শেষে বলেছেন, নিজেকে নতুন করে প্রমাণ করার কিছু নেই তাঁর।
টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট তাঁর জন্য নয়, কথাটা অনেকবারই শুনতে হয়েছে। খোদ জাতীয় দলের বিদায়ী কোচ দায়িত্ব নেওয়ার পরেই আর সুযোগ পাননি সীমিত ওভারের ক্রিকেটে। তবে মুমিনুল কথায় নয়, জবাব দিচ্ছেন ব্যাটেই। এখন পর্যন্ত ১২০ স্ট্রাইকরেটে ১৮৪ রান তো করেছেন, সাতটি ছয়ও মেরেছেন। দেশীদের মধ্যে তাঁর চেয়ে বেশি ছয় আছে শুধু আরিফুল হকের। মুমিনুল তাই বললেন, তাঁর নিজেকে চেনানোর দরকার নেই।
‘আমি যেটা অনুভব করি, আমার প্রমাণ করার কিছু নেই, চ্যালেঞ্জের কিছু নাই। গত কয়েক মাস ধরে আমি আমার ব্যাটিং আরো উন্নতি করার চেষ্টা করছি। টেস্ট-ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টি; ফরম্যাট যাই হোক ভালো কিছু করতে চাই। উন্নতির জন্য খুব পরিশ্রম করছি। অল্প অল্প করে উন্নতি হচ্ছে। ইনশাল্লাহ হয়ে যাবে।’
কিন্তু মুমিনুল মনে করিয়ে দিচ্ছেন, টি-টোয়েন্টিতে এমন কোনো যাদুমন্ত্রবলে নিজেকে বদলে ফেলেননি। বরং বেসিকটা ঠিকঠাক রেখেই কাজটা করছেন।
‘অবশ্যই হেল্প করছে (টেস্টের বেসিক টি-টোয়েন্টিতে)। বিপিএলে আমি যে কটি ম্যাচ খেলেছি, আপনারা দেখেছেন, আমার কাছে মনে হয় না আমি কোনো উল্টাপাল্টা ব্যাটিং করেছি। নরম্যাল ক্রিকেট, বেসিক ক্রিকেট খেলার চেষ্টা করি। টেস্টে যে টেকনিক, সেটা আসলেই কাজে লাগে। যাদের টেস্টের টেকনিক ভালো, তারা সবই খেলতে পারে। আমার কাছে মনে হয় টেস্টের টেকনিক নিয়ে আগে যে কাজ করেছি, সেগুলো এখন আমার ব্যাটিংয়ে সহায়তা করছে।’
নিজে ভালো করলেও দল রাজশাহী এখন পর্যন্ত খুব একটা স্বস্তি নেই, পয়েন্ট তালিকার ছয়ে আছে। চট্টগ্রামে এসে অবশ্য প্রথম ম্যাচ জিতেছে। মুমিনুল চট্টগ্রাম-পর্ব থেকেই ঘুরে দাঁড়ানোর আশায় বুক বাঁধছেন, ‘গত বছরও আমাদের এমন অবস্থা হয়েছিলো। গত বছরও আমাদের এই অবস্থা হয়েছিলো। তখনও আমরা চিটাগং এসে কামব্যাক করেছি। এবারও চিটাগংয়ে এসে ভালো করার চেষ্টা করছি এখনো আমাদের দুইটা ম্যাচ আছে এখানে। চেষ্টা করবো জেতার।’