এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ স্মিথ-ওয়ার্নার
বল টেম্পারিং কেলেঙ্কারিতে স্টিভ স্মিথ ও ডেভিড ওয়ার্নারকে ১ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। ক্যামেরন ব্যানক্রফট নিষিদ্ধ হয়েছেন ৯ মাসের জন্য। শুধু আন্তর্জাতিক ক্রিকেট নয়, তাদেরকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে ঘরোয়া ক্রিকেট থেকেও। বড় শাস্তি অপেক্ষা করছিল তাদের জন্য, সেটা আভাস দিয়েই রেখেছিলেন সিএ-র প্রধান নির্বাহী জেমস সাদারল্যান্ড।
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার ২.৩.৫ কোড অফ কনডাক্ট ভাঙার দায়ে তিনজন এই নিষেধাজ্ঞার শাস্তি দেওয়া হয়েছে। আইসিসি থেকে আগেই শাস্তি পেয়েছিলেন স্মিথ ও ব্যানক্রফট, তবে সেটা ছিল শুধুই এক টেস্টের নিষেধাজ্ঞা ও জরিমানা। যতদিন ক্রিকেট খেলবেন, অস্ট্রেলিয়া দলের কোনো নেতৃত্ব পাবেন না ওয়ার্নার। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া জানিয়েছে, বল টেম্পারিংয়ের মূল কারিগর হওয়ায় ও জুনিয়র ক্রিকেটার ব্যানক্রফটকে এই সংক্রান্ত নির্দেশনা দেওয়ায় এই শাস্তি পাচ্ছেন তিনি। আর স্মিথ ও ব্যানক্রফটের ক্ষেত্রে এই নেতৃত্বের নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে ১ বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরার পরও ১ বছর।
জাতীয় দল থেকে নিষিদ্ধ হওয়ার পাশাপাশি স্মিথরা খেলতে পারবেন না রাজ্য দলেও। রাজ্য ক্রিকেট খেলতে না পারলেও তারা ক্লাব ক্রিকেট খেলতে পারবেন, এক্ষেত্রে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার পক্ষ থেকে তাদেরকে উৎসাহই দেওয়া হয়েছে। ক্রিকেট সম্প্রদায়ের সঙ্গে যাতে তারা একেবারেই বিচ্ছিন্ন হয়ে না পড়েন, সেজন্য এই ব্যবস্থা। কমিউনিটি ক্রিকেটে ১০০ ঘন্টা স্বেচ্ছাশ্রমও দিতে হবে তাদের।
তবে আইপিএলসহ অন্যান্য ফ্রাঞ্চাইজি লিগে খেলতে বাধা না থাকলেও এবারের আইপিএলে স্মিথ-ওয়ার্নারের না খেলার ব্যাপারটি নিশ্চিত করেছেন বিসিসিআইয়ের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অমিতাভ চৌধুরী। আগে জানানো হয়েছিল, ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের পড়েই জানা যাবে দুজন আইপিএলে খেলতে পারবেন কী পারবেন না।
তবে এই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন এই ক্রিকেটাররা। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার আচরণবিধি অনুযায়ী একজন স্বতন্ত্র কমিশনারের অধীনে শুনানি হবে, সেই শুনানি প্রকাশ্য বা গোপনীয়- দুইটিই হতে পারে। সেই শুনানিতে ক্রিকেটাররা যতজন ইচ্ছা সাক্ষি আনতে পারবেন, আইনী সহায়তাও নিতে পারবেন।
কেপটাউন টেস্টের তৃতীয় দিন দ্বিতীয় সেশনে ঘটেছিল এই বল টেম্পারিংয়ের ঘটনা। এরপর সংবাদ সম্মেলনে এসে স্মিথ ও ব্যানক্রফট স্বীকার করেছিলেন, টেম্পারিং তাদের পূর্বপরিকল্পিত ছিল।