• বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    যা কিছু পেল সাকিবময় ঢাকাই

    যা কিছু পেল সাকিবময় ঢাকাই    

     

    ঢাকা ডায়নামাইটস ২০ ওভারে ১৩৭/৭ (সাকিব ৪৭*, মারুফ ৩৩; রুবেল ২/৩২, এবাদত ২/৩৭)

    রংপুর রাইডার্স ২০ ওভারে ৯৪/৭ (বোপারা ২৮, চার্লস ২৬; সাকিব ২/১২)

    ফলঃ ঢাকা ৪৩ রানে জয়ী


    রংপুর রাইডার্সের জন্য ম্যাচটা না ছিল কিছু পাওয়ার, না ছিল হারানোর। শীর্ষ দুইয়ে থাকতে পারছে না, নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল আগেই। ঢাকা ডায়নামাইটসের জন্যই বরং ম্যাচটা ছিল পাওয়ার উপলক্ষ। রংপুরকে ৪৩ রানে হারিয়ে সেটা তারা পেয়েছেও, শীর্ষ দুইয়ে থেকে নিশ্চিত করে ফেলেছে কোয়ালিফায়ারে খেলা। ঢাকা এখন মুখোমুখি কুমিল্লার, খুলনার প্রতিপক্ষ এলিমিনেটরে রংপুর।

    রংপুর অবশ্য কিছু না পাচ্ছে না, তা জেনেই যেন আজ নেমেছিল। মাশরাফি বিন মুর্তজা ও ক্রিস গেইল আজ বিশ্রামে ছিলেন, টস করতে নেমেছিলেন ব্রেন্ডন ম্যাককালাম। সুযোগ পেয়েছেন আবদুর রাজ্জাক, এবাদত হোসেনরা, দলে ফিরেছেন শাহরিয়ার নাফীস, রুবেল হোসেন, জনসন চার্লস। টস ভাগ্য অবশ্য ঢাকার পক্ষেই ছিল, ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু ইনিংস শুরুর খানিক পরেই প্রশ্ন শুরু হয়ে যায় উইকেট নিয়ে।

    আজও মিরপুরের উইকেট ছিল বেশ স্লথ, বল ব্যাটে এসেছে অনেক ধীরে। টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে ঢাকা শুরুতেই হারিয়েছে সুনীল নারাইনকে। জো ডেনলি, জহুরুল ইসলামরাও যখন ফিরে গেলেন, ৩৪ রানে ঢাকা হারিয়ে ফেলেছে ৩ উইকেট।

    মোসাদ্দেক হোসেন এবার বিপিএলে ছিলেন নিষ্প্রভ, আজকের ম্যাচ তাঁর জন্য হতে পারত কিছু একটা করার। কিন্তু আজও ৭ বলে ১০ রান করে আউট হয়ে গেলেন। এরপর এভিন লুইসও যখন চলে গেলেন, ৪৮ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ঢাকা কাঁপছে।

    পুরো টুর্নামেন্টে ব্যাট হাতে সেরকম কিছু করতে না পারা সাকিব আল হাসান শেষ পর্যন্ত আজ জ্বলে উঠলেন। সঙ্গে যোগ দিলেন এবার এখন পর্যন্ত ম্রিয়মাণ মেহেদী মারুফও। দুজন মিলে পরের ৭ ওভারে যোগ করলেন ৫৫ রান, ঢাকা যেন প্রাণ পেল তাতেই। সাকিব অবশ্য শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ৩৩ বলে ৪৭ রান করে, ঢাকাও শেষ পর্যন্ত করতে পারল ১৩৭। উইকেট বলে দিচ্ছিল, সেটাই ম্যাচ শেষে জয়ের জন্য যথেষ্টরও বেশি হয়ে যেতে পারে।

    গেইলবিহীন রংপুরের জন্য হলোও তাই। অ্যাডাম লিথ আউট হয়ে গেলেন শুরুতেই, ম্যাককালামও আজ আরও একবার ব্যর্থ, আউট হয়ে গেলেন ১ রানে। নাফীস, মিঠুনরাও বেশিক্ষণ টিকলেন না। জনসন চার্লসই যা একটু আশা দেখাচ্ছিলেন, কিন্তু ২৬ রানে তাঁর আউটেই শেষ হয়ে গেল রংপুরের আশাও। শেষদিকে বোপারা-নাহিদুলরা চেষ্টা করে ব্যবধানও শুধু কমাতে পেরেছেন। পুরো ২০ ওভার খেলেও ৭ উইকেটের বেশি খেলে ৯৪ রানের বেশি করতে পারেনি রংপুর। বল হাতেও দুই উইকেট নিয়েছেন সাকিব, ম্যাচসেরার পুরস্কার উঠেছে তাঁর হাতেই।