• বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ ২০১৫
  • " />

     

    বাংলাদেশের বুমেরাং

    বাংলাদেশের বুমেরাং    

    সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ দক্ষিণ আফ্রিকা ১৬৯/৪, ২০ ওভার (ডি কক ৪৪, ডি ভিলিয়ার্স ৪০; নাসির ২/২৬); বাংলাদেশ ১৩৮/১০, ১৯.২ ওভার (সৌম্য ৩৭, রনি ২১; এডি লি ৩/১৬, অ্যাবট ৩/২০, ফাঙ্গিসো ৩/৩০)

     

    ফলঃ দক্ষিণ আফ্রিকা ৩১ রানে জয়ী

     

    ম্যাচ সেরাঃ এডি লি (দক্ষিণ আফ্রিকা)

    সিরিজ সেরাঃ ফাফ ডু প্লেসি (দক্ষিণ আফ্রিকা)

     

     

    দক্ষিণ আফ্রিকার স্পিনে দুর্বলতাটুকু ক্রিকেট বিশ্বে স্বীকৃত সত্যই। সেই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে স্পিন নির্ভর বাংলাদেশ দল ঘূর্ণি বলেই আধিপত্য বিস্তার করবে- এমনটাই প্রত্যাশিত ছিল। অথচ দু’ ম্যাচের টিটোয়েন্টি সিরিজে হল তার উল্টোটাই। নবীন প্রোটিয়া স্পিনাররা কাবু করে ফেললো বাংলাদেশের বাঘা ব্যাটসম্যানদের। বিপরীতে বাংলাদেশের স্পিন আক্রমণ ধার দেখাতে পারলো সামান্যই। একাদশ নির্বাচনে অতি ‘রক্ষণাত্মক’ মনোভাব, প্রথম সারির ব্যাটসম্যানদের ধারাবাহিক ব্যর্থতা...বাংলাদেশের ভুলের তালিকাটা নেহায়েত ছোট নয়। বিপরীতে প্রোটিয়া ব্যাটিং লাইন আপ পুরোপুরি জ্বলে উঠতে না পারলেও বল হাতে পেসার-স্পিনারদের সম্মিলিত সাফল্য ব্যবধানটা গড়ে দিয়েছে মোটা দাগে। ফলাফল, ঘরের মাঠের টিটোয়েন্টি সিরিজে নামমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাও গড়তে পারল না বাংলাদেশ। মিরপুরে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচেও ৩১ রানের অনায়াস জয় তুলে নিলো সফরকারীরা।

     

    টস হেরে বোলিংয়ে নামা বাংলাদেশ দল আজ শুরু থেকেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণতা ঠিক নিতে পারছিল না। উল্টো প্রথম ১০ ওভারেই ৯৫ রান তুলে নিয়ে পাহাড়সম সংগ্রহের আভাস দিচ্ছিল ডি কক-ডি ভিলিয়ার্সের উদ্বোধনী জুটি। অবশ্য সানি-নাসিররা পরপর দু’ ওভারে তিন উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচে ফিরিয়ে এনেছিলেন টাইগারদের।

     

     

    অষ্টাদশ ওভারে মুস্তাফিজ যখন ডু প্লেসিকেও ফিরিয়ে দিলেন প্রোটিয়া স্কোরবোর্ডে তখন মোটে ১৩৬ রান। তবে ম্যাচটা কার্যত বাংলাদেশের নাগালের বাইরে চলে যায় শেষ দু’ ওভারেই। সাকিব আর মুস্তাফিজের করা শেষ বারো বল থেকে ৩২টি রান তুলে নেন মিলার-রুশো জুটি। কুড়ি ওভার শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার চূড়ান্ত সংগ্রহ দাঁড়ায় ৪ উইকেটে ১৬৯ রান।

     

    ১৭০ রানের কঠিন লক্ষ্যটা অন্তত প্রথম ছ’ ওভার সম্ভব বলেই মনে হচ্ছিল। পাওয়ার প্লে থেকে তামিম-সৌম্যর উদ্বোধনী জুটি তুলে নেয় ৫২ রান। কিন্তু পরপর দু’ ওভারে দু’ ওপেনার ফিরে যাওয়ার পর বাকি গল্পটা আগের ম্যাচের মতোই এগোতে থাকে। ব্যক্তিগত ৩৭ রান করে সৌম্য দিরে যাওয়ার পর কুড়ির বেশী রান এসেছে আর একজনের ব্যাট থেকেই, রনি তালুকদার (২১)।

     

     

    একে একে মুশফিক, সাকিব, সাব্বির, নাসির, লিটন, রনি...লম্বা ব্যাটিং লাইন আপ বালির বাঁধের মতোই ভেঙে পড়লো। আর সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে সেটা ভাঙলেন দুই নবীন প্রোটিয়া স্পিনার; লেগি এডি লি ও ও বাঁহাতি অ্যারন ফাঙ্গিসোর প্রত্যেকেই নিয়েছেন তিনটি করে উইকেট। শেষভাগে টেলএন্ডার গুড়িয়ে দেয়ার কাজটা করলেন পেসার কাইল অ্যাবট, দিনশেষে তাঁর দখলেও তিন উইকেট। নির্ধারিত কুড়ি ওভারের চার বল বাকি থাকতেই বাংলাদেশ গুটিয়ে গেলো ১৩৮ রানে।

     

     

    অভিষেকেই দুর্দান্ত নৈপুণ্যের জেরে ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতে নেন এডি লি।