এবার আর নায়ক হতে পারলেন না জাহানারা
জাহানারা পেরেছিলেন। এশিয়া কাপ ফাইনালে শেষ বলে, আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে প্রথম দুই টি-টোয়েন্টিতে শেষ ওভারে। কিন্তু সেসব ছিল ব্যাট হাতে, আজ শেষ ওভারে পেলেন বল। আয়ারল্যান্ডের জয়ের জন্য দরকার ১১ রান, জাহানারা প্রথম তিন বলেন দিলেন তিন। চতুর্থ বলটা হলো ওয়াইড, কিন্তু ওই বলেই রান আউট হয়ে গেলেন লরা ডেলানি, ৪৬ রানে। পরের বলে ইসাবেল জয়েস নিলেন দুই রান, দুই বলে দরকার ৫ রান। কিন্তু ওই বলেই চার মারলেন ইসাবেল, শেষ বলে দরকার ১ রান। ১ রান নিয়েই ৬ উইকেটের জয় এনে দিলেন দলকে, এবার আর নায়ক হতে পারলেন না জাহানারা। ২-১ ব্যবধানেই সিরিজ জিতল বাংলাদেশের মেয়েরা, ধবলধোলাই আর করা হলো না।
অথচ ১৫১ রান করার পর বল হাতেও শুরুটা দারুণ হয়েছিল বাংলাদেশের। ৭ ওভারের মধ্যে ২ উইকেট নেই আয়ারল্যান্ডেরত, স্কোরকার্ডে তখন উঠেছে মাত্র ৩০ রান। গ্যাবি লুইস ও ডেলানি শুধু হালই ধরলেন না, সচল রাখলেন রান রেটও। তৃতীয় উইকেটে দুজন ৯৭ রান যোগ করে ম্যাচটা নিজেদের করেই নিয়েছিলেন।
কিন্তু স্কোরকার্ডে ১২৩ রান ওঠার পর ৩১ বলে ৫০ রান করে আউট হয়ে গেলেন লুইস। এরপর একটু স্লথ হয়ে গেল আয়ারল্যান্ড, তবে লরা আর ইসাবেল একটু একটু করে নিয়ে যাচ্ছিলেন লক্ষ্যের দিকে। শেষ ওভারে শেষ পর্যন্ত আয়ারল্যান্ডের জয়ের দরকার ১১ রান। সেখানেই জাহানারা শেষ পর্যন্ত আর পারলেন না, আইরিশরা পেল নাটকীয় এক জয়।
অথচ ম্যাচটা অনায়াসেই হতে পারত ফারজানা হকের। টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৫২ রানের ইনিংস ছিল তাঁর, আজ সেই রেকর্ড ভেঙে আরও অনেকদূর নিয়ে গেছেন। তিনে নেমে ৪৭ বলে ৬৬ রান করে অপরাজিত ছিলেন। ছয়টি চারের সঙ্গে মেরেছেন দুইটি ছয়ও। তার আগে বাংলাদেশের শুরুটাও হয়েছিল ভালো। ওপেনিংয়ে নেমে শামীমা করেছেন ৩০, আয়েশা করেছেন ২০। আর তাতেই বাংলাদেশ ২০ ওভারে ৪ উইকেটে করেছিল ১৫১। কে জানত, সেই রান একটুর জন্য যথেষ্ট হবে না!