• অ্যাশেজ ২০১৭-১৮
  • " />

     

    ঘুমের ওষুধ খেতে হয়েছিল স্মিথকে

    ঘুমের ওষুধ খেতে হয়েছিল স্মিথকে    

    অ্যাডিলেড টেস্টের শেষদিনের আগের উত্তেজনা কাকে ছুঁয়ে যায়নি! জো রুট বা স্টিভ স্মিথ, শেন ওয়ার্ন বা কেভিন পিটারসেন- রোমাঞ্চকর এক লড়াইয়ের প্রত্যাশা ছিল সবারই, বাকি চারদিনের মতোই। তবে উত্তেজনা বা স্নায়ুচাপ একটু বেশিই প্রভাব ফেলেছিল অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক স্মিথের ওপর। আগের রাতে তাই তাকে খেতে হয়েছিল ঘুমের ওষুধ। 

    ম্যাচশেষে সংবাদ সম্মেলনে স্মিথ নিজেই বলেছেন তার স্নায়ুচাপের কথা, ‘গতরাতে আমাকে ঘুমের ওষুধ নিতে হয়েছিল। সত্যি বলতে, গত ২৪ ঘন্টা বেশ কঠিন ছিল। এটা আসলে দেশের অধিনায়ক হওয়ার একটা অংশ, আপনাকে কঠিন সব সিদ্ধান্ত নিতে হবে, আর কিছু সিদ্ধান্ত ভুল হয়ে যাবে। তবে সবকিছুই আসলে শেখার অংশ, আশা করি এ ম্যাচ থেকেও আমি কিছু শিখতে পারবো।’ 

     

     

    স্মিথের ভুল বলতে যেটা বেশি আলোচনায় এসেছে, তৃতীয় দিন শেষ সেশনে ইংল্যান্ডকে ফলো-অনে না পাঠিয়ে নিজের ব্যাটসম্যানদের ফ্লাডলাইটের নিচে ব্যাটিং করতে পাঠানো। উপযুক্ত কন্ডিশন পেয়ে জ্বলে উঠেছিলেন ইংলিশ বোলাররা, ঘুরে গিয়েছিল ম্যাচের মোড়। ব্যাটিং বিপত্তির পর আবার স্মিথ মুখোমুখি হয়েছিলেন রিভিউ বিপত্তির। তিন বলের ব্যবধানেই স্মিথ নিয়েছিলেন দুই রিভিউ, দুইটিই ব্যর্থ। 

    স্মিথ অবশ্য চেষ্টা করেছেন নিজের এসব সিদ্ধান্ত ব্যাখ্যা করতে, ‘আমাদের সামনে দীর্ঘ এক মৌসুম পড়ে আছে। আমাদের বোলাররা তাই খুবই মূল্যবান, তাদেরকে একটু বিশ্রাম দিলে তারা ফিরে এসে তাদের কাজটা খুব ভালভাবে করবে, আমার আত্মবিশ্বাস ছিল এমনই। এ কারণেই তাদের বিরতি দিয়ে ইংলিশ বোলারদের বল করতে দিয়েছিলাম। প্রথম ইনিংসে তারা ১৫০ ওভারের মতো বোলিং করছিল, আর অ্যাশেজ সিরিজের অংশ হিসেবেই তারা যদি শুরুতে ক্লান্ত হয়ে যায়, তাহলে এটা শেষে গিয়ে পার্থক্য গড়ে দেবে। আমি এসব সিদ্ধান্ত নিয়ে অনেক কিছুই(সমালোচনা) পড়েছি। তবে ম্যাচটা জিতেছি আমরা, এসব তাই এখন অপ্রাসঙ্গিক।’ 

    আর রিভিউয়ে নতুন নিয়মগুলো একটু সমস্যায় ফেলেছিল স্মিথকে। নতুন নিয়মে আম্পায়ারস কল হলে রিভিউ নষ্ট হয়না, আবার ৮০ ওভারের পর রিভিউ নবায়নও হয় না। 

    ‘আমার মনে হয় এখন আম্পায়ারস কলের কারণে রিভিউ নিয়ে চিন্তা-ভাবনা একটু বদলে যাবে। এটা একটু কঠিন আসলে। মাঝে মাঝে আমরা আশা বেশি করে ফেলি, ব্যাটসম্যান আউট হবে এটার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী হওয়ার চেয়ে। স্টাম্প ছুঁয়ে গেলেই তো আমাদের সব ঠিকঠাক থাকে। ব্যাপারটা দারুণ, তবে এটা নিয়ে ধারাবাহিক হতে আসলে আমাকে কাজ করে যেতে হবে।’