• জাতীয় লিগ ২০১৭
  • " />

     

    বিজয়-মেহেদি-নাসিরের সেঞ্চুরি, তাইজুল-রনির ৫ উইকেট

    বিজয়-মেহেদি-নাসিরের সেঞ্চুরি, তাইজুল-রনির ৫ উইকেট    

    ১ম স্তর

    বরিশাল-রংপুর (চট্টগ্রাম) 
    টস- বরিশাল (ব্যাটিং) 
    বরিশাল ১ম ইনিংস ৩৩৫ (সোহাগ ৯৯, নুরুজ্জামান ৫৮, আল-আমিন ৫০,  শুভাশীষ ৩/৫৪, তানভীর ৩/৫৩, আরিফুল ৩/৬৮)
    রংপুর ১ম ইনিংস ২৬৪/৪ (নাসির ১০১*, নাইম ৫৪, লিটন ৪৩, মনির ৩/৬৯) 

    ঢাকা-খুলনা (বিকেএসপি) 
    টস- খুলনা (ফিল্ডিং) 
    ঢাকা প্রথম ইনিংস ১১৩ অল-আউট (রকিবুল ২৮, শুভাগত ২১, মিরাজ ৭/২৪, মুস্তাফিজ ২/১৬) 
    খুলনা ১ম ইনিংস ৩৭০/১ (মেহেদি ১৬৮*, এনামুল ১৬৭*, শরিফ ১/৪১)

    ২য় স্তর

    রাজশাহী-ঢাকা মেট্রো (রাজশাহী) 
    টস- রাজশাহী (ফিল্ডিং) 
    ঢাকা মেট্রো প্রথম ইনিংস ৩২৮ (সাদমান ৭৫, মার্শাল ৬৭, তাইজুল ৫/১০৫)  

    সিলেট-চট্টগ্রাম (সিলেট) 
    টস- সিলেট (ফিল্ডিং) 
    চট্টগ্রাম ১ম ইনিংস ২১৫ অল-আউট (ইয়াসির ৮১, সাদিকুর ৪৬, আবুল ৩/৩৪, এনামুল জুনিয়র ৩/৪৪) 
    সিলেট ১ম ইনিংস ৫৪/৩ (ইমতিয়াজ ১৯, ইফতেখার ১/২১) 


    জাতীয় লিগের এবারের আসরে প্রথম সেঞ্চুরি পেয়েছেন নাসির হোসেন। ১২ চার ও ২ ছয়ে ১৬৭ বলে ১০১ রান করে অপরাজিত আছেন তিনি। ৮১ রানে ৩ উইকেট যাওয়ার পর নাইম ইসলামের সঙ্গে গড়েছেন ১০৪ রানের জুটি, আগের ম্যাচে ক্যারিয়ারের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি করা নাইম আউট হয়েছেন ফিফটি করে। দিনশেষে ৬ উইকেট নিয়ে ৭১ রানে পিছিয়ে আছে রংপুর, আগের দিনের স্কোরের সঙ্গে এদিন বরিশাল যোগ করেছিল ৫৫ রান। 

    আগেরদিন মিরাজের বোলিং তোপে পড়েছিল ঢাকা। এবার তারা ঢাকা পড়ছেন এনামুল হক বিজয় ও মেহেদি হাসানের ব্যাটিংয়ে। দুজনের ২৮১ রানের জুটি অবিচ্ছিন্ন আছে এখনও, জাতীয় লিগের এ মৌসুমে এটিই সর্বোচ্চ রানের জুটি। সব মিলিয়ে রেকর্ডটি মোসাদ্দেক হোসেন ও আল-আমিনের। ২০১৪-১৫ সালে তারা তুলেছিলেন ৪২৩ রান। 

    প্রথম শ্রেণিতে ক্যারিয়ারের ১৪তম সেঞ্চুরি পেয়েছেন এনামুল, ১৬৭ রানে অপরাজিত আছেন এখনও। ১৮টি চারের সঙ্গে তিনি মেরেছেন ৪টি ছয়। বিপিএলের এ আসরে বোলিংয়ে কুমিল্লার অন্যতম ভরসা মেহেদি অপরাজিত ১৬৮ রানে, বল খেলেছেন মাত্র ১৫১টি। তিনি চার মেরেছেন ২০টি, ছয় ২টি। প্রথম শ্রেণিতে তার এমন ব্যাটিং অবশ্য নতুন নয়, ক্যারিয়ারে এটি চতুর্থ সেঞ্চুরি এই অলরাউন্ডারের।  

     

     

    ক্যারিয়ারে ১৫তম ৫ উইকেট পেতে তাইজুলের দরকার ছিল ২ উইকেট। ঢাকা মেট্রোর আগের দিনের বাকি ৬ উইকেটের মাঝে তাইজুল নিয়েছেন দুইটিই। সাদমান-মার্শালের পর ফিফটি করতে পারেননি মেট্রোর আর কোনও ব্যাটসম্যান, ৩২৮ রানেই থামতে হয়েছে তাদের। এরপর রাজশাহীকে দারুণ শুরু এনে দিয়েছেন মিজানুর-নাজমুলের ওপেনিং জুটি। দিনশেষে ৯৫ রানে অবিচ্ছিন্ন তারা। 

    চট্টগ্রামকে আগের ২১৫ রানে অল-আউট করে নিজেদের ১ম ইনিংসে ১৩৭ রানে অল-আউট হয়েছে সিলেট। মূল হন্তারক ছিলেন ইফতেখার সাজ্জাদ রনি। এই অফস্পিনার ৪৩ রানে নিয়েছেন ৫ উইকেট, ক্যারিয়ারের ৫ম বার ইনিংসে ৫ উইকেট নিলেন তিনি। আবার ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা দৃঢ় হয়েছিল চট্টগ্রামের, ওপেনিং জুটিতেই এসেছে ৯২ রান। সাদিকুর ও জসিম, দুই ওপেনারই পেয়েছেন ফিফটি। তবে তাদের উইকেটের পরই ঘটেছে বিপত্তি, ৪৫ রানে ৪ উইকেট হারিয়েছে তারা। তবে ২য় দিনশেষে ২৬৭ রানের লিড তাদের। সিলেটকে ম্যাচ বাঁচাতে এখন করতে হবে দারুণ কিছু।