অশ্বিনের রেকর্ডের দিনে ভারতের বড় জয়
সংক্ষিপ্ত স্কোর
শ্রীলংকা ২০৫ ও ১৬৬ ( চান্দিমাল ৬১, অশ্বিন ৪/৬৩)
ভারত ৬১০/৬
ফলাফল- ভারত ইনিংস ও ২৩৯ রানে জয়ী
ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ- বিরাট কোহলি
ম্যাচ বাঁচাতে হলে ব্যাট করতে হতো দুই দিনের মতো। দুই দিন তো দূরের ব্যাপার, শ্রীলংকার ব্যাটসম্যানরা টিকতে পারল না চতুর্থ দিনের চা বিরতি পর্যন্তই। রবিচন্দ্রন অশ্বিনের রেকর্ড গড়ার দিনে এক ইনিংস ও ২৩৯ রানের বড় ব্যবধানে জয় তুলে নিয়েছে ভারত। ৩ ম্যাচের সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেলো বিরাট কোহলির দল।
ম্যাচের ভাগ্য অনেকটাই নির্ধারিত হয়ে গিয়েছিলেন গতকাল। কোহলি-রোহিত শর্মা জুটির কল্যাণে বড় লিড নেয় ভারত। ৪০৫ রানের বিশাল লিডের বোঝায় চাপা পড়ে তৃতীয় দিনশেষে ব্যাটিংয়ে নেমে এক উইকেট হারিয়ে ফেলে লংকানরা।
চতুর্থ দিনে থিতু হতে পারেননি কোনো ব্যাটসম্যানই। শুরুতেই দিমুথ করুনারত্নেকে ফিরিয়ে দেন রবীন্দ্র জাদেজা। শর্ট লেগে দারুণ এক ক্যাচ নেন মুরালি বিজয়। অফ স্টাম্পের অনেক বাইরের বলে মারতে গিয়ে উমেশ যাদবের শিকার হন লাহিরু থিরিমানে। অশ্বিনকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। নিরোশান ডিকভেলাও দ্রুতই ফিরেছেন।
৭৫ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে রীতিমত ধুঁকছিল দল। সতীর্থদের আসা যাওয়ার মিছিলে একপ্রান্ত আগলে রেখেছেন অধিনায়ক দিনেশ চান্দিমাল। দানুস শনাকা ও সুরাঙ্গা লাকমলকে নিয়ে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। লাকমলকে নিয়ে ৫৮ রানের জুটি গড়ার সময় তুলে নেন ক্যারিয়ারের ১৫তম হাফ সেঞ্চুরি। ৬১ রান করে যাদবের বলে ফিরেছেন চান্দিমাল।
শ্রীলংকার শেষ উইকেট নেন ৫৪ তম টেস্ট খেলতে নামা অশ্বিন। লাহিরু গামাগেকে ফিরিয়ে তুলে নেন ক্যারিয়ারের ৩০০তম উইকেট। টেস্ট ইতিহাসে দ্রুততম ৩০০ উইকেট নেওয়া কীর্তি গড়লেন তিনি। ৫৬ টেস্টে ৩০০ উইকেট নিয়ে রেকর্ডটা ছিল ডেনিস লিলির, ১৯৮১ সালে আজকের দিনেই মাইলফলকটা স্পর্শ করেছিলেন তিনি।
এই জয়ে ইনিংস ব্যবধানে নিজেদের সবচেয়ে বড় জয়ের রেকর্ড স্পর্শ করল ভারত। ২০০৭ সালে বাংলাদেশকে এক ইনিংস ও ২৩৯ রানে হারিয়েছিল তাঁরা। অন্যদিকে এটাই শ্রীলংকার সবচেয়ে বড় ব্যবধানের পরাজয়। ২০০১ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ইনিংস ও ২২৯ রানে হেরেছিল শ্রীলংকা।