'পোলার্ড থাকলেও তামিম একই কাজ করত'
ম্যাচ শেষে তামিম ইকবাল বলেছিলেন, অন্য কেউ থাকলেও তিনি একই কাজ করতেন। সৎ থাকাটাই তাঁর কাছে বড় ব্যাপার। তবে স্বীকৃতিটা যখন প্রতিপক্ষ থেকে আসে তখন সেটা আরও অনেক বড় হয়ে যায়। ম্যাচ শেষে ঢাকার জো ডেনলি যেমন বললেন, পোলার্ড থাকলেও তামিম একই কাজ করতেন বলেই তাঁর বিশ্বাস।
ঘটনাটা ঢাকা-কুমিল্লা ম্যাচের দ্বিতীয় অর্ধে। কুমিল্লার ১৬৭ রান তাড়া করে ম্যাচটা তখন ঢাকার মুঠো থেকে অনেকটাই বেরিয়ে গেছে। ১৭ বলে দরকার ৪৪ রান, তার চেয়েও বড় কথা আগের বলেই আউট হয়ে গেছেন কাইরন পোলার্ড। ডোয়াইন ব্রাভোর বলে রান নিতে গিয়ে ভীষণ এক ধাক্কা খেলেন কেভন কুপার। দুজনই অন্য দিকে তাকিয়ে ছিলেন, অনিচ্ছাকৃত ওই সংঘর্ষে মাটিতে লুটিয়ে পড়লেন ব্রাভো। কুপারও ঘটনার আকস্মিকতায় হকচকিত হয়ে ব্যথার সঙ্গে দাঁড়িয়ে পড়লেন। অন্য পাশ থেকে লিটনের থ্রোতে তখন স্টাম্প ভাঙা হয়ে গেছে। কিন্তু কুপার তখন ক্রিজের অনেকটার বাইরে।
ক্রিকেটীয় নিয়মে তা আউটই। কুপার চলেই যাচ্ছিলেন। কিন্তু তামিম তাঁকে বুঝিয়ে নিরস্ত করলেন। শুরুতে কুপার অবশ্য ফিরতেই চাইছিলেন না। পরে আবার তামিম তাঁকে ফিরিয়ে আনেন। ম্যাচ শেষে তামিম বলেছেন, যে কেউ ক্রিজে থাকলেই কাজটা করতেন।
এ নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল ঢাকার ব্যাটসম্যান জো ডেনলিকেও। তাঁর উত্তর তামিমকে আরও উঁচুতেই নিয়ে যাবে, ‘আমি দেখেছি, আমি তখন চেঞ্জরুমে ছিলাম। আমি মনে হয় ঠিক ব্যাপারটাই হয়েছে। দুর্ভাগ্যজনক ছিল ব্যাপারটা, খারাপ কিছুও হতে পারত। ভাগ্য ভালো হয়নি। কুমিল্লা ঠিক সিদ্ধান্তটিই নিয়েছে। আমার মনে হয়, পোলার্ড থাকলেও তামিম একই কাজ করত। ’
কুমিল্লার কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিনও এখানে তামিমের মহত্বই দেখছেন, ‘অ্যাকচুয়ালি এটা আমরা নাও ফেরাতে পারতাম। কিন্তু তামিম কিন্তু এখানে খুব একটা খেলোয়াড়ি মনোভাব দেখিয়েছে। যেহেতু বাড়ি খেয়ে গেছে। যেহেতু ও আউট হয়ে গেছে, আমরা চাইলে নাও ফেরাতে পারতাম। কিন্তু এটা তামিমের মহানুভবতা, যে আসলে ভালো উদাহরণ দেখিয়েছে। এটা ক্রিকেটের জন্য খুব ভালো দিক। এটা অবশ্যই একটা দৃষ্টান্ত।’
ম্যাচে অবশ্য ওই ঘটনার প্রভাব পড়েনি, কুপারও জেতাতে পারেননি। তবে পড়লেও তামিম নিশ্চয় তা নিয়ে আফসোস করতেন না। ক্রিকেটীয় চেতনাই যে তাঁর কাছে বড়!