আবারও ব্যাট হাতে নায়ক মাশরাফি
সিলেট ১৭৩/৫, ২০ ওভার (বাবর ৫৪, সাব্বির ৪৪, নাজমুল ৩/১৮)
রংপুর ১৭৭/৬, ১৯.৪ ওভার (ম্যাককালাম ৪৩, বোপারা ৩৩, আবুল ১/২৫)
ফল : রংপুর ৪ উইকেটে জয়ী
আগের ম্যাচে তিন নম্বরে নেমে করেছিলেন ১৭ বলে ৪২ রান। এবার মাশরাফি নামলেন সাতে, তবে খেললেন ম্যাচ জেতানো ক্যামিও। সিলেটের ১৭৩ রানের বাধা রংপুর শেষে গিয়ে পেরিয়েছে মাশরাফির ১০ বলে ১৭ রানের ইনিংসে। শেষের দুই ওভারে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে দুই ছয় মেরে রংপুরকে সীমানার ওপারে নিয়ে গেছেন তাদের অধিনায়ক।
শেষ ১২ বলে দরকার ছিল ২০ রান। ১৯তম ওভারের প্রথম বলে সোহেল তানভীরের বল মাঠের বাইরে পাঠালেন মাশরাফি, তবে পরের ৫ বলে এলো মাত্র ৫ রান। শেষ ওভারে দরকার ছিল ৯। প্রথম বলে ওয়াইড দিলেন টিম ব্রেসনান, পরের বলে ডট। এরপরই ইয়র্কার দিতে গিয়ে দিলেন ফুলটস, মাশরাফির ভুল হলো না। পরের বলেই সিঙ্গেল, এরপর নাহিদুল চার মেরে নিশ্চিত করলেন জয়।
১৭৪ রানের লক্ষ্যে রংপুরের শুরুটা অবশ্য হয়নি মনমতো। প্রথম ওভারেই নেই ক্রিস গেইল। ব্রেন্ডন ম্যাককালামের ওপর চাপ ছিল ভাল করার, তার শুরুটা হলো ভাল। অন দি আপে খেলতে লাগলেন দারুণ, সঙ্গে ছিলেন জিয়াউর। একসময় ম্যাককালামকেও ম্লান করে দিল জিয়ার বিগ-হিটিং, তবে ১৮ বলে ৩৬ রান করে নাবিল সামাদের বলে স্টাম্পড হওয়ার পরই যেন বদলে গেল ম্যাচের গতি।
১০ ওভারে ৯০ রান তোলা রংপুর জিয়া আউট হওয়ার পর তুলতে পারলো ২৭ বলে। ম্যাককালামও ক্যাচ দিলেন আবুল হাসানের বলে। এরপরই যেন লাগাম ছুটে যাচ্ছিল রংপুরের। এক ওভারে বোপারার দুইটি ক্যাচ মিস হলো লং-অনে, সিলেট ম্যাচের লাগাম শক্ত করে টেনে ধরার সুযোগটাও মিস করলো। এর আগেই অবশ্য এক-স্টাম্পে শেনওয়ারিকে অসাধারণভাবে মিড-অফ থেকে রান-আউট করেছেন নাসির। বোপারাও হলেন রান-আউট, দুই রান নিতে গিয়ে ফিরতে গিয়ে।
এরপরই দায়িত্বটা নিজের ব্যাটে তুলে নিলেন মাশরাফি।
এর আগে সিলেট নুরুল হাসানকে দিয়েছিল নতুন দায়িত্ব। দানুশকা গুনাথিলাকার জায়গায় ওপেনিংয়ে এলেন নুরুল। দ্বিতীয় ওভারেই নাজমুল ইসলামকে সুইপ করতে গিয়ে এলবিডাব্লিউ। নাসির হোসেনও ছন্দ পেলেন না, নাজমুলের বলেই হলেন স্টাম্পড।
টপ অর্ডারে ধুঁকতে থাকা সিলেটকে এগিয়ে নিলেন বাবর আজম। আন্দ্রে ফ্লেচারও শিকার হলেন নাজমুলের, ১৭ বলে ২৩ রানের ইনিংসটি শেষ হলো সামিউল্লাহ শেনওয়ারিকে ক্যাচ দিয়ে। তিন ম্যাচ উইকেটশূন্য থাকার পর এবার এক ম্যাচেই ৩ উইকেট নাজমুলের। সাব্বিরের সঙ্গে জুটি গড়ার পথে বিপিএলে প্রথম ফিফটি পেলেন বাবর, দুজনের জুটি ৭৪ রানের।
ফিফটির পর বাবর হলেন রান-আউট, এখানেও থাকলো নাজমুলের নাম। ১৯তম ওভারে এসে মাশরাফির ইয়র্কারে পায়ের পেছন দিয়ে বলে বোল্ড হলেন সাব্বির। সিলেটকে এরপর আরেকটু এগিয়ে নিল রস হোয়াইটলি ও টিম ব্রেসনানের ক্যামিও।
শেষ ওভারেই এলো ১৫ রান। ১১ বলে ১৭ করেছেন হোয়াইটলি,আর ব্রেসনানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংসের ব্যাপ্তি ৫ বলে ১৬ রানের।
তবে সেসব ক্যামিও ম্লান হয়ে গেছে মাশরাফির ইনিংসে!