• অ্যাশেজ ২০১৭-১৮
  • " />

     

    মার্শ-পেইনের প্রত্যাবর্তনে নিয়ন্ত্রণ অস্ট্রেলিয়ার

    মার্শ-পেইনের প্রত্যাবর্তনে নিয়ন্ত্রণ অস্ট্রেলিয়ার    

    দ্বিতীয় টেস্ট, অ্যাডিলেড, ২য় দিনশেষে
    টস-ইংল্যান্ড (ফিল্ডিং)
    অস্ট্রেলিয়া ১ম ইনিংস ৪৪২/৮ ডিক্লে. (মার্শ ১২৬*, পেইন ৫৭, খাওয়াজা ৫৩, ওয়ার্নার ৪৭, স্মিথ ৪০, ওভারটন ৩/১০৫, ব্রড ২/৭২)
    ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস ২৯/১* (স্টোনম্যান ১৮, কুক ১১*, স্টার্ক ১/১৩)
    ইংল্যান্ড ৪১৩ রানে পিছিয়ে 


    শন মার্শ ও টিম পেইনের অস্ট্রেলিয়ার অ্যাশেজ একাদশে অন্তর্ভুক্তি বা জো রুটের অ্যাডিলেড টেস্টে টসে জিতে নেওয়া ফিল্ডিং - দুই বিষয় নিয়েই বিতর্ক হয়েছে বিস্তর। দ্বিতীয় দিনশেষে মার্শের সেঞ্চুরি ও পেইনের ফিফটিতে এখন বোধহয় আরও বেশি আক্ষেপে পুড়ছেন রুট। টসে জিতে ফিল্ডিং নিয়ে যদি বিপক্ষ দলকে অল-আউট করা না যায়, তাহলে আক্ষেপ করাটাই খুব স্বাভাবিক। বৃষ্টি এসে ইংল্যান্ডকে ফ্লাডলাইটের আলোয় ব্যাটিংয়ের সংগ্রাম থেকে বাঁচিয়েছে কিছুটা, তবে ওপেনার মার্ক স্টোনম্যান আউট হয়েছেন ঠিকই। 

     

     

    ক্রিস ওকসকে পুল করে ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছেন মার্শ, গত বছর আগস্টের পর তার প্রথম সেঞ্চুরি। বাবা জিওফ মার্শের ক্যারিয়ারে ছিল পাঁচটি সেঞ্চুরি, শন তাকে ছাড়িয়ে গেলেন অর্ধেক টেস্ট খেলেই। ইনিংসজুড়েই ধীর, স্থির ছিলেন মার্শ। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাড়িয়েছেন রান তোলার গতি। মাঝের দিকে টাইমিংয়ে একটু গড়বড় হলেও সামলিয়ে নিয়েছেন পরে সেটা। 

    মার্শের সঙ্গেই দিনে ইংল্যান্ডকে প্রথম হতাশাটা উপহার দিয়েছেন টিম পেইন। বিকেলে প্রথম ওভারেই পিটার হ্যান্ডসকম্ব হলেন স্টুয়ার্ট ব্রডের বলে এলবিডাব্লিউ, ৫ উইকেটে ২০৯ রানের স্কোর ইংল্যান্ডকে আশা দেখিয়ে থাকলে সেটা ভুলই ছিল। আলগা ডেলিভারিগুলোতে স্ট্রোকপ্লের প্রদর্শনী শুরু করলেন পেইন, ক্যারিয়ারের তৃতীয় ফিফটির পর অবশ্য মিস করলেন স্কোরটা বড় করার সুযোগ। ক্রেইগ ওভারটনের শর্ট বলে পুল করতে গিয়ে ক্যাচ দিয়েছেন ডিপ স্কয়ার লেগে। এর আগে পেইন ও মার্শ, দুজনকেই অ্যান্ডারসনের বলে এলবিডাব্লিউ দিয়েছিলেন আম্পায়ার ক্রিস গ্যাফানি। দুজনই রিভিউ নিয়ে বেঁচে গেছেন, হক-আইয়ে বল যাচ্ছিল স্টাম্পের ওপর দিয়ে। 

    চা-বিরতির পর প্রথম ওভারেই আবার সাফল্য ইংল্যান্ডের, আবারও বোলার ব্রড। তার শর্ট বলে পুল করতে গিয়ে শুধু সহজ ক্যাচই তুললেন মিচেল স্টার্ক। অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং লাইন-আপ লেজের ওপর ভর করেছে তখন, তবে সেটা ইংল্যান্ড ছেঁটে ফেলতে পারলো না সহসাই। 

    কামিন্স শুরুতে রান নেওয়ার কথা যেন ভুলেই গিয়েছিলেন, ৩৬তম বলে গিয়ে ওভারটনকে চার মেরে পূরণ করলেন রানের কলাম! পরের ৫৩ বলেই কামিন্স করেছেন ৪০ রান। এর মাঝে ডিনার গেছে, ইংল্যান্ড হতাশ হয়েছে, রুটের আক্ষেপ বেড়েছে শুধু। ডিনারের আগে আগে মার্শের একটা ক্যাচ মিসই আসলে বলে দেয় দিনে ইংল্যান্ডের চিত্রটা। ওকসের বাউন্সারে সহজ ক্যাচ উঠলো গালিতে, দুইদিক থেকে অ্যালেস্টার কুক ও জেমস ভিনস ছুটে এলেন। ক্যাচ হাতে পুরতে পারলেন না কেউই! আরেকটু হলে তো সংঘর্ষই হয়ে যেত তাদের।

    সেশনের শুরুর ওভারে ইংল্যান্ড উইকেট পাবে, এ নিয়ম মেনেই কামিন্স ওভারটনের বাউন্সারে ক্যাচ দিলেন থার্ডম্যানের হাতে। আর ৪ ওভার ব্যাটিং করলো অস্ট্রেলিয়া, তাতেই উঠলো ৩৩ রান। স্টিভেন স্মিথ ইনিংস ঘোষণা করে দিলেন এরপরই। 

    অ্যাশেজে বড় স্কোরের সন্ধান করা অ্যালেস্টার কুক টিকে আছেন, তবে তার ওপেনিং সঙ্গী ও একটু বেশি আক্রমণাত্মক হওয়া স্টোনম্যান পড়েছেন স্টার্কের এলবিডাব্লিউর ফাঁদে। রিভিউ নিয়েও বাঁচেননি তিনি। 

    এই টেস্টে ইংল্যান্ড বাঁচবে?