• এফ এ কাপ
  • " />

     

    কিক অফের আগেঃ শিরোপা খরা ঘোচানোর আরও কাছে টটেনহাম?

    কিক অফের আগেঃ শিরোপা খরা ঘোচানোর আরও কাছে টটেনহাম?    

    অন্য টুর্নামেন্টের শিরোপার আশা শেষ হয়ে গেছে অনেক আগেই। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও টটেহহামের কাছে এফ এ কাপ তাই ‘সবেধন নীলমণির’ মতোই। ওয়েম্বলির সেমিফাইনালে তাই ছেড়ে কথা বলবে না কেউই। হোসে মরিনহোর ইউনাইটেড কি পারবে মৌসুমের একমাত্র শিরোপার জয়ের দিকে একধাপ এগিয়ে যেতে? নাকি তাদের হারিয়ে ১০ বছর পর কোনো ট্রফি জয়ের আরও কাছে পৌঁছাবে মাউরিসিও পচেত্তিনোর টটেনহাম?

     

     

    টটেনহামের প্রতিপক্ষ ইতিহাসও

    ২০০৮ সালে শেষবার কোনো ট্রফি ছুঁয়ে দেখেছিল টটেনহাম। সেই দলের এখন কেউই নেই ক্লাবে। লিগ কাপ জেতার পর পেরিয়ে গেছে ১০ বছর, স্পার্সরা জেতেনি কোনো ট্রফি। ইউনাইটেডের বিপক্ষে স্পার্সদের সঙ্গী হচ্ছে দুর্ভাগ্যের ইতিহাসও। এফ এ কাপে টটেনহামের শেষবার ট্রফি জেতার সময়টাও বহু আগের। ১৯৯১ সালে এই শিরোপা জেতে তারা। এরপর সাতবার সেমিতে উঠলেও ফাইনালে খেলা হয়নি। 

    এফ এ কাপে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে টটেনহামের সাম্প্রতিক ইতিহাসটাও খুব সুখকর নয়। ১৯৯৭, ২০০৮ ও ২০০৯ সালে তিনবার ইউনাইটেডের কাছে হেরেই বিদায় নিয়েছিল টটেনহাম।

    তবে বছরের শুরুতে ইউনাইটেডকে ২-০ গোলে হারানোর সুখস্মৃতিটা আজ সাথে থাকবে পচেত্তিনোর দলের। সব টুর্নামেন্ট মিলিয়ে দুই দলের শেষ পাঁচ দেখায় তিনটিতেই জিতেছে টটেনহাম। পচেত্তিনো তাই আবারও ইউনাইটেডের বিপক্ষে জয়ের স্বপ্ন দেখছেন, ‘এই ট্রফি কি আমাদের জীবন পাল্টে দেবে? হয়ত না। কিন্তু মৌসুম শেষে একটা ট্রফি জেতা অনেক বড় ব্যাপার। আমরা নিজেদের সেরাটাই দিব সেমিতে, লক্ষ্য থাকবে ফাইনালে খেলা। ট্রফি কতটুক প্রয়োজন সেটা বড় কথা না, ট্রফি জিতলে মন্দ হয় না।’

    দ্বিতীয় এফ এ কাপের আরও কাছে মরিনহো?

    ২০০৭ সালে চেলসির কোচ হিসেবে প্রথম ও একমাত্র এফ এ কাপ শিরোপার স্বাদ পান মরিনহো। এবার ইউনাইটেডকে নিয়ে গেছেন তাদের ২৯ তম সেমিতে, যা কিনা সবচেয়ে বেশিবার সেমিতে খেলার আর্সেনালের রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছে। আজ জিতলে ইউনাইটেডের পৌঁছে যাবে নিজেদের এফ এ কাপ ইতিহাসের ২০তম ফাইনালে, পাশে বসবে আর্সেনালের।

    দুই দলই নামবে পূর্ণশক্তির একাদশ নিয়ে। ইউনাইটেডের একাদশে থাকতে পারেন আগের ম্যাচে বেঞ্চে বসে থাকা রোমেলু ও নেমাঞ্জা মাতিচ। বিশ্রামে থাকা টটেনহামের ড্যালে আলিকেও দেখা যাবে আজ।