সব না হলেও শেষটা ভাল হলো চিটাগংয়ের
চিটাগং ১৯৪/২, ২০ ওভার (রিস ৮০, রঙ্কি ৪২, রাজা ৪২*, মিরাজ ২/১৮)
রাজশাহী ১৪৯/৯, ২০ ওভার (প্যাটেল ৬২, জাকির ১৯, রাজা ৪/১৬, সানজামুল ২/১৪)
ফল : চিটাগং ৪৫ রানে জয়ী
পয়েন্ট তালিকার তলানীর দুই দলের লড়াই। রাজশাহীর একধাপ ওপরে ওঠার সুযোগ ছিল, চিটাগংয়ের ছিল শুধু সান্ত্বনার জয় পাওয়ার উপলক্ষ্য। রাজশাহীকে উড়িয়ে দিয়ে সেই সান্ত্বটাটা ভালই পেল চিটাগং। শেষটা ভাল হলো তাদের, সবটা ভাল হওয়ার সুযোগ অবশ্য তারা হারিয়েছে আগেই।
রাজশাহীর ফিল্ডিং যেখানে শেষ হয়েছিল, চিটাগং শুরু করলো যেন সেখান থেকেই। ১৯৫ রানের লক্ষ্যে রাজশাহীর ওপেনাররা সে সুযোগটা নিতে পারলেন না। লুইস রিস কাভারে রনি তালুকদারের অসাধারণ ক্যাচ নিয়ে ফিল্ডিংয়েও হাঁটলে সোজা পথে।
এরপর রাজশাহী ইনিংসে শুধুই সামিট প্যাটেল। তাসকিনকে চার-ছয় মেরে শুরু। রায়াদ এমরিটকে টানা চার মারলেন এরপর। এর মাঝেই অবশ্য শেষ হয়ে গেল মুমিনুলের সংগ্রাম। ১৬ বলে ৯ রান করে সানজামুলকে ফিরতি ক্যাচ দিলেন।
প্যাটেল ঝড় চললোই অবশ্য। তানভীরকে এক ওভারে পরপর দুই ছয়। এরপর মুশফিকের সঙ্গে আল-আমিনের এক ওভারে নিলেন ২২ রান। তার আগেই ফিফটি পূর্ণ হলো প্যাটেলের, ওই ২২ বলেই। উইকেটকিপারের অসাধারণ ক্যাচে শেষ হলো তার টর্নেডো, ঝড়ের পরে সব শান্ত হয়ে যাওয়ার মতো শান্ত হয়ে গেল রাজশাহীর ইনিংসও।
সিকান্দার রাজা পেলেন হ্যাটট্রিকের সুযোগ, একবার নয়, দুইবার! প্রথমে মুশফিক ও উসামা মিরের উইকেট, তৃতীয় বলে অল্পের জন্য বেঁচে গেলেন ফ্র্যাঙ্কলিন। পরের ধাপে রাজা নিয়েছেন পরপর মোহাম্মদ সামি ও মেহেদি হাসান মিরাজের উইকেট। পরের ওভারের প্রথম বলে কাজী অনিক সিঙ্গেল নিয়ে হতাশ করলেন রাজাকে।
ফ্র্যাঙ্কলিন এর আগেই ক্যাচ দিয়েছেন তাসকিনের বলে। আর মিরাজকে অসাধারণ ক্যাচে ফিরিয়েছেন তানভীর, এমরিটের বলে। ইনিংসের শেষ বলটা ছেড়ে দিয়েছেন মুস্তাফিজ, রাজশাহী যেমন প্রথমে ফিল্ডিংয়ে ছেড়েছে অনেক সুযোগ!
এলোমেলো ফিল্ডিং, খাপছাড়া বোলিং। খাতা-কলমে ওপরে থাকা রাজশাহীর এসব দূর্বলতারই সুযোগ নিয়েছে চিটাগং। বিপিএলে ভুলে যাওয়ার মতো এক মৌসুমের শেষ ম্যাচে সংগ্রহটাও তাই দারুণ হয়েছিল তাদের। লুক রঙ্কি, লুইস রিস ও সিকান্দার রাজার ঝড়ো ব্যাটিংয়ে আরেকবার ২০০-এর কাছাকাছি গিয়েছিল চিটাগং।
শুরুটা হয়েছিল মুমিনুল হকের ওভারথ্রোতে। তা থেকে এলো চার রান, ওভারথ্রো ধরতে ব্যাক-আপে ছিলেন কেউই! মুস্তাফিজের বলে এরপর রঙ্কির ক্যাচ ডিপ মিডউইকেটে ছয় বানিয়ে দিলেন ফিল্ডার। খানিক বাদে স্টাম্পিংয়ের জন্য দুনিয়ার সকল সময় পেয়েও করতে পারলেন না জাকির।
রঙ্কি ততক্ষণে ঝড় শুরু করেছেন। মেহেদি হাসান মিরাজের বলে স্লগ করতে গিয়ে ডিপ মিড-উইকেটে ক্যাচ দেওয়ার আগে করেছেন ৩০ বলে ৪২ রান। সৌম্য সরকার মনে রাখার মতো কিছু করার সুযোগ পেলেন আরেকবার, তবে মিরাজের বলেই বোল্ড হয়ে করা হলো না তার।
লুইস রিস ওপেনিং থেকে শেষ পর্যন্তই ছিলেন। আগের ৭ ইনিংস মিলিয়ে করেছিলেন ৬১ রান, আজ এক ইনিংসেই করলেন ৫৬ বলে ৮০। সিকান্দার রাজার সঙ্গে গড়েছেন ৪২ বলে ৮৬ রানের জুটি।