কুমিল্লা টপকে গেল ঢাকাকে
খুলনা ১১১ অল-আউট, ১৯.২ ওভার (আরিফুল ২৪, শফিউল ১৬, মালিক ৩/১৪, আল-আমিন ৩/২০)
কুমিল্লা ১১২/১, ১৩.৫ ওভার (তামিম ৬৪*, ইমরুল ২২, অ্যাবট ১/২৭)
ফল : কুমিল্লা ৯ উইকেটে জয়ী
এক কথায় বললে, দাপুটে জয়। ব্যাটিং বা বোলিং, কুমিল্লা কোথাও পাত্তাই দেয়নি খুলনাকে। এ জয়ে ঢাকাকে টপকে পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে উঠে এসেছে তামিম ইকবালের দল।
১১২ রানের লক্ষ্যে যেমন ব্যাটিং করা উচিৎ, তামিম করলেন সেটাই। তিনি বা কুমিল্লার কোনও ব্যাটসম্যান, ছয় মারেননি একটিও। আগের ইনিংসে খুলনাও মারেনি একটিও, বিপিএলে দুই ইনিংস মিলিয়ে কোনও ছয় না মারার ঘটনা এটিই প্রথম।
প্রথম তিন ম্যাচে ছন্দ খুঁজে ফেরা তামিমের ব্যাটে হাসছে রান, আগের ম্যাচে ৬৩ রান করার পর এ ম্যাচে অপরাজিত থাকলেন ৬৪ রানে। ৩৭ বল বাকি থাকতেই জয় নিশ্চিত হয়েছে ভিক্টোরিয়ানসদের।
কুমিল্লার ব্যাটিংয়ে আক্ষেপ বলতে থাকতে পারে শুধু লিটন দাসেরই। দলে ফিরেছেন এ ম্যাচে, পরে ব্যাটিংয়ে দারুণ সুযোগও ছিল ছন্দ খুঁজে পাওয়ার। তবে ২১ রান করে ক্যাচ দিয়েছেন পুল করতে গিয়ে।
এর আগে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছিল খুলনা। আগের ম্যাচেই বিপিএলের এবারের আসরের সর্বোচ্চ স্কোর করা খুলনাকে ১১১ রানেই আটকে দিয়েছিল শোয়েব মালিক, আল-আমিন হোসেনদের বোলিং তোপ।
খুলনাকে প্রথম ধাক্কা দিয়েছিলেন মেহেদি হাসান। রাইলি রুশো আউট হলেন নিজের প্রথম বলেই, ইনিংসের প্রথম ওভারেই। ৫ম ওভারটা মেইডেনও করেছেন মেহেদি।
নিজের প্রথম বলেই শোয়েব মালিক বোল্ড করলেন নাজমুল হোসেন শান্তকে। ভেতরের দিকে ঢোকা বলে
জবাব দিতে পারেননি আগের ম্যাচে ৪৯ রান করা শান্ত। পরের ওভারে এসে নিলেন আফিফকে, আগের ম্যাচ যিনি করেছিলেন ফিফটি। স্লগ করতে গিয়ে তামিমের হাতে ক্যাচ দিলেন এই বাঁহাতি। তৃতীয় ওভারে এসে মালিকের শিকার আগেরদিন খুলনার আরেক নায়ক, নিকোলাস পুরান। ৭ বলে শূন্য করে পুরান ক্যাচ দিলেন লিটনকে, খুলনার ইনিংসের চিত্রটা ফুটে উঠলো এতেই!
মাহমুদউল্লাহও পারলেন না উদ্ধার করতে। নিজের প্রথম ওভারে এসে সফল সাইফউদ্দীন। এবার পালা আল-আমিনের। দ্বিতীয় ওভারে তার সাফল্যের খাতায় কার্লোস ব্র্যাথওয়েটের নাম, লং-অনে তিনি ক্যাচ দিলেন বাটলারের হাতে। আল-আমিনের শিকার হয়েছেন পরে আর্চার ও আরিফুলও।
শেষ ২ উইকেটে খুলনা তুলেছে ৩২ রান। তাতে অবদান আছে কাইল অ্যাবট ও শফিউল ইসলামের। বিপিএলের এবারের আসরের সর্বনিম্ন ১০১ রানের স্কোরটাও খুলনা পেরিয়ে যেতে পেরেছে তাতেই।