অবশেষে মাহমুদউল্লাহর ব্যাটে রান
বিশ্বকাপে উড়তে থাকা মাহমুদউল্লাহ পাকিস্তানের সঙ্গে সিরিজে নেমে এসেছিলেন মাঠে। তিন ওয়ানডে দুই অঙ্কে পৌছাতে পেরেছিলেন মাত্র একবার। টেস্টেও সম্ভাবনা জাগিয়ে খুব বড় কিছু করতে পারেননি। কিন্তু ভারত সিরিজের আগে মাহমুদউল্লাহর ফর্মে ফেরাটা ভীষণ দরকার ছিল। সেটা ফিরতে পারবেন কি না সময় হলেই জানা যাবে, তবে বাংলাদেশের এই ব্যাটসম্যানের সেই আভাসটা দিয়ে রাখলেন। আজ বিসিএলের ম্যাচে ওয়ালটন সেন্ট্রাল জোনের হয়ে সেঞ্চুরি করে আভাস দিয়েছেন ফর্মে ফেরার।
ঘরোয়া লিগের ম্যাচে সেঞ্চুরি হয়তও এমন কিছু নয়। তবে যে পরিস্থিতিতে সেঞ্চুরি করেছেন, তাতে আরও মহার্ঘ্য মনে হচ্ছে এটিকে। প্রথম ওভারে স্কোরকার্ডে কোনো রান ওঠার আগেই ফিরে গিয়েছিলেন আবদুল মজিদ। এরপর জাতীয় দলের আরেক ওপেনার ফিরে যান কোনো রান না করেই। স্কোরবোর্ডে তখনও কোনো রান যোগ হয়নি। দলীয় ১৮ রানের মাথায় জাতীয় দলের আরেক সাবেক রকিবুল হাসান আউট হয়ে যান ১২ রান করে। ৬২ রানে মেহরাব জুনিয়রও আউট হয়ে গেলে বিপদেই পড়ে যায় সেন্ট্রাল জোন।
সেখান থেকে দলকে টেনে তোলেন মাহমুদউল্লাহ-মার্শাল আইয়ুব। দুজনে মিলে পঞ্চম উইকেটে যোগ করেছেন ১৪৮ রান। ১১৩ রানে মাহমুদউল্লাহ যখন আউট হলেন, স্কোরকার্ডে তখন উঠে গেছে ২১০ রান। মার্শাল অবশ্য সেঞ্চুরি পাননি, ৮৭ রান করেই আউট হয়ে গেছেন। তার আগেই অবশ্য আরও দুই উইকেট পড়ে গেছে। জাতীয় দলের অলরাউন্ডার শুভাগত হোম আউট হয়ে গেছেন ১ রান করে। দিন শেষে সেন্ট্রাল জোন শেষ করেছে ৮ উইকেটে ২৭৮ রান নিয়ে। নর্থ জোনের হয়ে সফলতম বোলার ছিলেন তাইজুল, ৩১ ওভারের ১০৬ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট। এর মধ্যে ছিল মাহমুদউল্লাহ ও মার্শালের উইকেট দুইটিও।
দিনের আরেক ম্যাচে প্রাইম ব্যাঙ্ক সাউথ জোনের হয়ে আলো ছড়িয়েছেন শাহরিয়ার নাফীস ও মোহাম্মদ মিথুন। ইসলামী ব্যাঙ্ক ইস্ট জোনের সঙ্গে নাফীস অপরাজিত ছিলেন ৭৯ রানে, মিথুন ৮৮ রানে। তার আগে ইমরুল কায়েস আউট হয়ে গেছেন ৫৬ রান করে, এনামুল হক বিজয় করেছেন ৩৯। দিন শেষে প্রাইম ব্যাঙ্ক করেছে ২ উইকেটে ২৭২।