সাত বলে ওভার নিয়ে অভিযোগ সিলেটের
রংপুর রাইডার্সের সঙ্গে ম্যাচে সিলেট সিক্সারসের কামরুল ইসলাম রাব্বির এক ওভারে একটি বল বেশি করানো হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে সিলেট। ১৬তম ওভারটিতে কামরুল ৭টি ‘বৈধ’ বল করেছেন বলেই দাবি তাদের।
কামরুলের সেই ওভারের প্রথম বলে বোপারা চার মেরেছিলেন, এরপর একটি সিঙ্গেল। তৃতীয় বলে রান-আউট হয়েছেন সামিউল্লাহ শেনওয়ারি, চতুর্থ বলে বোপারা নিয়েছেন আরেকটি সিঙ্গেল। পঞ্চম বলে মাশরাফি সিঙ্গেল নিয়ে দিয়েছেন বোপারাকে, শেষ বলে ডাবলস এসেছে তার ব্যাট থেকে। এরপরই সেই ‘অতিরিক্ত’ বলের দাবি সিলেটের, যেটা থেকে বোপারা নিয়েছেন এক রান।
ম্যাচশেষে স্পিনার নাবিল সামাদ সংবাদ সম্মেলনে এসে বলেছেন, ‘আমাদের ষোড়শ ওভারে একটা বল বেশি দেওয়া হয়েছে। কামরুল ইসলাম রাব্বির ওভারটা। রাব্বি কিন্তু আম্পায়ারকে বলেছিল, আমার ওভার শেষ হয়ে গেছে। উনি তৃতীয় আম্পায়ারের কাছে ক্রস চেক করেছেন কি না আমি নিশ্চিত না। কারণ, আমি ছিলাম অন্য জায়গায়। পরে শুনতে পাই, একটা বল বেশি হয়েছে। আমরা বিসিবিকে বলেছি, এখন বিসিবি এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে।’ শেষ ওভারে টিম ব্রেসনানের করা প্রথম বলে দেওয়া ওয়াইডের সিদ্ধান্তটাও নিজের পক্ষে থাকতে পারতো বলে মত নাবিলের।
ম্যাচের পর আম্পায়ারের সঙ্গে বেশ ক্ষুব্ধ হয়েই কথা বলছিলেন নাসির হোসেন, সাব্বির রহমান সহ সিলেটের ক্রিকেটাররা। তাদের মিডিয়া ম্যানেজার বলেছেন, ‘আমরা “পয়েন্ট আউট” করলাম কে এটা বের করেছে। অধিনায়ক মাঠের মধ্যেই এটা বের করেছিল। তৃতীয় আম্পায়ারের সঙ্গে কথা বলার তৃতীয় আম্পায়ার “ক্রস চেক” করেছে। আমাদের বললো আমরা যেন লিখিত অভিযোগ করি। দেওয়ার পর তারা দেখবে।’
সিলেটের ‘উদ্বেগ’ শুধু ওই বলটা নিয়েই, ‘এটা শুধু মাত্র একটা ওভারের জন্য। একটা বল নিয়ে আমাদের উদ্বেগ ছিল, আমরা জানিয়েছি। তারা জানিয়েছে, ভিডিও ফুটেজ দেখে আমাদের জানাবে কি হয়েছিল। দিনের শেষে আমরাও জানি, মাঠে সিদ্ধান্ত হয়ে যাওয়ার পর তো কিছু করার থাকে না।’
দীর্ঘ সংস্করণের ম্যাচে এটা খুব অস্বাভাবিক ঘটনা নয়। ওভারে বল গুণতে গিয়ে কম-বেশি হয়ে যায় আম্পায়ারদের। তবে ডিআরএস ও সব মিলিয়ে তৃতীয় আম্পায়ারের ‘হস্তক্ষেপ’-এ এটা প্রায় কমেই এসেছে এখন। আর সীমিত ওভার হলে তো কথাই নেই। সেখানে টি-টোয়েন্টি ম্যাচে এমন ‘অভিযোগ’ এলে সেটার দায়টা আম্পায়াররা কতোখানি এড়াতে পারবেন, প্রশ্ন সেটাই। এ ম্যাচে দুই বল বাকি থাকতে জিতেছে রংপুর রাইডার্স।
ম্যাচে অন-ফিল্ড আম্পায়ার ছিলেন মাহফুজুর রহমান ও শ্রীলঙ্কান রানমোরে মার্টিনেজ। টিভি আম্পায়ার ছিলেন গাজী সোহেল, চতুর্থ আম্পায়ার ছিলেন মনজুরুল ইসলাম।