'উইকেটের নয়, দায় ব্যাটসম্যানদের'
উইকেট নিয়ে কাল প্রকাশ্যেই নিজেদের অসন্তোষ জানিয়ে গিয়েছিলেন তামিম ইকবাল ও মাশরাফি বিন মুর্তজা। তামিম তো সরাসরিই বলেছেন, এই উইকেট জঘন্য। আজও যেমন চিটাগং অলআউট হয়ে গেছে ৬৭ রানে। কিন্তু তা মানতে রাজি নন বিপিএলের গভর্নং কাউন্সিলের সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক। জোর দিয়েই বলছেন এটা ব্যাটসম্যানদের জন্য ‘আনপ্লেয়েবল’ কিছু নয়, খারাপ খেলার কারণেই দায় ব্যাটসম্যানদের ওপর আসছে।
কাল রংপুরের ৯৭ রান তাড়া করতেই আরেকটু হলে হারতে বসেছিল কুমিল্লা। তামিম-মাশরাফি দুজনেই বলেছেন, এমন উইকেটে টি-টোয়েন্টি খেলা উচিত নয়। এই উইকেট যে টি-টোয়েন্টির জন্য আদর্শ নয়, সেটিও মেনে নিলেন ইসমাইল হায়দার। কিন্তু সেই সঙ্গে মনে করিয়ে দিলেন, ‘উইকেটের কথা যদি বলেন, খালি চোখে এটা টি-টোয়েন্টির উইকেট মনে হয় না। এটা একটু স্লো, কিন্তু এটা ১০০ করার মতো উইকেট না। এটা ১৪০-১৫০ করার মতো উইকেট। গতকালের দুই ম্যাচে দেখুন এক ম্যাচে ২০৫ হয়েছে, আবার আরেক ম্যাচে ৯৭। একই উইকেটেই কিন্তু খেলা হচ্ছে। ব্যাটসম্যানরা খাপ খাইয়ে নিতে পারলে এটা ১৫০-১৬০ উইকেট। আমরা তারপরও গ্রাউন্ডস কমিটির সঙ্গে বসেছি। কীভাবে আরও ব্যাটিং উইকেট করা যায় সেটা নিয়ে কথা বলছি। কিন্তু তারপরও উইকেট এতোটা খারাপ না। যতোটা মনে হয়েছে সেটা না।’
জঘন্য শব্দটাও আপত্তি আছে ইসমাইল হায়দারের, ‘জঘন্য উইকেট না। তামিম-মাশরাফি ন্যাশনাল টিমের খেলোয়াড়, তারা এখানে খেলে। তামিম আমার কাছেও বলেছে, উইকেট প্রপার না। অন্তত টি-টোয়েন্টির জন্য নয়। এটা কিন্তু জঘন্য উইকেট না।’
কিন্তু সিলেট-চট্টগ্রাম পর্বের সময় মিরপুরে খেলা হয়নি। বিশেষ করে চট্টগ্রামে নয় দিনের বিরতির পরও উইকেটের অবস্থা এমন কেন? ইসমাইল হায়দার অবশ্য সরাসরি উত্তর দিলেন না, ‘দেখেন, এই মাঠে টেস্ট, ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি সবকিছুই হয়। এটা জাতীয় দলের কথা চিন্তা করে বানানো হয়। একটা উইকেট তৈরি করলে তিন থেকে চার মাস সময় লাগে। রাতারাতি কিছু তো বদলানো যায়না। তারপরও একদম খারাপ যাতে না হয় সেটা নিয়ে আমরা স্টেপ নিতে বলেছি।’
চট্টগ্রামের উইকেটে রান হয়েছে। ওই উইকেট নিয়ে নিজের উচ্ছ্বাসও জানিয়েছেন তামিম। ইসমাইল হায়দার এখানেও দাঁড় করিয়ে দিচ্ছেন অজুহাতের ঢাল, ‘চিটাগং আর ঢাকার উইকেট কিন্তু আলাদা। ঢাকায় টেস্ট ম্যাচ জেতার জন্য বানিয়েছিল। আবার চিটাগংয়ে ম্যাচ ড্র করার জন্য বানানো হয়েছিল। ব্যাটসম্যানদের অ্যাপ্লিকেশনের ব্যাপারও এখানে চলে আসে।’
প্রশ্ন উঠে যাচ্ছে, মাসে চার লাখ টাকা বেতনে কাজ করা পিচ কিউরেটর গামিনি ডি সিলভার কাজ কী? মল্লিক এ ব্যাপারটাও গুরুত্ব দিলেন না, ‘কিউরেটরের অ্যাবিলিটি নিয়ে প্রশ্ন আসা অবান্তর। এখানে কিউরেটর গত চার বছরে ধরে কাজ আসছে। এখানে আমরা অস্ট্রেলিয়া, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়েছি, তখন কোনো প্রশ্ন ওঠেনি। এখন কিউরেটরকে দোষ দেওয়াটা তো আসলে গ্রহণযোগ্য না।’