• অ্যাশেজ ২০১৭-১৮
  • " />

     

    মালানের প্রথম সেঞ্চুরিতে ইংল্যান্ডের দাপট

    মালানের প্রথম সেঞ্চুরিতে ইংল্যান্ডের দাপট    

    ৩য় টেস্ট, পার্থ 
    ১ম দিনশেষে 
    টস- ইংল্যান্ড (ব্যাটিং)
    ইংল্যান্ড ৩০৫/৪ (মালান ১১০*, বেইরস্টো ৭৫, স্টোনম্যান ৫৬, স্টার্ক ২/৭৯, কামিন্স ১/৬০) 


    বেন স্টোকসের জায়গায় দলে এসেছেন তিনি। স্টোকসকে নিয়ে হাহাকার একটু কান পাতলেই আপনি শুনতে পাবেন চারদিকে। সেই ডেভিড মালানই এনে দিলেন এখন পর্যন্ত এই অ্যাশেজের ইংল্যান্ডের সবচেয়ে দাপুটে দিন। পার্থে মালানের প্রথম সেঞ্চুরি, জনি বেইরস্টোর অপরাজিত ফিফটি ও মার্ক স্টোনম্যানের ক্যারিয়ার-সর্বোচ্চ ইনিংসে ৩২১ রান তুলেছে ইংল্যান্ড। মালানের সঙ্গে দিনশেষে অপরাজিত আছেন ব্যাটিং অর্ডারে একধাপ এগিয়ে আসা বেইরস্টো। 

    টসে জিতে এবার ব্যাটিং-ই নিয়েছেন জো রুট। ১৫০তম টেস্ট খেলতে নামা অ্যালেস্টার কুক অবশ্য মনে রাখার মতো কিছুই করতে পারেননি। মিচেল স্টার্কের বলে আউটসুইং প্রত্যাশা করছিলেন, ব্যাকফুটে আড়াআড়ি খেলতে গিয়ে ফুললেংথের ভেতরের দিকে ঢোকা বলে হয়েছেন প্লাম্ব এলবিডাব্লিউ। রিভিউ নেননি, খুব ভাল করেই জানতেন, আশা নেই আসলে। 

    মার্ক স্টোনম্যান ও জেমস ভিনস এরপর শুরু করেছিলেন প্রতি-আক্রমণ। ইনিংসের প্রথম ধাপের পর একটু ধীরগতির হয়েছিলেন স্টোনম্যান, তবে রান আসছিল ঠিকই। প্রথম টেস্টে এ দুজনের জুটিই প্রথম ইনিংসে আশা জুগিয়েছিল ইংল্যান্ডের, ওয়াকাতে তারাই দিলেন আরেকবার আশা। দুইজনের ৬৩ রানের জুটি ভাঙলো জশ হ্যাজলউডের দারুণ নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে। এদিন বলের গতি বাড়িয়েছিলেন, সে গতিতে হিট করছিলেন নির্দিষ্ট লেংথে। টানা তিন ওভার মেইডেন করলেন, ভিনস থাকলেন টানা ১৬ বলে রানশূন্য। সে চাপেই শরীর থেকে দূরে ড্রাইভ করতে গিয়ে পেছনে ক্যাচ দিলেন ভিনস, লাঞ্চের ঠিক আগে। 

     

     

    রুট আউট হয়েছেন লেগস্টাম্প দিয়ে বেড়িয়ে যাওয়া বলে ফ্লিক করতে গিয়ে। ধেয়ে আসা পানির স্রোতকে শুধু দিক বদলিয়ে দিলেই হতো, রুট হাবুডুবু খেয়েছেন তাতেই। আরেকবার ধ্বসের হুমকি এরপর ধেয়ে আসা শুরু করেছিল ইংল্যান্ডের দিকে। এর আগেই শুরু হয়েছে শর্ট বলের স্রোত। ওয়াকা-র প্রথম দিনের পিচের দৃঢ়তা বেশ কাজে লাগিয়েছেন স্টার্ক-হ্যাজলউড-কামিন্সরা। স্টার্কের বাউন্সারে লাফিয়ে গা বাঁচিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন স্টোনম্যান, পেইন লাফিয়ে সেটা গ্লাভসবন্দি করার আগে ছুঁয়ে গেছে স্টোনম্যানের গ্লাভস। অন্তত স্নিকো দেখে টিভি আম্পায়ার আলিম দার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সেটাই। অন-ফিল্ড আম্পায়ার মারাই এরাসমাস দিয়েছিলেন নট-আউট। 

    স্টোনম্যান আউট হতে পারতেন ৪ রান আগেই, স্লিপে লোপ্পা ক্যাচ ফেলে দিয়েছিলেন মিচেল মার্শ। এই ক্যাচ মিস অস্ট্রেলিয়াকে এ যাত্রায় কম ভোগালেও পিছু ছাড়েনি ভোগান্তি। ৯২ রানে মালানের ক্যাচ তৃতীয় স্লিপে ফেলেছেন ক্যামেরন ব্যানক্রফট। 

    এরপর আর উইকেট হারায়নি ইংল্যান্ড। শেষ সেশনে অস্ট্রেলিয়ান বোলারদের শর্ট বল ইন ফ্রন্ট অব স্কয়ারে দারুণ খেলেছেন মালান-বেইরস্টো, ন্যাথান লায়নের স্পিনেও ব্যাকফুটে খেলেছেন ভালভাবে। দ্বিতীয় নতুন বল পাওয়ার আগে লেগস্পিন করেছেন স্টিভেন স্মিথও। কিছুতেই কিছু হয়নি, প্রথম দিনেই ৩০০ ছাড়িয়েছে ইংল্যান্ড, ২০০২ সালের পর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে কোনও টেস্টের প্রথম দিনে এটিই ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ রান।