সাকিবদের জয়টা ছিনিয়ে নিল ডু প্লেসির চেন্নাই
এবারের আইপিএলে দেড়শর কম রান নিয়েও বেশ কয়েকবার প্রতিপক্ষকে আটকে রেখেছিল হায়দরাবাদ সানরাইজার্স। আজও চেন্নাই সুপার কিংসের সঙ্গে তারা বেরিয়েই যাচ্ছিল। কিন্তু ফাফ ডু প্লেসির বীরত্বে দুর্দান্ত এক জয়ে ফাইনালে পৌঁছে গেল চেন্নাই। আর হায়দরাবাদের হয়ে রাতটা ভুলেই যেতে চাইবেন সাকিব।
সাকিব যখন আজ মাঠে নেমেছিলেন, ৩৬ রানে হায়দরাবাদ হারিয়ে ফেলেছে ৩ উইকেট। আগে বেশ কয়েক বার বড় ইনিংস খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন সাকিব, কাজে লাগাতে পারেননি। আজ মুখোমুখি প্রথম বলেই মারলেন চার, এরপর আরও একতি চারে ৮ বলে করলেন ১০ রান। কিন্তু ১০ বলে ১২ রানের পরেই থেমে গেল সাকিবের ইনিংস। ব্রাভোর বলটা লেগ সাইড দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছিল, কিন্তু সাকিবের ব্যাটে লেগে বলটা জমা পড়ে ধোনির গ্লাভসে।
হায়দরাবাদের ইনিংস অবশ্য গতি পায়নি একদমই। নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট হারিয়েছে, ৮৮ রানের মধ্যে পড়ে গেছে ৬ উইকেট। শেষ পর্যন্ত যে রান ১৪০ পর্যন্ত গেছে তার মূল কৃতিত্ব কার্লোস ব্রাথওয়েটের। ২৯ বলে ৪৩ রান করে অপরাজিত ছিলেন, শার্দুল ঠাকুরকে একাই মেরেছেন চারটি ছয়।
তবে সেই রানও যথেষ্ট হয়ে যাবে মনে হচ্ছিল। স্কোরবোর্ডে কোনো রান না ওঠার আগেই ফিরে যান ওয়াটসন, ২৪ রানের মধ্যে নেই রায়না ও ফর্মে থাকা আম্বাতি রাইডুও। ৩৯ রানের মধ্যে ধোনিও যখন ফিরে যান, শঙ্কায় পড়ে যায় চেন্নাই। ৬২ রানের মধ্যে চেন্নাই ৬ উইকেট হারিয়ে ফেললে হায়দরাবাদের জয়টাই মনে হচ্ছিল সম্ভাব্য ফল। কিন্তু ১১৩ রানে অষ্টম উইকেট পড়ার পর ডু প্লেসি ও শার্দুল মিলে মোড় ঘুরিয়ে দেন ম্যাচের। শেষ ৩ ওভারে ৪৩ রান দরকার ছিল, দুজন সেটা নিয়েছেন ৫ বল হাতে রেখেই। সাকিব অবশ্য তার আগেই বল করেছেন দুই ওভার, ২০ রান দিয়ে উইকেট পাননি কোনো। অবশ্য ফাইনালে ওঠার আরও একটা সুযোগ পাচ্ছে সানরাইজার্স, কলকাতা-রাজস্থানের জয়ী দলের সঙ্গে আরেকটি প্লে অফ খেলতে পারবে তারা।